ইয়েজি দুদেক। নামটা মনে আছে? ইস্তাম্বুলে ২০০৫ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে সেই যে ‘অলৌকিক রাত’—লিভারপুলের গোলপোস্টে ছিলেন দুদেক।
এসি মিলান তারকা আন্দ্রে শেভচেঙ্কোর দুটি চেষ্টা অতিরিক্ত সময়ে দারুণভাবে রুখে দিয়েছিলেন পোল্যান্ডের সাবেক এ গোলকিপার। টাইব্রেকারেও শেভা ও আন্দ্রেয়া পিরলোকে হতাশ করে ইউরোপসেরা করেন লিভারপুলকে।
সেই ফাইনালের টাইব্রেকারে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের মনোযোগে চিড় ধরাতে ‘স্প্যাগেত্তি লেগস’ কৌশল ব্যবহার করে আলোচনার জন্ম দেন দুদেক। যুক্তরাজ্যের ব্যান্ড ‘দ্য ট্রফি বয়েজ’ দুদেককে নিয়ে গানও বেঁধেছিল—যুক্তরাজ্যের মধ্যে যা তখন শীর্ষ ৪০ গানের মধ্যে জায়গা করে নেয়।
এত দিন পর দুদেককে টেনে তোলার কারণ? লিওনেল মেসিকে নিয়ে নিজের আত্মজীবনীতে নেতিবাচক মন্তব্য করে সংবাদমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন দুদেক। যেনতেন মন্তব্য হলে নাহয় মানা যেত, পিএসজি তারকাকে প্রতারক, উসকানিপ্রবণ ও রূঢ় বলেছেন ৪৮ বছর বয়সী সাবেক এই গোলকিপার।
স্প্যানিশ লা লিগায় মেসিকে কাছ থেকেই দেখেছেন দুদেক। ২০০৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদে। সে সময় ইকার ক্যাসিয়াস থাকায় চার মৌসুমে রিয়ালের হয়ে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন দুদেক। তবে ডাগআউট থেকে তো মাঠে মেসিকে স্পষ্টই দেখেছেন তিনি।
‘এল ক্লাসিকো’য় তখন বার্সেলোনার সঙ্গে ভীষণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো রিয়ালের। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও মেসি মুখোমুখি হতেন একে অপরের। দ্বৈরথে খেলোয়াড়দের মেজাজ হারানোর ঘটনা নিয়মিতই দেখা যেত।
আত্মজীবনীতে মেসিকে নিয়ে দুদেক লিখেছেন, ‘সে ছিল প্রতারক ও উসকানিপ্রবণ, ঠিক বার্সেলোনা ও পেপ গার্দিওলার মতোই। উসকে দিতে সব সময়ই প্রস্তুত থাকত এবং নিখুঁতভাবে কাজটা করা হতো। এটা জোসে মরিনিও ও তার দলকে আঘাত করেছে। আমি দেখেছি, পেপে ও সের্হিও রামোসের প্রতি মেসি কত রূঢ় কথা বলেছে, দেখতে এমন শান্ত ও ভালো মানুষের কাছ থেকে এসব কথা কল্পনাও করা যায় না।’
রিয়ালে সাবেক দুই সতীর্থ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও রাউল গঞ্জালেসকে নিয়েও আত্মজীবনীতে কিছু তথ্য দিয়েছেন দুদেক, ‘রোনালদো অহংকারী। কিন্তু পর্দার আড়ালে সে ভালো মানুষ। লোকে তাকে কীভাবে গ্রহণ করছে, তার ওপর বিষয়টি নির্ভর করে। সে রাউলের মতো আত্মকেন্দ্রিক এবং অবিশ্বাস্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। বাকিদের গোলে রিয়ালের ৫-০ ব্যবধানে জয়ের চেয়ে নিজেদের গোলে ২-১ ব্যবধানের জয় পছন্দ করে দুজনেই।’