শারমিন আহমদ মুক্তাঞ্চল পরিদর্শন করছেন মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, ১৯৭১। ছবি: সংগৃহীত১৯৭১ সালের নয়টি মাস বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। বাংলাদেশের ২৪ বছরের স্বাধিকার আন্দোলন ও সংগ্রাম রূপান্তরিত হয় স্বাধীনতার যুদ্ধে। ওই নয়টি মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের হাল ধরে যিনি তাঁর প্রিয় মাতৃভূমিকে বিজয়ের দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছিলেন, তিনি তাজউদ্দীন আহমদ—বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতাযুদ্ধের অবিস্মরণীয় অধ্যায়ের অনন্য নেতা ও রাষ্ট্রনায়ক। তাজউদ্দীন আহমদকে তাই ভালোমতো না জানলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসও রয়ে যাবে অসম্পূর্ণ। মনীষীরা বলেন যে ইতিহাসে কোনো ফাঁক রাখতে নেই। ফাঁক থাকলেই তাতে ঢুকে পড়ে জঞ্জাল। যার যেখানে স্থান নেই, সে সেখানে তখন স্থান দখল করে বসে। স্বাধীনতার প্রতিপক্ষ, দ্বিধাবিভক্তকারী ও সুযোগসন্ধানীরা তখনই ইতিহাসের বিকৃতি ঘটাতে সচেষ্ট হয়। বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রতীক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধিকার আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা। তাজউদ্দীন আহমদ সেই প্রেরণাকে প্রবাহিত করেছিলেন সুনির্দিষ্ট পথে। পাকিস্তান কারাগারে অন্তরীণ বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাজউদ্দীন তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে শক্তি সঞ্চার করেছিলেন এক আপসহীন স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে। তাজউদ্দীন সম্পর্কে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান তাজউদ্দীন আহমদের ডায়রি: ১৯৪৭-৪৮-এর ভূমিকায় লেখেন, ‘তাজউদ্দীন তাঁর অসাধারণ গুণাবলি দিয়ে বাংলাদেশের আত্ম-অধিকার ও পরে স্বাধীনতাসংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী পার্টিতে প্রথমে কর্মী ছিলেন, পরে এর সাংগঠনিক হাল ধরেছিলেন এবং একাত্তরে একটা অত্যন্ত জটিল অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির মধ্যে জাতির মুক্তিযুদ্ধে সফল রাজনৈতিক নেতৃত্ব দান করেন। এ জাতির ইতিহাসে, তথা বাঙালির আত্মপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তাজউদ্দীনের এই অবদান, অদ্বিতীয় এবং অবিস্মরণীয়।’ তাজউদ্দীন আহমদ: জন্ম: ২৩ জুলাই ১৯২৫, মৃত্যু: ৩ নভেম্বর ১৯৭৫ ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চে, পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর চোখ এড়িয়ে, দুর্গম যাত্রার সঙ্গী ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের সঙ্গে ঢাকা ত্যাগ করার সময় রাস্তা থেকে কুড়িয়ে পাওয়া এক চিরকুটে তিনি তাঁর স্ত্রী সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন লিলিকে লিখেছিলেন, ‘লিলি, আমি চলে গেলাম। যাবার সময় কিছুই বলে আসতে পারিনি। মাফ করে দিও। আবার কবে দেখা হবে জানি না। মুক্তির পর। তুমি ছেলেমেয়ে নিয়ে সাড়ে সাত কোটি মানুষের সাথে মিশে যেও। দোলনচাঁপা।’ সৌরভ ছড়ানো ফুলবাগানের রচয়িতা ও প্রকৃতিপ্রেমিক তাজউদ্দীন আহমদের ছদ্মনাম ছিল দোলনচাঁপা। লাখো-কোটি ফুলকে বাঁচাতে সেদিন তিনি অনিশ্চিত অজানায় পাড়ি জমিয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে, বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে, দৈনিক বাংলায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর দুর্যোগময় যাত্রার সময়ে গৃহীত ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের (৩০ মার্চ ১৯৭১) স্মৃতিচারণা করেন। তিনি বলেন, ‘পালিয়ে যাবার পথে এ দেশের মানুষের স্বাধীনতা চেতনার যে উন্মেষ দেখে গিয়েছিলাম, সেটাই আমার ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে অনিবার্য সুযোগ দিয়েছিল। জীবননগরের কাছে সীমান্তবর্তী টুঙ্গি (কুষ্টিয়া জেলায়) নামক স্থানে একটি সেতুর নিচে ক্লান্ত দেহ এলিয়ে আমি সেদিন সাড়ে সাত কোটি মানুষের স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তা হলো একটি স্বাধীন বাংলা সরকার প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রাম পরিচালনার জন্য কাজ শুরু করা।’ তাজউদ্দীন আহমদের এই যুগান্তকারী ও ইতিহাসের মোড় পরিবর্তনকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্পর্কে ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ‘আমি মনে করি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময়ই ছিল তাঁর জীবনের সেরা সময়, the finest hour।’ ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তরক্ষী প্রধান ইন্সপেক্টর জেনারেল গোলক মজুমদারের সঙ্গে তাঁর ও ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের প্রথম সাক্ষাৎ ওই ৩০ মার্চেই। ক্লান্ত, শ্রান্ত ও অনাহারে ক্লিষ্ট তাজউদ্দীনের প্রথম কথাই ছিল যে ভারত সরকার তাঁদের স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রতিনিধি রূপে গ্রহণ করার পরেই তাঁরা ভারতে আশ্রয় গ্রহণের জন্য ভারত সরকারের আমন্ত্রণ গ্রহণ করবেন। তাজউদ্দীনের কথা শুনে শ্রদ্ধাবনত হয়েছিলেন আই জি মজুমদার। ৩ এপ্রিল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে তিনি বলেছিলেন, ‘এটা আমাদের যুদ্ধ। আমরা চাই ভারত এতে জড়াবে না। আমরা চাই না ভারত তার সৈন্য দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে আমাদের স্বাধীন করে দিক। এই স্বাধীনতার লড়াই আমাদের নিজেদের এবং আমরা এটা নিজেরাই করতে চাই।’ তিনি এ ক্ষেত্রে মুক্তিবাহিনীকে গড়ে তোলার জন্য ট্রেনিং, অস্ত্র সরবরাহ, শরণার্থীদের আশ্রয়, আহার, সারা বিশ্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে প্রচারণার জন্য নিঃশর্ত সাহায্য চেয়েছিলেন এক সার্বভৌম রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অপর এক বন্ধুরাষ্ট্রের কাছে। তাজউদ্দীন আহমদের বক্তব্য–সংবলিত মুজিবনগর সরকারের পোস্টার, ১৯৭১মুক্তিযুদ্ধকালের মাত্র নয় মাসে তিনি যেন সমাপ্ত করেছিলেন শত বছরের কর্ম। স্বাধীন রাষ্ট্রের উপযোগী খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, পুনর্বাসন প্রভৃতি অঙ্গসংগঠনগুলো তিনি সৃষ্টি করেছিলেন; আর দেশ গড়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে জাতীয় মিলিশিয়া গঠনের বিশাল পরিকল্পনা। তাঁর সরকার মুক্তিবাহিনী গঠন, প্রশাসনব্যবস্থা গড়ে তোলা, ভাতা প্রদান, বিশ্বজনমত গঠন সবই করেছিল। বিজয়ের আগেই ১৩ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভায় রাষ্ট্রীয় আইনের মাধ্যমে পাকিস্তান বাহিনীকে সহায়তাকারী দালালদের বিচারের বিষয়টিও গৃহীত হয়েছিল। তাজউদ্দীন আহমদ প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে দেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত তিনি পারিবারিক জীবন যাপন করবেন না। মুক্তিযোদ্ধারা পরিবার ছেড়ে যদি যুদ্ধ করতে পারেন, তাঁদের প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি কেন পারবেন না। অফিসের পাশের ছোট কক্ষে তিনি থাকতেন। যুদ্ধকালে তাঁর সম্বল ছিল একটি মাত্র শার্ট, যা নিজ হাতে ধুয়ে শুকিয়ে তিনি পরতেন। রাজনীতিবিদ তাজউদ্দীন স্বাধীনতাকামী সামরিক ও বেসামরিক দলগুলোকে বৃহত্তর জাতীয় কাঠামোয় সংগঠিত করেছিলেন এবং প্রথম বাংলাদেশ সরকারের রাজনৈতিক নেতৃত্বেই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল। এই বিষয়গুলো স্মরণ না করলে আমরা আমাদের সত্তাকেই হারিয়ে ফেলব। অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর তাজউদ্দীন ও প্রথম বাংলাদেশ সরকার ছাড়া কি স্বাধীন বাংলাদেশ হতো?’ বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি করে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয় এবং সেদিনই স্বাধীন বাংলা বেতারযোগে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন বিশ্ববাসীকে নবজাত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানের আহ্বান জানান। ১১ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য তিনি বিভিন্ন সেক্টরের নাম ঘোষণা করে সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ এবং প্রস্তাবিত মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যদের খুঁজে বের করেন। ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়া জেলার, মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে (তাজউদ্দীন তাঁর নতুন নামকরণ করেন মুজিবনগর) দেশি-বিদেশি সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। সরকার গঠনের শুরুতেই তাজউদ্দীনকে জটিল অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে হয়েছিল, যার জের চলতে থাকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও। শেখ ফজলুল হক মণির নেতৃত্বে যুবদলের এক অংশ তাঁর এবং বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অনাস্থা প্রকাশ করে। ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী র-এর সহায়তায় তারা ক্ষুদ্র গোষ্ঠী স্বার্থে মুজিব বাহিনী গড়ে তোলে, যা স্বাধীনতা অর্জনের পথে ব্যাপক বাধার সৃষ্টি করে। কলার ভেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের দেখতে যাচ্ছেন মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, ১৯৭১। ছবি: সংগৃহীতওদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী খোন্দকার মোশতাক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিক্সন-কিসিঞ্জার সরকারের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করে স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করার উদ্যোগ নেন। তাজউদ্দীনের ভাষায়, ‘পাকিস্তান তার বন্ধুদের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল কিন্তু সফল হয়নি…সংগ্রামের এক পর্যায়ে আমেরিকা প্রশ্ন তোলে, স্বাধীনতা চাও নাকি মুজিবকে চাও। এর উত্তরে আমি বলেছিলাম, স্বাধীনতাও চাই, মুজিবকেও চাই।’ সত্যিই তাজউদ্দীন সেদিন সব ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং জাতির জনকের নিঃশর্ত মুক্তি নিশ্চিত করেছিলেন। এই সুবিশাল অর্জনে তিনি কোনো কৃতিত্ব দাবি করেননি। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি তো শুধু ধাত্রীর কর্তব্য পালন করেছি মাত্র।’ মুক্তিযুদ্ধকালের প্রধানমন্ত্রী ও একই সঙ্গে দেশরক্ষামন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ আরও অর্জনের মধ্যে রয়েছে: ১. ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাসের এই মর্যাদাশীল চুক্তি (তিনি ও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম যা যুক্তভাবে সই করেছিলেন) যে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্ররূপে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরেই ভারতীয় সহায়ক বাহিনী, মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে; ২. বাংলাদেশ সরকার যখনই ভারতীয় সেনাবাহিনীকে বাংলাদেশ থেকে চলে যেতে বলবে তখনই তারা চলে যেতে বাধ্য হবে। তাজউদ্দীনের ভাষায়, ‘এমনকি যুদ্ধের দিনে, সবচেয়ে বিপর্যয়ের সময়ে ভারতীয় বাহিনীকে বলেছি, শ্রীমতী গান্ধীকে বলেছি, বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে তুমি আমাদের দেশে যাবে। বন্ধু তখনই হবে যখন তুমি আমাদের স্বীকৃতি দেবে। তার আগে সার্বভৌমত্বের বন্ধুত্ব হয় না।…যেদিন মনে করব আমাদের দেশে আর তোমাদের থাকার দরকার নেই সেদিন তোমরা চলে যাবে। সেই চুক্তি অনুসারে যেদিন বঙ্গবন্ধু শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীকে বললেন যে ৩০ মার্চের মধ্যে তোমাদের বাহিনী উঠিয়ে নিয়ে যাবে তখনই মিসেস গান্ধী ১৯৭২-এর ১৫ মার্চের মধ্যে সহায়ক বাহিনী উঠিয়ে নিয়ে গেলেন।’ তাজউদ্দীন আহমদের কথা ও তাঁর প্রতিটি কাজের মধ্যে আমরা দেখি মাতৃভূমির মর্যাদা রক্ষায় তীক্ষ্ণ সজাগ, দূরদর্শী ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ এক আত্মপ্রচারবিমুখ ত্যাগী নেতা ও মানুষকে। নতুন প্রজন্ম তাঁকে ও তাঁর মতো ইতিহাস নির্মাণকারীদের যতই চিনবে ততই উজ্জ্বল হবে ইতিহাসের আকাশ ও ভবিষ্যতের পথটি। তথ্যসূত্র: ১. তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরি: ১৯৪৭-৪৮; সম্পাদনা: সিমিন হোসেন রিমি; ঢাকা, প্রতিভাস, ১৯৯৯ ২. তাজউদ্দীন আহমদ: ইতিহাসের পাতা থেকে; সম্পাদনা: সিমিন হোসেন রিমি; ঢাকা, প্রতিভাস, ২০০০ ৩. ড. আনিসুজ্জামান; ‘অনুকরণীয় সেই মানুষটির কথা’: তাজউদ্দীন আহমদ স্মারক বক্তৃতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ২০১৬ ৪. মঈদুল হাসান; মূলধারা ’৭১; ঢাকা, দ্য ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, ১৯৮৬ ৫. আবুল কাসেম ফজলুল হক; ‘তাজউদ্দীন আহমদ ও প্রথম বাংলাদেশ সরকার’: তাজউদ্দীন আহমদ স্মারক বক্তৃতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ২০১৪ ৬. শারমিন আহমদ; তাজউদ্দীন আহমদ: নেতা ও পিতা; ঢাকা, ঐতিহ্য, ২০১৪