এবার যুক্তরাজ্য ও জার্মানির পথে হাঁটল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির নিম্ন আয়ের মানুষকে জ্বালানিসহায়তা দিতে বড় অঙ্কের তহবিল গঠন করেছে তারা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সে দেশের নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোকে আসন্ন শীতে ঘর গরম রাখতে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। সে জন্য ১ হাজার ৩৫০ কোটি ডলারের তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে তারা। সম্প্রতি প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তহবিল গঠনের ঘোষণা দেয় হোয়াইট হাউস। এর আগে যুক্তরাজ্য ও জার্মান সরকার একইভাবে বিশেষ জ্বালানি তহবিল গঠন করে।
ঘোষণায় বলা হয়, সহায়তার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগ লো ইনকাম হোম এনার্জি অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রাম (এলআইএইচইএপি) তহবিলে ৪৫০ কোটি ডলার দেবে, যা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। হোয়াইট হাউস জানায়, ঘর গরম রাখার পাশাপাশি নতুন তহবিল যুক্তরাষ্ট্রের পরিবারগুলোকে অন্যান্য বিল পরিশোধেও সহায়তা করবে। একই সঙ্গে এ তহবিল থেকে হোম এনার্জি অ্যাপ্লায়েন্স মেরামতেও সহায়তা করা হবে। ফলে তাদের জ্বালানি ব্যয় কমে আসবে।
এদিকে সরকারের জ্বালানি বিভাগ দেশটির মূল্যস্ফীতি হ্রাস আইন থেকে ৯০০ কোটি ডলার তহবিল বরাদ্দের কথা জানিয়েছে। বাসাবাড়িতে জ্বালানি সরবরাহ লাইন উন্নয়নে এ তহবিলের অর্থ ১৬ লাখ পরিবারকে দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৩ কোটি নাগরিক তাদের ঘর গরম রাখতে যে তাপ ব্যবহার করে, তার প্রায় ৯০ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস বা বিদ্যুৎ থেকে আসে। বাকি ১০ শতাংশ তাপের জন্য জ্বালানি হিসেবে প্রোপেন গ্যাস বা কাঠ ব্যবহৃত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) এক পূর্বাভাসে জানায়, এবারের শীতে প্রাকৃতিক গ্যাসের মাধ্যমে ঘর গরম রাখতে প্রতি পরিবারকে ৯৩১ ডলার ব্যয় করতে হবে। পাশাপাশি বিদ্যুতের জন্য ব্যয় করতে হবে ১ হাজার ৩৫৯ ডলার। ফলে গত বছরের তুলনায় এ বছর ২৮ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস এবং ১০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হবে।
একই সঙ্গে ঘর গরম রাখতে প্রতি পরিবারকে জ্বালানি তেলের জন্য প্রায় ২ হাজার ৩৫৪ ডলার ব্যয় করতে হবে, যা গত বছরের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি। প্রোপেনের ব্যবহার ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ফলে পরিবারগুলোকে এর জন্য ১ হাজার ৬৬৮ ডলার ব্যয় করতে হবে। এদিকে ব্যয় বৃদ্ধি সত্ত্বেও প্রাকৃতিক গ্যাস দেশটির তাপের সবচেয়ে সস্তা উৎস হিসেবে থেকে যাবে।