- বিশেষ সংবাদদাতা
- ০২ এপ্রিল ২০২৩, ২২:২৯, আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৩, ২৩:০৩
রফতানি আয়ে ধাক্কা লেগেছে। গত বছরের মার্চ মাসের চেয়ে গত মার্চে রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ঋণাত্মক ২.৪৯ শতাংশ। এ সময়ে সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হয়নি। মার্চে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাড়ে সাত শতাংশ কম অর্জন হয়েছে রফতানি আয়।
রোববার (২ এপ্রিল) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইপিবির প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছর মার্চে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা যেখানে ছিল ৫০২ কোটি মার্কিন ডলার সেখানে অর্জন হয়েছে ৪৬৪ কোটি ৩৯ লাখ মার্কিন ডলার। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম অর্জন হয়েছে সাড়ে সাত শতাংশ। গত বছরের মার্চে রফতানি আয় হয়েছিল ৪৭৬ কোটি ২২ লাখ মার্কিন ডলার। এ হিসেবে মার্চে রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ঋণাত্মক ২.৪৯ শতাংশ।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে কম। আগে গার্মেন্টের উৎপাদন ক্ষমতার পুরোটাই কাজে লাগানো যেতো। নির্ধারিত সময়ের বাইরেও ওভারটাইম করানো হতো। এখন নির্ধারিত সময়ের আগেই ছুটি দিতে হচ্ছে। কাজ কম থাকায় এ অবস্থা বিরাজ করছে। সবমিলেই রফতানি আয়ের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
ইপিবির তথ্য মতে, ওষুধ ও তৈরি পোশাকসহ বাংলাদেশের পণ্য রফতানি বাবদ মার্চ মাসে আয় হয়েছে ৪৬৪ কোটি ৩৯ লাখ ৪০ হাজার ইউএস ডলার। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪৭৬ কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ এ সময়ে ১১ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার ডলার পরিমাণ কম পণ্য রফতানি হয়েছে। সামগ্রিক হিসাবে ৪১টি পণ্যের রফতানি আয় কমেছে গত মার্চে।
ইপিবির প্রতিবেদন অনুসারে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে রফতানি আয় হয়েছে ৪ হাজার ১৭২ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। যা ২০২১-২২ অর্থবছরে একই সময়ে ছিল ৩ হাজার ৮৬০ কোটি ৫৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় (৯ মাসে) রফতানি আয় বেড়েছে ৩১১ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ২২৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার। সে হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৪ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার কম আয় হয়েছে।