নয়া দিগন্ত
- জসিম উদ্দিন
- ২৩ নভেম্বর ২০২২
মিথ্যা যখন একমাত্র ভরসা – ছবি : নয়া দিগন্ত
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একটি মিথ্যা বললে সেটিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আরো মিথ্যা বলতে হবে। এরপর থেকে তাকে একের পর এক মিথ্যা বলতেই হবে। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে মিথ্যা বলা শুরু করলে সেটি শেষ পর্যন্ত দায়িত্বশীল ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের জন্য একটি ফাঁদ তৈরি করে। এ ফাঁদ থেকে বের হওয়ার অনেক সময় আর কোনো পথ অবশিষ্ট থাকে না। ব্যক্তি নিজে অনুতপ্ত হয়ে ফিরে এলে নিষ্ক্রান্ত হওয়ার একটি সৌভাগ্য পাওয়া যেতে পারে। অনেক সময় একজন মিথ্যুক ক্রনিক সিনড্রোমে আটকা পড়ে। সে এক সময় তার নিজের রচিত মিথ্যাকেই সত্য মনে করতে থাকে। এ ধরনের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আশপাশের মানুষদের শুধু অপেক্ষা করতে হয় পরিণতি দেখার জন্য। এটি এমন এক সঙ্কট তৈরি করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য তাদের হাতে আর কোনো মিথ্যাও অবশিষ্ট থাকে না। বাংলাদেশে এমনটি এখন দেখা যাচ্ছে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত কৌশল করে বাজারে এমন এক খবর ছেড়ে দিয়েছেন, তা ঢাকতে গিয়ে পরিস্থিতি আরো উদোম হয়ে গেল। তিনি একটি অনুষ্ঠানে কায়দা করে বলেছেন, বাংলাদেশের পুলিশ রাতে ভোটের বাক্স ভরে রেখেছে। সারা বিশ্বে গণতন্ত্রের ইতিহাসে এমন ঘটনার আর দ্বিতীয় নজির নেই, তাই তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি কিন্তু কাউকে অভিযুক্ত করেননি। একটি বিকশিত গণতান্ত্রিক দেশের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি শুধু প্রত্যাশা রেখেছেন- এমন অভিযোগ ভবিষ্যতে যাতে আর শুনতে না হয়। এ পর্যন্ত। আমাদের পররাষ্ট্র্র প্রতিমন্ত্রী এরপর কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। জাপানি রাষ্ট্র্রদূতের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই, এমনটি তিনি বলেননি। তবে ইতো নাওকিকে সতর্ক ও ভর্ৎসনা করা নিয়ে যে খবর তিনি দিয়েছেন সেটি ডাহা মিথ্যা না কাট্টা মিথ্যা সেটি একটু খতিয়ে দেখা যেতে পারে। এই মন্ত্রী একই কাণ্ড এর আগেও ঘটিয়েছেন।
শাহরিয়ার আলম এর আগে জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে জানিয়েছিলেন, ইউরোপের দেশ হাঙ্গেরি বাংলাদেশের কাছে করোনার টিকা চেয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়াও আমাদের কাছে টিকা চেয়েছিল বলে তিনি জানান। তখন করোনার ভয়াবহ প্রকোপ সারা বিশ্বে। দরিদ্র দেশগুলো টিকা পাবে কি না তা নিয়ে হাহাকার। বাংলাদেশের টিকা পাওয়া নিয়ে আরো বেশি অনিশ্চয়তা ছিল। একমাত্র ভরসা ভারতের সেরাম যদি টিকা দেয় তবে আমরা নিজেদের টিকা কর্মসূচি শুরু করতে পারব। ঠিক এ ধরনের অনিশ্চয়তায় ভোগা একটি দেশের কাছে হাঙ্গেরি কেন টিকা সহায়তা চাইবে তা নিয়ে জাতীয় সংসদে অবশ্য হাসাহাসি হয়নি। এ সংসদের বড় একটি অংশ ব্যবসায়ী, তারাও বিষয়টি অনুমান করে উঠতে পারেননি তখন।
