যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে : জি এম কাদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  •  ৩০ মে ২০২৩, ১৯:০২
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে : জি এম কাদের। – ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের)। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি আমরা ইতিবাচকভাবেই দেখছি। তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চান।’

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বনানীস্থ কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, ‘যারা নির্বাচনের সাথে জড়িত থাকেন অথবা নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারেন- ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে তাদের স্বার্থ থাকে। তাদের কারো সন্তান লেখাপড়া করে আবার কেউ অবসরে ওই সব দেশে বসবাস করতে চান। তাই কেউই পরিবার-পরিজন নিয়ে কালো তালিকাভূক্ত হতে চাইবেন না। ফলে তারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে বা অনিয়ম করতে দ্বিধাগ্রস্ত হবেন। যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা নীতি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে। মনে হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তারা যথেষ্ট আন্তরিক। তাদের ভিসা নীতি কতটা কার্যকর হয়, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল মনে করে যে সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা কুক্ষিগত করেছে। সবাই বিশ্বাস করে, নিয়ন্ত্রণে রেখে সরকার নির্বাচন করছে। এতে অন্য কোনো দলের কিছু করার ক্ষমতা নেই। সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। যারা বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে, তারা নির্বাচনে না এলেও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে না। তাই সরকারের উচিত হবে নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।’

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের রাজনীতিতে বিদেশীদের প্রভাব অনেক বেশি। আমরা বিভিন্ন দেশের ওপর নির্ভরশীল। তাই বিদেশীদের প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ আছে। আবার, আমরা নিজেরা অনেক বিষয়ে সমাধানে আসতে পারি না। আমাদের দেশে যাদের বিনিয়োগ আছে, তারা তাদের স্বার্থেই প্রভাব বিস্তার করতে চেষ্টা করে। এই সুযোগটা আমরাই তৈরি করে দিচ্ছি। আমরা নিজেরা মীমাংসা করতে পারলে কেউই মাথা ঘামানো প্রয়োজন মনে করবে না।’

তিনি বলেন, ‘জবাবদিহিতামূলক সরকার হলে সবাই নিশ্চিত মনে কাজ করতে পারে। জবাবদিহিতা থাকলে আইনশৃঙ্খলা ও নীতি থাকে। কে কী করতে পারবে আর কী পারবে না তা নিশ্চিত করা থাকে। যখন জবাবদিহিতাহীন সরকার তৈরি হয়, তখন কোনো গাইডলাইন থাকে না। আমরা সবাই একমত হলে বিদেশীরা কখনোই নাক গলাতে চেষ্টা করত না, আবার চেষ্টা করলেও কিছুই করতে পারত না।