১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধি
রাষ্ট্রপতি পদে শেখ হাসিনা আস্থা রাখলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর উপরে। তিনি ছাত্রলীগ ও যুবলীগের পাবনা জেলা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সরকারি চাকুরিতে যোগ দিয়ে জেলাজজ থেকে অবসরে যান ২০০৬ সালে। শেখ হাসিনার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর তাঁকে দুর্নীতি দমন কমিশনের সদস্য বানিয়েছিলেন। এখন তাঁকে মনোনীত করেছেন রাষ্ট্রপতি পদে।
শেখ হাসিনার অতি আস্থাভাজন এই ব্যক্তিটি চার দলীয় জোট সরকারের আমলে জেলাজজ হিসাবেও সরকারের আস্থা অর্জন করতে পেরেছিলেন। তাঁর উপর আস্থা রেখেই চার দলীয় জোট সরকার ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর কথিত হামলা, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের প্রধান বানিয়েছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে।
শেখ হাসিনা তাঁকে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসাবে মনোনীত করার পর রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) ‘নির্বাচনী কর্তা’ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে নির্বাচন ভবনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, মো. হাছান মাহমুদ ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
এরপর সাংবাদিকদের কাছে পুরো বিষয়টি তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আজকে ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দুটি মনোনয়ন দাখিল হয়েছে একই ব্যক্তির নামে। যার নামে দাখিল হয়েছে তিনি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। পিতা মরহুম শরফুদ্দিন আনসারী। বাসা হোল্ডিং ৮৮/১ গ্রাম রাস্তা শিবরামপুর, পাবনা। পোস্ট কোড ৬৬০০, পাবনা।
মনোনয়নপত্র প্রস্তাবকারীর নাম হচ্ছে ওবায়দুল কাদের, নোয়াখালী-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবং সমর্থনকারীর নাম হচ্ছে মো. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য।
একক প্রার্থী হলে তার প্রক্রিয়া কি হবে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, সোমবার বাছাইয়ের পরে বৈধ মনোনয়ন যেগুলো হবে তার নাম ঘোষণা করা হবে। আইনানুগভাবে প্রত্যাহারের শেষ তারিখে আমরা চূড়ান্তভাবে ঘোষণা করব কে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তবে যেহেতু একই ব্যক্তির দুটো আবেদন এবং দুটি যদি বাছাইয়ের টেকে তবে কালকেই এটি চূড়ান্ত হয়ে যাবে।
বাছাইয়ে না টিকলে পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিনটি মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেন।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আগামী ১৯ এপ্রিল অবসরে যাবেন। রাষ্ট্রপতি হিসাবে তাঁর মেয়াদ শেষে নতুন রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব গ্রহন করবেন।