ভারতের সেরামের কাছ থেকে তিন কোটি টিকা কেনার চুক্তি হয়েছিল। সে জন্য তাদের অগ্রিম অর্থ জোগান দেয়া হয়েছিল। তারা টিকার প্রথম কিস্তি ৫০ লাখ দিয়ে তা সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। প্রতিবেশী দেশটির সাথে আমাদের বিশ্বস্ততার সম্পর্ক ঠিক এভাবে এগিয়েছে। তারা অঙ্গীকার প্রতিশ্রুতির কোনো মূল্য দেয় না। অবশ্য এমনটি বিশ্বের বাকি শক্তিধর দেশের সাথে তাদের ঘটে না। ওই সময় বাংলাদেশ আরো অনিশ্চয়তায় পড়ে যায়, আদৌ কোনো টিকা সংগ্রহ করতে পারবে কি না। যাইহোক, টিকার চালান প্রথমে চীন পরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র্র একাই আমাদের দান হিসেবে ছয় কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব টিকা সহায়তা কর্মসূচি থেকে একটি দেশের জন্য সর্বোচ্চ বরাদ্দ। শাহরিয়ার আলমের ‘হাঙ্গেরির টিকা চাওয়া’ বিষয়টি পরে সেই দেশের একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে বাংলাদেশী মিডিয়ায় এসেছে। প্রকৃত খবরটি ‘টিকা চাওয়ার’ নয়। সেরামের টিকার ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশ তাদের পাঁচ হাজার টিকা শুভেচ্ছাস্বরূপ দিতে চেয়েছিল। সেটিও গ্রহণ করতে হাঙ্গেরি রাজি হয়নি। হাঙ্গেরির মাথাপিছু জাতীয় উৎপাদন প্রায় ২১ হাজার ডলার। এ পর্যায়ে আমাদের পৌঁছাতে কত বছর লাগবে, তা বলার মতো পরিস্থিতি নেই। তবে আমাদের ওপর নিযুক্ত বর্তমান এ লুটপাট সিন্ডিকেট থাকলে বাংলাদেশ কখনো হাঙ্গেরির পর্যায়ে পৌঁছাতে পারবে না নিশ্চিত করে বলা যায়।
জাপানের রাষ্ট্রদূতের ব্যাপারে শাহরিয়ার আলমের চটকদার তৎপরতা আমরা গণমাধ্যমের সংবাদ সূত্রে যাচাই করে দেখতে পারি। রাজনৈতিক নেতাদের কথার সত্যতা যাচাই করার জন্য উন্নত দেশগুলোতে জোরালো ফ্যাক্টচেকের ব্যবস্থা রয়েছে। এ দেশে এখন কোনো ফ্যাক্টচেক সেভাবে হয় না। এমনটি করাও ঝুঁকিপূর্ণ। রাজনৈতিক ময়দানে আসার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কতগুলো মিথ্যা বলেছেন, সবই চেক করে দেখা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এ জন্য কাউকে জেলে যেতে হয়নি। দলীয় লোকের মাধ্যমে মানহানির মামলার শিকার হতে হয়নি। এমনকি বহু কর্তৃত্ববাদী দেশেও এর প্রচলন রয়েছে। ১৬ নভেম্বর দৈনিক যুগান্তর জানায়, জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করেছে। শাহরিয়ার আলমের ফেসবুক পোস্টকে পত্রিকাটি হুবহু কোট করেছে, ‘আমরা বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের অ্যাম্বাসেডরকে ডেকেছিলাম। তাকে যা যা বলা দরকার, আমরা বলেছি।’
ওই পোস্টে ভিয়েনা কনভেনশনের কূটনৈতিক শিষ্টাচার-সংক্রান্ত একটি ধারা তিনি তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেন, ‘যদি আপনাদের কেউ ভুলে গিয়ে থাকেন : ১৯৬১ সালের কূটনৈতিক সম্পর্ক-বিষয়ক ভিয়েনা কনভেনশনের ৪১ ধারার অনুচ্ছেদ ১ কূটনীতিবিদদের গ্রহণকারী দেশের আইন ও বিধি-বিধানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর বিষয় স্মরণ করিয়ে দেয় এবং ওই জাতির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জড়িত হওয়া থেকে সুস্পষ্টভাবে বিরত থাকতে বলে।’ তিনি ওই পোস্টে উল্লেখ করেননি ঠিক, জাপানি রাষ্ট্র্রদূতকে তিনি কিছু বলেছেন কি না। তবে তিনি মন্তব্য করেন, ‘সব কিছু গণমাধ্যমে বিস্তারিত বলার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। তাই এ বিষয়ে কোনো গণমাধ্যমে আমরা আর কোনো বক্তব্য দিতে চাই না।’
শাহরিয়ার আলমের ওই পোস্ট নিয়ে গণমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ করা হয়েছে। তাতে বোঝানো হয়েছে- জাপানি রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপযুক্ত জবাব দেয়া হয়েছে। মান সম্মান থাকলে নাওকি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্তত আর কখনো মন্তব্য করবেন না। এমনকি অন্যান্য রাষ্ট্রদূতরাও এ থেকে শিক্ষা নেবেন। এরপর সবাই সাবধান হয়ে যাবেন। সরকারের একেবারে শিরদাঁড়া মেরুদণ্ড অবস্থান দেখে বাঙালি হিসেবে আমরা গর্ব করতে পারি। আমরা বিশ্বের গরিব দেশগুলোর অন্যতম। এ দেশের বাজেটের বিরাট একটি অংশ এখনো আসে দান-অনুদান ও সাহায্য হিসেবে। এ দেশের দারিদ্র্যবিমোচন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিশু টিকাদান ও শিক্ষা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র্রের মতো ধনী দেশগুলোর ওপর পূর্ণ নির্ভরশীল হলেও আমাদের ইজ্জত অনেক উঁচুতে, সে জন্য আমরা শাহরিয়ার আলমের জোরালো অবস্থান নিয়ে এমন গর্ব করব।
দুর্ভাগ্য হচ্ছে- শাহরিয়ার আলমদের এ মর্যাদাবোধ সবসময় জাগ্রত হয় না। তাদের মেরুদণ্ডে এতটা জোর অনেক সময় দেখা যায় না। নির্বাচন নিয়ে জাপানি রাষ্ট্রদূত শুধু একটি মন্তব্য করেছেন, কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেননি। ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে ভারতের রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্র সচিবের নাক গলানোর কথা পাঠকরা হয়তো ভুলে গেছেন। তখনকার ভারতীয় হাইকমিশনার ঘন ঘন নির্বাচন কমিশনারের সাথে দেখা করেছেন। এই রাষ্ট্র্রদূত কেন ওই বিতর্কিত নির্বাচনের আগে এতবার নির্বাচন কমিশনে গেলেন? এ ছাড়া হাইকমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা একই ধরনের তৎপরতা দেখিয়েছেন। সবচেয়ে অশোভন দেখা গিয়েছিল, নির্বাচনের আগে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিংয়ের বাংলাদেশে ঝটিকা সফর। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য তিনি চাপ দেন। এরশাদ তার সাথে বৈঠকের পর গণমাধ্যমে এই চাপাচাপির কথা ফাঁস করে দেন। তিনি জানান, নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ না নিলে দেশ বিএনপি-জামায়াতের দখলে চলে যাবে বলে এই সচিবের পক্ষ থেকে তাকে ভয় দেখানো হয়েছে। এরশাদকে নিয়ে ওই সময় সরকার লুকোচুরি করেছে। এখন দলটির অনেকে অভিযোগ তুলেছেন, এরশাদের জীবন তখন হুমকির মুখে পড়েছিল। দেশী-বিদেশী চাপে দিশা হারিয়ে তিনি নির্বাচনে অংশ নেন। শাহরিয়ার আলমরা ভারতের বিদেশমন্ত্রকের এমন নগ্ন হস্তক্ষেপ তখন দেখতে পাননি।
