রাশিয়ার তেল আমদানি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) বিভক্তি দেখা দিয়েছে। জার্মানি বলছে, তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দিকে যেতে পারবে। আর রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করছে হাঙ্গেরি। খবর এএফপি ও রয়টার্সের
ইউরোপীয় ইউনিয়ন কীভাবে রাশিয়ার জ্বালানি (তেল-গ্যাস) সরবরাহ বন্ধ করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। এ নিয়ে সোমবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জ্বালানিমন্ত্রীদের একটি জরুরি বৈঠক হয়।
ব্রাসেলসের ওই বৈঠকের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে জার্মানির অর্থমন্ত্রী রবার্ট হ্যাবেক বলেছেন, চলতি বছরের শেষের দিক থেকে রাশিয়ার তেল ছাড়াই তাঁদের দেশ চলতে পারবে। তবে গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করার মতো অবস্থা জার্মানির নেই।
রাশিয়া থেকে তেল আমদানির প্রসঙ্গে হ্যাবেক বলেন, ইতিমধ্যে জার্মানি রাশিয়া থেকে তেল আমদানি ৩৫ থেকে ২৫ শতাংশ কমিয়েছে। তাঁর দেশ বিকল্প সরবরাহকারীদের সন্ধানে কাজ করছে।
হ্যাবেক বলেছেন, রাশিয়ার ওপর জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যদেশগুলোর মধ্যে বিভক্তি রয়েছে। হাঙ্গেরি তেল-গ্যাস উভয়ই নিষিদ্ধ করার বিরোধিতা স্পষ্ট করেছে। জার্মানি নিজ থেকে রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি নিষিদ্ধ করতে প্রস্তুত নয়।
হাঙ্গেরি সরকারের মুখপাত্র জোল্টান কোভাকস বলেছেন, তাঁদের দেশ রাশিয়া থেকে আমদানি করা তেল ও গ্যাসের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরোধিতা করে। তিনি বলেন, ‘তেল-গ্যাসের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে হাঙ্গেরির অবস্থান পরিবর্তন হয়নি। আমরা তাদের (ইইউর সিদ্ধান্ত) সমর্থন করি না।’
রাশিয়া থেকে সদস্যদেশগুলোর তেল-গ্যাস আমদানি বন্ধ করতে ইইউ কমিশন ষষ্ঠ দফায় নিষেধাজ্ঞা দিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে ইইউর জ্বালানিমন্ত্রীরা চলতি সপ্তাহে বেশ কয়েকটি জরুরি আলোচনা করবে। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবে বলে আশা ইইউর নেতাদের। তবে জার্মানির অর্থমন্ত্রী রবার্ট হ্যাবেক ইতিমধ্যে বলেছেন, এ বিষয়ে জোটের ২৭ সদস্যদেশের মধ্যে ঐকমত্য নেই।