আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, বিরোধী দল দলন-দমন-নিঃশেষ করার ভয়ংকর জুলুম, নিপীড়ন, গ্রেপ্তার তান্ডব সমস্তসীমা লংঘন করেছে। কিন্তু তাদের জানা উচিত এই সরকারই শেষ সরকার নয়। কিছুদিন পরেই হবে জনগণের সরকার। তখন এই আজ্ঞাবাহী দলদাস পোশাকী সন্ত্রাসীদের পরিণতি কি হবে জনগণ সিদ্ধান্ত নিবে।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হঠাৎ বিদেশ থেকে এসে গতকাল সাভারে জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে তার দাম্ভিকতাপূর্ণ কন্ঠ শুনে দেশের মানুষ স্তম্ভিত-হতবাক হয়েছে।
একই সঙ্গে জনগণ অট্টহাসিও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগামী ১০-১৫ বছরে বিএনপি বলে কোন দল বাংলাদেশে আর থাকবে না। তার মানে এই সময়ে তারা বিএনপিকে ধ্বংস ও নিঃশেষ করে দিবেন! দেশে শুধুমাত্র একটাই রাজনৈতিক দল থাকবে। যেখানে ভিন্ন মতাদর্শের কেউ থাকতে পারবে না। কেউ স্বৈরাচারী সরকারের সমালোচনা করতে পারবে না। বাকশাল-২ স্থাপিত হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং তার অনুগতরা দশকের পর দশক ধরে বিএনপিকে ধ্বংসের জন্য উঠে-পড়ে লেগে আছেন। ওয়ান-ইলেভেনের বেআইনি সরকারও সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। বরং বিএনপি এখন বাংলাদেশের ঘরে ঘরে তৃণমূল শক্তি। যতবার আঘাত এসেছে ততবার আরো শক্তিশালী হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, মামলা, আহত এবং মৃত্যুর সংখ্যা তুলে ধরেন তিনি। রিজভী জানান, এসময়ে ৫১০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আহত হয়েছে ১০০ জন, মারা গেছেন ১ জন এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে ১৮টি। এসব মামলায় আসামী করা হয়েছে ২০৮৫ জন নেতাকর্মীকে।
মানব জমিন