ঢাকা
ডলারের দাম বাড়তে থাকায় অনেক রপ্তানিকারক নির্দিষ্ট সময়ের পরে রপ্তানি আয় দেশে আনছেন। ডলারের বাড়তি দাম পেতেই এ সুযোগ নিচ্ছেন রপ্তানিকারকেরা। তাতে দেশে ডলারের সংকট কাটছে না। রপ্তানি আয় প্রত্যাবাসনের এই গড়িমসি রোধ করতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রপ্তানি আয় যখনই আসুক না কেন, তা এখন থেকে আর ডলারের চলতি বাজারমূল্যে নগদায়ন হবে না। বরং রপ্তানি আয় যখন আসার কথা, তখনকার বাজারমূল্য বিবেচনায় তা নগদায়ন হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে আজ সোমবার এ–সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিলম্বে রপ্তানি আয় প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে ডলারের চলতি মূল্য কার্যকর হবে না। রপ্তানি আয় প্রত্যাবাসনের প্রকৃত যে তারিখ, সেই তারিখে ডলারের যে বিনিময় হার ছিল, সেই দামেই রপ্তানি আয় নগদায়ন করতে হবে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে ডলারের চলতি বিনিময় হার ও রপ্তানি আয় প্রত্যাবাসনের প্রকৃত তারিখের বিনিময় হারের ব্যবধান পৃথক খতিয়ানে লিখে রাখতে হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে জানাতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, নতুন নির্দেশনার ফলে রপ্তানি আয় দেশে আসার ক্ষেত্রে গতি সঞ্চার হতে পারে।
এদিকে চলতি মাস থেকে রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম আবার ১ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে রপ্তানিকারকেরা রপ্তানি আয় দেশে আনলে প্রতি ডলারের দাম পাবেন ১০৪ টাকা। এত দিন রপ্তানিকারকেরা প্রতি ডলারের বিপরীতে পেতেন ১০৩ টাকা। নতুন সিদ্ধান্ত চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে কার্যকর করা হয়েছে।
ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) সম্মিলিতভাবে রপ্তানিকারকদের জন্য ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করছে। সম্প্রতি ব্যাংকারদের দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে।