- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:১৯
পিএসজিতে কি লিওনেল মেসি এবং নেইমারের জুটি ভেঙে যেতে চলেছে? সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শোনা যাচ্ছে, ক্লাবে আর নেইমারকে রাখতে আগ্রহী নয় পিএসজি। তারা নাকি পরের মরসুমেই ব্রাজিলীয় তারকাকে বিক্রি করে দিতে চলেছে। ইতালির এক ওয়েবসাইটের তরফে এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
বিশ্বকাপের পর থেকে নেইমারের ধারাবাহিক খারাপ পারফরম্যান্স যদি এর একটা কারণ হয়, অপর কারণ মোনাকোর কাছে হারের পর সতীর্থদের সঙ্গে বচসা। ভিটিনহা ও হুগো একিতিকের সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন নেইমার। ক্লাবের এক কর্মকর্তার সাথে বাদানুবাদ হয় তার। ব্রাজিলীয় তারকার আচরণে খুশি নয় ক্লাব। তারা মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়েই খুশি থাকতে চাইছে।
২০১৭-য় বার্সেলোনা থেকে রেকর্ড অর্থে নেইমারকে সই করিয়েছিল পিএসজি। ওই সময়ে নেইমারকে কিনতে পিএসজি-কে খরচ করতে হয়েছিল ২২.২ কোটি ইউরো। এখন পর্যন্ত ক্লাবের হয়ে ১৭১টি ম্যাচে ১১৭টি গোল ও ৭৬টি অ্যাসিস্ট করেছেন। তবে বহু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চোট পেয়ে খেলতে পারেননি। তবে সম্প্রতি জীবনের সবচেয়ে খারাপ ছন্দে রয়েছেন নেইমার।
ফ্রান্সের এক সংবাদপত্র জানিয়েছে, মোনাকোর বিরুদ্ধে প্রথম একাদশ নিয়ে খুব একটা খুশি ছিলেন না নেইমার। মাঠে খেলা চলাকালীন মাঝেমধ্যে সতীর্থদের সাথে তর্ক হচ্ছিল তার। দল যে একসাথে খেলছে না সেটা বোঝা যাচ্ছিল। তার ফলও দেখা যায়। ১-৩ গোলে হারে পিএসজি। মোনাকোর হয়ে জোড়া গোল করেন বেন ইয়েডার। আর একটি গোল আলেকজান্ডার গোলোভিনের। পিএসজির হয়ে একমাত্র গোল করেন এমেরি।
ম্যাচ শেষ হতেই মাঠে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন নেইমার। তার ফরোয়ার্ড জুটি হুগো একিটিকের সাথে ঝগড়া হয় তার। আর এক সতীর্থ ভিটিনহার উপরেও রাগ দেখান নেইমার। বচসা গড়ায় সাজঘরেও। দলের খেলায় একটুও খুশি হতে পারেননি ক্লাবের কর্তা লুই কাম্পোস। ফুটবলাররা সাজঘরে ফিরলে তাদের তুলোধনা করতে থাকেন তিনি। সেটা মেনে নিতে পারেননি নেইমার। মালিকের সাথেই বচসায় জড়ান তিনি। নেইমারের সাথে যোগ দেন আর এক ব্রাজিলীয় মারকুইনোসও।
তবে বিবাদ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি পিএসজির কোচ ক্রিস্টোফ গালচিয়ে। তিনি দলের খেলা নিয়ে কথা বলেছেন। গালচিয়ের কথায়, ‘দলের মধ্যে কোনো তাগিদ দেখা যাচ্ছিল না। তার জন্য আমরা বার বার হারছি। এটা লুকোনোর জায়গা নেই। কেন এটা হচ্ছে বুঝতে পারছি না। দলের কোচ হিসাবে আমার দায়িত্ব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা। কিন্তু হচ্ছে না।’
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা