যেভাবে এবারের কোটা আন্দোলনের ঘটনাপ্রবাহ গড়িয়েছে

৫ই জুন, বুধবার: কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়

৬ই জুন, বৃহষ্পতিবার: কোটা বাতিল করে আদালতের রায়ের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

৯ই জুন, রোববার: হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন।

১লা জুলাই, সোমবার: শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আন্দোলন শুরু

৭ই জুলাই, রোববার: সারাদেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচী।

৯ই জুলাই, মঙ্গলবার: আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগের সংঘাত

১০ই জুলাই, বুধবার: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা, ৭ই আগস্ট পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য।

১৪ই জুলাই, রোববার: কোটা পূর্ণবহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ। এদিন এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক বক্তব্যের জের ধরে রাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১৫ই জুলাই, সোমবার: আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘাত

১৬ই জুলাই, মঙ্গলবার: আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের। সড়ক অবরোধ, সারাদেশে ব্যাপক সহিংসতা, ছয়জন নিহত

১৭ই জুলাই, বুধবার: পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ, জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ। সবোর্চ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত ধৈর্য্য ধারণের আহ্বান।

১৮ই জুলাই, বৃহস্পতিবার: কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত। বিটিভি ভবনে অগ্নি সংযোগ। মেরুল বাড্ডায় পুলিশ অবরুদ্ধ, পরে হেলিকপ্টারে উদ্ধার।

পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘাত সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ বিক্ষোভকারী হতাহত। ৫৬ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ কোটার প্রস্তাব আওয়ামী লীগের।

আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনায় বসতে সরকার রাজী বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। আলোচনার প্রস্তাব নাকচ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের। রাত ৯টা থেকে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ।

সারা দেশে ব্যাপক সংর্ঘর্ষে অন্তত ২৫ জন নিহত।

১৯শে জুলাই, শুক্রবার: ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সংঘর্ষ, পরিস্থিতি থমথমে। মেট্রোরেল স্টেশন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজা, মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেফতার। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকায় সর্বক্ষেত্রে স্থবিরতা। রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি।

সারা দেশে সংঘর্ষে অন্তত ৫৬ জন নিহত।

২০শে জুলাই, শনিবার: কারফিউ এর মধ্যেও ঢাকা, সাভার, গাজীপুর, ময়মনসিংহ সহ বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘাত। বিক্ষোভকারী হতাহত।

আইনমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও তথ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন সমন্বয়কারীর বৈঠক। আন্দোলনকারীদের আট দফা দাবি পেশ।

শনিবার সহিংসতায় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ২৬ জন নিহত।

২১শে জুলাই, রোববার: কারফিউ অব্যাহত, সাধারণ ছুটির আওতায় স্বায়ত্বশাসিত, সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ, ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পোশাক কারখানাসহ সব কলকারখানা বন্ধ।

কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানি, কোটা পুনর্বহাল নিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল। সাত শতাংশ কোটা নির্ধারণের আদেশ। তবে সরকার চাইলে বদলানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।

Source: BBC Bangla