যুক্তরাষ্ট্রের সংলাপের আহ্বান নাকচ আওয়ামী লীগের

সংলাপের আর কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সামনে নির্বাচন, তাই এখন আর সংলাপের সুযোগ নেই। বিএনপির সঙ্গে সংলাপের চিন্তা আগে ছিল, সেই সময়ও চলে গেছে।

অন্যদিকে, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে একটি নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকবে। একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন তারা।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ডোনাল্ড লুর চিঠি নিয়ে এসেছিলেন পিটার হাস। শুনেছি, এমন দুটি চিঠি বিএনপি ও জাতীয় পার্টির কাছেও দেওয়া হয়েছে। এই চিঠিতে শর্তহীন রাজনৈতিক সংলাপের তাগিদ রয়েছে। তবে সংলাপের এখন আর সেই সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, সংলাপ যদি করতে হয়, সেটা তো আর কাউকে বাদ দিয়ে করা যাবে না। বিষয়টা এমন নয়, শুধু দুটি দল বা কয়েকটি দলের সঙ্গে সংলাপ করলেই হবে। সেটা শতাধিক দলের সঙ্গেও হতে পারে। তো এ সময়ে কখন সংলাপ হবে, কখন নির্বাচন প্রক্রিয়া চলবে, সেটা একটা বিষয়।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা শেষে চিঠির ব্যাপারে কথা বলতে পারব। পারলে আজকেই তাঁর সঙ্গে আলাপ করব। তাছাড়া দলের নির্বাহী কমিটির সহকর্মীদের সঙ্গেও আলোচনা করা দরকার। কারণ, দলের চিন্তাভাবনার দৃষ্টিকোণ থেকেই আমরা চিঠির জবাব দেব।

‘তাহলে কি সংলাপের সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল’– সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের কোনো রাজনৈতিক দল যারা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে, তারা সংলাপকে না করতে পারে না। তবে, আমরা বিএনপিকে বলেছিলাম, শর্ত ছাড়া সংলাপে আসার জন্য। তারা তাদের এক দফা প্রত্যাহার করলে আমরা চিন্তাভাবনা করে দেখব, এমনটাও বলে বলেছিলাম। তখন তো তারা সেটিতে রাজি হয়নি।

তিনি আরও বলেন, সে সময়ও পেরিয়ে গেছে। এখন আর সেই পেরিয়ে যাওয়া সময়কে এগিয়ে নিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই। কাজেই সিদ্ধান্ত গ্রহণে সময়টাও একটা বিরাট ফ্যাক্টর।

শর্তহীন সংলাপে জোর দিলেন পিটার হাস

চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা পরিহার করে শর্তহীন একটি সংলাপের ওপর জোর দিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশের জন্য সহিংসতা হ্রাসের পাশাপাশি কোনো পূর্বশর্ত ছাড়া সংলাপের সুযোগ খুঁজতে সব রাজনৈতিক দলকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলকে আমরা যে বার্তা দিয়েছি, এখানেও সেই কথা বলেছি। সেটা হচ্ছে, আগামী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নিরপেক্ষ থাকবে। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে নেই। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাচ্ছি আমরা।

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে রাজনৈতিক সহিংস বক্তব্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এটা নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠকে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছি। কয়েকদিন আগে আমাদের মুখ্য উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলও বলেছেন।

সমকাল