যে ফিক্সিং রিপোর্টে হতবাক ফুটবলাঙ্গন, সালাউদ্দিনের কাছে সেটাই সঠিক

 


ফুটবলে মাঠে শেষ কবে জয় পেয়েছিল লাল-সবুজরা, সেই স্মৃতিতে পড়তে শুরু করেছে ধুলো। এমন ক্রান্তিলগ্নে ডালপালা মেলেছে ফিক্সিংয়ের মতো গুরুতর ব্যাধি। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে সবচেয়ে বেশি অভিযোগের তীরে বিদ্ধ আজমপুর ফুটবল ক্লাব বেকসুর খালাস পাওয়ায় হতবাক ফুটবলাঙ্গন। যদিও বাফুফে সভাপতি মনে করেন ফিক্সিংয়ের সাথে অভিযুক্তদের যথাযথ বিচারের আওতায় আনা হয়েছে।

কাজী সালাউদ্দিন বলেন, যাকে যাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে, সেগুলো আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি। কিন্তু যাদের দোষ খুঁজে পাওয়া যায়নি তাদের তো শাস্তি দিতে পারি না।

ফিক্সিং তদন্তে কমিটির দেয়া সিদ্ধান্তকে সঠিক সিদ্ধান্ত বলে দাবি কাজী সালাউদ্দিনের। সেই সাথে আপিলের সুযোগ থাকছে বলেও জানান তিনি। কাজী সালাউদ্দিন বলেন, এই কাজের জন্য একটা কমিটি আছে। সব প্রশ্নের জবাব দেবে কমিটি। আমি যা শুনেছি, যার বিপক্ষে প্রমাণ পেয়েছে, তাকেই সাসপেন্ড করেছে। কেউ ফিফায় গেলে যাবে। কাউকে না করা হয়নি।

উত্তর বারিধারা ক্লাবের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। তবে বাফুফে সভাপতি তার বক্তব্যকে কোনোভাবেই সমর্থন করেন না। কাজী সালাউদ্দিন বলেন, উনার ক্ষমতা আছে, যেখানে খুশি সেখানে যাক। আমি মনে করি, যা করা হয়েছে সেটাই সঠিক সিদ্ধান্ত।

দেশের ফুটবল উন্নয়নে অন্য ক্লাবের তুলনায় বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনীর অবদান বেশি বলে জানিয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। তবে ক্লাবগুলোর অর্থনৈতিক অবকাঠামোগত সমস্যার কথা স্বীকার করেন তিনি।

/এম ই