ভারত মহাসাগরের দেশ মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা মোহাম্মদ মুইজ্জো। শনিবার দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহকে হারিয়েছেন। আলজাজিরা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সলিহ পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি টুইটারে নতুন প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানান।
মোহাম্মদ মুইজ্জোকে ‘ভারত বিরোধী’ নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নির্বাচনের আগে তিনি বলেছিলেন, যদি প্রেসিডেন্ট হতে পারেন তাহলে মালদ্বীপে মোতায়েনকৃত ভারতীয় সেনাদের বের করে দেবেন এবং মালদ্বীপকে ভারতের প্রভাব থেকে মুক্ত করবেন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রথম ধাপে কোনো প্রার্থী এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ায়। মুইজ্জোর দল প্রগ্রেসিভ পার্টির কেন্দ্রিয় নেতা মোহাম্মদ শরিফ বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, আজকের ফলাফল আমাদের জনগনের দেশপ্রেমের প্রতিফল। এবং প্রতিবেশী ও মিত্রদের প্রতি মালদ্বীপের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বকে সম্মান জানানোর আহ্বান।
মোহাম্মদ মুইজ্জো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার অর্থ হলো- দেশটির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অঙ্গনে ভারতের যে প্রভাব রয়েছে সেটি কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। অপরদিকে বাড়বে চীনের প্রভাব।
শনিবার ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই মুইজ্জোর সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতেশুরু করেন। আহমেদ আজান নামের এক সমর্থক লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুইজ্জোকে অভিনন্দন। লড়াই এখনো শেষ হয়নি। ইন্ডিয়া আউট।’
মোহাম্মদ মুইজ্জো এর আগে রাজধানী মালের মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন তিনি আগামী পাঁচ বছরের জন্য পর্যটনসমৃদ্ধ এ দ্বীপ রাষ্ট্রটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন। মোহাম্মদ মুইজ্জোর রাজনৈতিক দল প্রোগ্রেসিভি পার্টি অব মালদ্বীপ- এর নেতৃত্বাধীন জোট এর আগে ২০১৩-২০১৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল। ওই সময় চীনের রোড অ্যান্ড বেল্ট ইনেশিয়েটিভে যোগ দিয়েছিল দেশটি এবং বড় অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বেইজিংয়ের কাছ থেকে বিপুল ঋণ আদায় করে নিয়েছিল।