সরকার হটানোর আন্দোলন আর মাস নয়, মাত্র কয়েকটা দিন বাকি রয়েছে উল্লেখ করে এই আন্দোলনে সবাইকে বুকে সাহস নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসার ডাক দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এখন কিন্তু মাসও নেই, কয়েকটা দিন আছে, আন্দোলন সফলে সেই দিনগুলোকে বুকের মধ্যে সাহস নিয়ে সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে। এই ১৫ বছরে তাদের হাজার হাজার লোককে মেরে ফেলেছে। অনেক লোককে গুম করেছে। ৫০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে কৃষিবিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। আন্দোলনের সফলতার বিষয়ে আশার কথা শুনিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কথা একটাই- আসুন, সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামি। আজকে একটা বিষয় সবাইকে আশা জোগাবে, সাহস জোগাবে যে- দেশের সব মানুষ এক হয়েছে, সব রাজনৈতিক দলগুলো এক হয়েছে। বাম-ডান সবাই একটা কথা বলছে যে, এই সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।’
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী দল সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন ‘সোনালী দল’ এর উদ্যোগে ‘কৃষি উপকরণ ও খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি-কৃষক এবং নাভিশ্বাস’ শীর্ষক এই সেমিনার হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডী।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তাদের নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন কমিশনও বলেছে যে, দেশে নির্বাচনের জন্য এখনও অনকূল পরিবেশ হয়নি। বাংলাদেশের অবস্থাটা এমন হয়েছে, সাধারণ মানুষ ডিম কিনতে পারছে না, শাকসবজি কিনতে পারছে না। কিন্তু নির্বাচনে ঘুষ দেওয়ার জন্য যারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন সেই ডিসি-ইউএনওদের জন্য ৩৬৫ কোটি টাকার নতুন গাড়ি কেনা হচ্ছে। তাদেরকে টাকা দেওয়া হচ্ছে আলাদা করে। এরই মধ্যে তাদের কাছে টাকা পৌঁছে গেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভোট দেওয়ার অধিকার চলে গেছে, বিচার পাওয়ার অধিকারও নাই। সবাই জড়িত হয়ে গেছে.. লুটপাট দুর্নীতিতে। সরকার দেশে মগের মুল্লুক তৈরি করেছে। এখন নতুন সুর শুরু করেছেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি সন্ত্রাসী দল। বিএনপি সন্ত্রাসী দল হলে আপনারা কি? আপনারা সন্ত্রাসের বাবা। আপনারা এই রাষ্ট্রটাকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলেছেন। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে পুরোপুরি সন্ত্রাসের রাজত্ব বানিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছেন।’
সংগঠনের সভাপতি গোলাম হাফিজ কেনেডীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিনসহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কৃষিবিদরা বক্তব্য রাখেন।
সমকাল
