মেসিদের ডাকছে ‘ট্রিপল করোনা’

মেসিদের ডাকছে ‘ট্রিপল করোনা’

আর্জেন্টিনার ভাষা স্প্যানিশ। আর দেশটির ফুটবলপ্রেমীদের কাছে এবার কোপাটা ‘ট্রিপল করোনা’ নামে পরিচিত। যার অর্থ ত্রিমুকুট। মূলত টানা তিনটি ট্রফি জেতার সামনে এখন লিওনেল স্কালোনির দল। 

সোমবার কলম্বিয়ার বিপক্ষে সেই ট্রিফল করোনা জেতার লক্ষ্যে নামবে আকাশি-সাদারা। যেটা এই প্রতিযোগিতায় তাদের ১৬ নম্বর শিরোপাও। সর্বশেষ ২০২১ সালের কোপায় ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিলেন মেসিরা। তবে এবারের ফাইনাল আগের চেয়ে একটু ভিন্ন আবহে। কারণ এটা ডি মারিয়া-ওটামেন্ডিদের শেষ আসর। এমনকি মেসিরও হতে পারে শেষ! সে জন্য তারা চাইবেন সেরাটা দিয়ে হলেও ট্রফিটা ঘরে তুলতে।

গত এক যুগের বেশি সময়ে আর্জেন্টিনার প্রাপ্তির চেয়ে হতাশাই বেশি। কারণ এই সময়ে তারা যতবার ট্রফি জিতেছে, তার চেয়ে বেশি ফাইনালে হেরেছে। ২০১৪ বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে ছিল দলটি। সেবার অনেকেই ধরে নেন আর্জেন্টিনার হাতে উঠবে সোনালি ট্রফিটি। কিন্তু ব্রাজিলের মাটিতে সেবার ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে চোখের জলে বিদায় নিতে হয় তাদের। তার আগে ১৯৯০ বিশ্বকাপেও রানার্সআপ হয়েছিল দলটি। ইতালিতে হওয়া সেই আসরেও জার্মানিতে ডোবে আর্জেন্টিনার স্বপ্নের তরী। এর মধ্যে একের পর এক কোপা আমেরিকার ফাইনালে গিয়ে শিরোপার দেখা পাচ্ছিল না আর্জেন্টিনা। ২০০৪ সালে একবার, এর পর ২০০৭ সালে আরেকবার কোপায় রানার্সআপ হয় দলটি। ২০১৫ ও ২০১৬ টানা দু’বার তারা ফাইনালে হেরে যায়। এক পর্যায়ে মেসিও অভিমানে জাতীয় দলকে বিদায় বলে দেন। পরে আবার সতীর্থরা ও আর্জেন্টিনার সাবেক ফুটবলারদের ডাকে অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ঢোকেন। এর পরই শুরু হয় আর্জেন্টিনার জয়রথ।

শুরুতে ২০২১ কোপা আমেরিকার ফাইনালে ডি মারিয়ার গোলে ট্রফির খরা কাটায় আর্জেন্টিনা। যেটা ছিল নিজেদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসির দেশের জার্সিতে প্রথম শিরোপা। পরের বছর কাতার বিশ্বকাপে নতুন এক আর্জেন্টিনার দেখা মেলে। যে আর্জেন্টিনা ছিল দুর্দান্ত। একটা ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর যেভাবে তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, এককথায় অনন্য।

তার আগেও আবার দুই মহাদেশীয় লড়াইয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। তারা ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে হারিয়ে ফিনালিসিমা নামে একটি শিরোপা জেতে। এবার তাদের সামনে আরেকটি মুকুট জয়ের সুযোগ। যেটা আর্জেন্টিনার মানুষদের কাছে আরও প্রিয়। টানা তিনটি শিরোপা-বাড়তি উচ্ছ্বাস হওয়ারই কথা। এখন দেখার অপেক্ষা সেই চাওয়াটা পূর্ণ করতে পারেন কিনা মেসিরা। নাকি আবার রানার্সআপ হয়ে বাড়ি ফিরতে হয় তাদের। কারণ কোপা আমেরিকা আর্জেন্টিনার জন্য একদিকে যেমন ট্রফির খরা কাটানোর মঞ্চ, অন্যদিকে অপয়াও।

samakal