যতই গ্রেপ্তার করুক, জনগণের ঢল থামানো যাবে না: মির্জা ফখরুল

সোমবার জুলাই ৩১, ২০২৩ ০৬:৪৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: সোমবার জুলাই ৩১, ২০২৩ ০৬:৪৮ অপরাহ্ন
সোমবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসমাবেশে বক্তৃতা দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

নির্যাতন করে, মামলা দিয়ে, গ্রেপ্তার করে জনগণের ঢল থামানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ সোমবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২৮ তারিখ টেকনাফ-তেঁতুলিয়া থেকে লাখ লাখ মানুষ এসে মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছে। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে তারা একটা মেসেজ দিয়েছে। সেটা হলো অবিলম্বে গদি ছাড়ো। সেদিন আমরা ছোট একটা প্রোগ্রাম দিয়েছিলাম। ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান নেব। আমরা হরতাল দেইনি, অবরোধ দেইনি।’

‘ওই প্রোগ্রামের কথা শুনে তারা (সরকার) ভয়ে ভীত হয়ে গুন্ডা বাহিনী নিয়ে, হাজার হাজার পুলিশ নিয়ে তারা আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তারা নিরস্ত্র জনগণের বুকে গুলি চালিয়েছে,’ বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের প্রবীণ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছে। আমানউল্লাহ আমানকে পিটিয়ে আটক করেছে। পরে চিত্রনাট্য সাজিয়েছে সরকার, গল্প তৈরি করেছে, ভিডিও করেছে।’

‘জনগণের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক থাকে না, তারা এমন গল্প তৈরি করে। জনগণ তাদের গল্প খায়নি। এতে করে কি আমাদের নেতা গয়েশ্বর বাবু, আমানউল্লাহ আমান ছোট হয়ে গেছেন? হয়নি। ছোট হয়েছে তারা যারা এ ধরনের নিকৃষ্ট নাটক সাজিয়েছে,’ বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার এত ভীত যে একটা প্রোগ্রাম থেকে অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করেছে, গ্রেপ্তার করেছে, মামলা করেছে। আবার আমাদের নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি করেছে। স্ত্রী-কন্যা-পুত্রদের ঘরে আটকে রেখে তল্লাশি করেছে।’

‘এসব করে আন্দোলন আটকানো যায়নি। এই মানুষের ঢল থামানো যাবে না। যতই গ্রেপ্তার করুক, থামানো যাবে না,’ যোগ করেন তিনি।

‘এই সরকারের দেশে-বিদেশে কোথাও সমর্থন নেই’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ আওয়ামী লীগ দুইবার দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে নির্বাচন ছাড়াই জোর করে ক্ষমতায় এসেছে। আমরা নির্বাচন চাই। তবে হাসিনার অধীনে না। আমরা নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই।’

‘বিএনপি জাতীয় ঐক্য তৈরি করেছে’ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই বাংলাদেশে সবগুলো দল মিলে একটা ঐক্য তৈরি করেছে। আর সেটি হচ্ছে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। এক দফা দাবি-এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।’

এর আগে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পরে স্থান পরিবর্তন করা হয় এবং দুপুর ৩টায় সমাবেশ শুরু হয়।