নাওকিকে সতর্ক করে দেয়ার খবরটি অনেকটা শাহরিয়ার আলমের ভাষ্যে আমাদের সংবাদমাধ্যম জোরালো কাভারেজ দিয়েছে। মিডিয়ার লোকেরা নিজেরা বিষয়টি খতিয়ে দেখেনি। এমনকি পররাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয়ে সেই সময় শাহরিয়ার আলম ছিলেন কি না তারা সম্ভবত সেটিও একটু খোঁজ খবর নেয়নি। এ দেশের সংবাদমাধ্যমের এই দুর্বলতা সবসময় প্রত্যক্ষ করা যায়। পরে মন্ত্রণালয়ে তলব নিয়ে ইতো নাওকিকে প্রশ্ন করে সাংবাদিকরা তাজ্জব হয়ে যান। তিনি জানান, পররাষ্ট্র্র প্রতিমন্ত্রীর সাথে তার সাক্ষাৎ হয়নি। এ ব্যাপারে তাকে ভিয়েনা কনভেনশন স্মরণ করিয়ে দেয়া বহু দূরের ব্যাপার। তারপর শাহরিয়ার আলমের আর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আমাদের পররাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয়ও এ নিয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে নাওকি জানিয়েছেন, তার কাছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাজেট সহায়তা চাওয়া হয়েছে। তিনি এখন পর্যন্ত সাহায্য দেয়ার নিশ্চয়তা এই সরকারকে দিতে পারেননি। পরিকল্পনামন্ত্রী জানালেন, নাওকি তার বন্ধু।’ সরকারের মেরুদণ্ড কতটা শক্ত পোক্ত এই ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গেছে। আমরা যে এখনো ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে অপেক্ষা করছি সেটি বুঝতে বাকি রইল না। এমনটি কখনো হয় না যে, দাতাকে গ্রহীতা ধমক দেবে। ভিখারিরা মালদারের আচরণ শুদ্ধ করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে না। আর ভিখারি যদি হয় দুর্নীতিবাজ, তহবিল তছরূপকারী, মিথ্যুক তাহলে তো এর প্রশ্নই আসে না।
আইন ভঙ্গ বা নিয়ম না মানার জন্য কাউকে তারাই সতর্ক করার, বকা দেয়ার অধিকার রাখেন যারা আইন মানেন ও নিয়ম অনুযায়ী চলেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের দুটো জাতীয় নির্বাচন যে, বৈশ্বিক নির্বাচনী ব্যবস্থায় দুটো কলঙ্ক তিলক এঁকে দিয়েছে এটি দেশ-বিদেশে সবাই জানে। শাহরিয়ার আলমসহ দুটো সংসদের সদস্যদের ৯০ শতাংশের বেশি এভাবে সংসদ সদস্য নিযুক্ত হয়েছেন। জনগণের ভোটের ওপর তাদের নির্ভর করতে হয়নি। এটি যেমন দেশীয় আইন অনুযায়ী বৈধ নয়, একইভাবে গণতন্ত্রের মূল্যবোধেরও পরিপন্থী, এ নিয়ে কেউ অভিযোগ তুললে খোদ অভিযুক্তরা কোনোভাবে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার মুরোদ রাখেন না। ভোট ছাড়া যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা ভোটারের দৃষ্টিতে ঘৃণিত। ভোটাররা এমন অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চান। মিথ্যা ছলচাতুরি করে নিজেদের এ অন্যায়কে সঙ্গত করা যায় না।
আওয়ামী লীগ এখন এমন একটি অবস্থায় এসে পৌঁছেছে, তাদের সত্য বলার আর সামর্থ্য নেই। তারা এখন যা বলছেন, করছেন তার ঠিক উল্টোটা। সম্প্রতি বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে দলটির বলা কথাগুলো তার প্রমাণ। তারা বলছেন, বিএনপির সমাবেশে বাধা দেবেন না, সহায়তা করবেন। কার্যত তারা পুলিশ প্রশাসন, দলীয় নেতাকর্মী এমনকি অন্যান্য সংগঠন ও সংস্থা দিয়ে এগুলোতে শতভাগ বাধা তৈরি করছেন, অসহযোগিতা করছেন। নেতাকর্মীদের রাস্তায় পুলিশ ও দলীয় ক্যাডাররা হয়রানি করছে, সন্ত্রাসী মহড়া দিচ্ছে ও মারছে। পরিবহন সংগঠনের নামে সব জায়গায় ধর্মঘট ডাকছে। ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দিচ্ছে। যখনই তাদের এসব ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয় তাদের সাফ জবাব- এগুলো তারা করছেন না। তাহলে এগুলো কি ভূতেরা করছে, এই মিথ্যাই তাদের এখন একমাত্র ভরসা।
jjshim146@yahoo.com