মুজিব ভাস্কর্য: বাবুনগরী ও মামুনুলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তদন্ত করবে পিবিআই

BBC Bangla

জুনায়েদ বাবুনগরী

ছবির ক্যাপশান,হেফাজতে ইসলামীর আমীর জুনায়েদ বাবুনগরীসহ অনেক ইসলামপন্থী দলের নেতারা ভাস্কর্য-বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।

বাংলাদেশে হেফাজতে ইসলামীর নেতা জুনায়েদ বাবুনগরী এবং মামুনুল হকসহ তিন জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তদন্তের জন্য আজ আদালত পুলিশের একটি তদন্ত সংস্থা পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে।

শেখ মুজিবের ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়ার কারণে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলা করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন নামের দু’টি সংগঠন।

রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলার দু’টি আবেদনের শুনানির পর আদালত পিবিআইকে অভিযোগ তদন্ত করে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে।

এই মামলায় ইসলামী আন্দোলনের নেতা সৈয়দ ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিক্ষোভ
ছবির ক্যাপশান,ইসলামপন্থী দলগুলো ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার বিক্ষোভ করেছে।

ঢাকার ধূপখোলা এলাকায় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবর রহমানের একটি নির্মাণাধীন ভাস্কর্যের বিরোধীতা করে ইসলামপন্থী কয়েকটি দল এবং সংগঠন সমাবেশ করে সাম্প্রতিক সময়ে।

হেফাজতে ইসলামের আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী, যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ইসলামপন্থী কয়েকটি সংগঠনের নেতারা ভাস্কর্য-বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

সম্প্রতি জুনায়েদ বাবুনগরী এক বক্তব্যে বলেছেন, “কেউ যদি আমার আব্বার ভাস্কর্য স্থাপন করে, সর্বপ্রথম আমি আমার আব্বার ভাস্কর্যকে ছিঁড়ে, টেনে-হিঁচড়ে ফেলে দেব।”

মামুনুল হক বিবিসিকে বলেছেন তারা কথা বলেই যাবেন।

কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতি শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ভাস্কর্যবিরোধী কয়েকটি দল।

মামুনুল হক
ছবির ক্যাপশান,মামুনুল হক বিবিসিকে বলেছেন তারা কথা বলেই যাবেন।

যার জেরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাথে ইসলামপন্থী দলগুলোর টানাপোড়েন চলছে।

যে কোন উদ্দেশ্যে ভাস্কর্য তৈরি ‘ইসলামে নিষিদ্ধ’ বলে বিবৃতি দিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন ইসলামী চিন্তাবিদ।

পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে বিতর্ক আরও চাঙ্গা হয়েছে।

বিতর্কের মাঝেই কুষ্টিয়াতে শেখ মুজিবর রহমানের আরেকটি নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়েছে।

আরো পড়েতে পারেন: