- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ২৩:২৮, আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ২৩:৩১
রাজধানী ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে মাত্র এক ঘণ্টায় যাওয়ার জন্য বুলেট ট্রেনের যে ঘোষণা চার বছর আগে রেল কর্তৃপক্ষ দিয়েছিল সম্ভাব্যতা যাচাই ও নকশা প্রণয়নের পর এখন সে প্রকল্প থেকে সরে এসেছে রেল মন্ত্রণালয়।
দু’হাজার সতের সালে প্রকল্পটির অনুমোদনের পর প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয় করে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর রেল মন্ত্রণালয় এখন মনে করছে, এই মেগা প্রকল্পে হাত দেয়ার আগে বর্তমান সিঙ্গেল লাইনগুলোকে ডাবল লাইনে রূপান্তরসহ চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ করতে হবে।
রেলমন্ত্রী বলছেন, প্রকল্পটি বহাল আছে এবং পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে আরো কিছু প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে বলেই আপাতত একাজে তারা হাত দিতে পারছেন না।
যদিও কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে যে ধারণা পাওয়া গেছে তাহলো বাংলাদেশের রেল অবকাঠামোর বর্তমান বাস্তবতায় বুলেট ট্রেনের জন্য অর্থ দিতে কেউ রাজী হচ্ছে না।
একটি উন্নয়ন সংস্থা সরাসরি মন্ত্রণালয়কে বলেছে যে এই প্রকল্পের কোনো প্রয়োজন এ মূহুর্তে বাংলাদেশের নেই। এটি প্রায় পুরোটাই উড়াল রেলপথের এবং বিদ্যুৎ চালিত। অথচ বিদ্যুৎ চালিত ট্রেনের কোনো অভিজ্ঞতাই বাংলাদেশের নেই। ঢাকায় মেট্ররেল চলবে কিন্তু তাও কবে নাগাদ চলবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এ অবস্থায় প্রায় তিনশ কিলোমিটারের বুলেট ট্রেনের জন্য অর্থ পাওয়া অসম্ভব। এমন কথা বলছিলেন রেলেরই একজন কর্মকর্তা। তবে তিনি তার নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছেন।
অধ্যাপক শামসুল হক বলছেন, বুলেট ট্রেনের প্লে গ্রাউন্ড এখনো বাংলাদেশ হতে পারেনি। এছাড়া বুলেট ট্রেন প্রকল্পটি শুরু থেকেই নানা প্রশ্ন তৈরি করেছে। অনেক সময় সুবিধা নিতে বা প্রজেক্ট বিক্রির জন্য পেছনের দরজা দিয়ে কিছু প্রজেক্ট আসে। হয়তো মন্ত্রণালয় এটা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল যে কাজ হোক আর না হোক সম্ভাব্যতা যাচাই ও নকশার কাজ করি। এটাতেও কিন্তু শত কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
রেল কর্মকর্তারা বলছেন, এখন তারা বরং ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ হয়ে চট্টগ্রাম রুট তৈরি নিয়েই বেশি মনোযোগী হচ্ছেন।
এটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রেলে যাওয়ার বর্তমান দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার কমিয়ে আনবে এবং এর ফলে যাত্রার সময়ও অন্তত দু ঘণ্টা কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র : বিবিসি