যুগপৎ আন্দোলন: ৪ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করবে গণতন্ত্র মঞ্চ

 আমার দেশ
২৫ জানুয়ারী ২০২৩

প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে  নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন মাহমুদুর রহমান মান্না

প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন মাহমুদুর রহমান মান্না

নিজস্ব প্রতিনিধি

বিএনপির নেতৃত্বে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ৪ঠা ফেব্রুয়ারি সারা দেশে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।

বুধবার (২৫শে জানুয়ারি রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে নতুন এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

আজ যুগপৎ আন্দোলনের চতুর্থ কর্মসূচি পালন করল গণতন্ত্র মঞ্চ। ৪ঠা ফেব্রুয়ারি হবে যুগপৎ আন্দোলনের পঞ্চম কর্মসূচি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ১০ দফা দাবিতে এই যুগপৎ আন্দোলন করছে সরকারবিরোধীরা।

সমাবেশে মাহমুদুর রহমান বলেন, আন্দোলন ধীরে ধীরে গড়ে তুলতে হয়। এক দিনেই পরিবর্তন আসে না। আন্দোলনের অংশ হিসেবে একই ধরনের কর্মসূচি একাধিকবারও দিতে হয়। দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের নির্যাতন, নিপীড়ন, দমনের প্রতিবাদ ও নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীসহ সারা দেশে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

গণতন্ত্র মঞ্চের আজকের সমাবেশে যোগ দেন নুরুল হকের গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা। তবে সমাবেশে উপস্থিত হননি গণতন্ত্র মঞ্চের আরেক শীর্ষ নেতা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। অসুস্থতার কারণে তিনি আজকের সমাবেশে অংশ নেননি বলে জানানো হয়।

গত ৩০শে ডিসেম্বর থেকে ১৬ই জানুয়ারি পর্যন্ত বিএনপিসহ সরকারবিরোধী সব দল ও জোট তিনটি কর্মসূচি পালন করে। তিনটি কর্মসূচির কোনোটিতেই গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শীর্ষ নেতা আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না ও গণ অধিকার পরিষদের রেজা কিবরিয়া বা নুরুল হক উপস্থিত ছিলেন না। এর মধ্যে গণ অধিকার পরিষদ দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ১৬ জানুয়ারির বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেয়নি।

গত বছরের ৮ই আগস্ট সাতটি দল ও সংগঠন নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ গঠিত হয়। কিন্তু পাঁচ মাস যেতে না যেতেই নেতৃত্বের বিরোধ থেকে অসন্তোষের কারণে গণতন্ত্র মঞ্চে ভাঙনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই বিরোধ মূলত গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে মঞ্চের অন্য দলগুলোর নেতাদের।

গণ অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাদের জনবলই বেশি থাকে অথচ তাদের সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না।

১১ই জানুয়ারির ‘গণ-অবস্থান’ কর্মসূচি ঘিরে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের সঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের মনোমালিন্য দৃশ্যমান হয়। এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে চেয়েছিলেন গণ অধিকারের সদস্যসচিব নুরুল হক। তিনি কিছুদিন বিদেশে ছিলেন। ঢাকায় পৌঁছেই তিনি কর্মসূচিতে অংশ নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কর্মসূচিস্থলে তাঁর উপস্থিত হওয়ার আগেই তড়িঘড়ি করে তা শেষ হয়।