মন্ত্রী-এমপির অনেক স্বজন মাঠ ছাড়েননি

মন্ত্রী-এমপির অনেক স্বজন মাঠ ছাড়েননিদেশের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির তৃণমূলে বিশৃঙ্খলা চরমে পৌঁছেছে। উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই দলেরই তৃণমূল অনেক নেতা কেন্দ্রের নির্দেশ আমলে নিচ্ছেন না। গতকাল মঙ্গলবার ছিল দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এ ধাপে ১৬০ উপজেলার মধ্যে অন্তত ১০ এমপির স্বজন প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়ে গেছেন। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের চাচাতো ভাই এহসানুল হাকিম সাধন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি।

তবে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর (বীরপ্রতীক) ছেলে গোলাম মূর্তজা পাপ্পা রূপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও অন্তত ২৫ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে এবং বিভিন্ন উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলের নেতারা প্রার্থী হন। এর মধ্যে অন্তত ১০ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপির প্রার্থী রয়ে গেছেন। অন্য দুই পদেও বিএনপি নেতা অনেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়াননি।
২১ মে অনুষ্ঠেয় এ ধাপের নির্বাচনে মোট ২ হাজার ৫৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭৩০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৬৩ এবং সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৬২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
এর আগে প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় বিএনপির ৩৫ ও জামায়াতের ২৫ প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে জামায়াত প্রার্থীরা কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও বিএনপি প্রার্থী অনেকেই নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকায় ৮১ জনকে বহিষ্কার করা হয়। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন।
বিএনপির নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কৌশল হিসেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে দলীয় প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এমনকি নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনকে প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশ দেয়। সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বিএনপির মতো আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আভাস মিলছে।

খুলনা বিভাগে এমপির ৩ স্বজন ও বিএনপির ৩ নেতা মাঠে
সমকালের খুলনা ব্যুরো জানায়, দ্বিতীয় ধাপে বিভাগের তিনটি উপজেলায় সংসদ সদস্যদের ভাইসহ আত্মীয়রা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার তাদের কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। তাদের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এমপি রেজাউল হক চৌধুরীর ভাই ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকন, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় এমপি মাশরাফি বিন মুর্তজার চাচাশ্বশুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়জুল হক রোম, চুয়াডাঙ্গার এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুনের ভাতিজা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দার।

বিভাগের চারটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপির পাঁচ নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে দু’জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। তারা হলেন– হরিণাকুণ্ডু উপজেলার প্রার্থী ঝিনাইদহ জেলা জাসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান এবং খুলনার ফুলতলা উপজেলায় জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলাউদ্দিন মিঠুর স্ত্রী জুবায়দা খান সুরভী। ভোটের মাঠে রয়ে গেছেন ফুলতলা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন ও দিঘলিয়া উপজেলায় সেনহাটী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী মো. এনামুল হাচান মাসুম এবং মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো।

রেলমন্ত্রীর চাচাতো ভাই প্রার্থী
ফরিদপুর অফিস জানায়, রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের চাচাতো ভাই এহসানুল হাকিম সাধন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন অপুর চাচাতো ভাই বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া নির্বাচন করছেন।

বগুড়ায় সরেননি এমপির বাবা 
বগুড়া ব্যুরো জানায়, আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া আসনের এমপি খান মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ মেহেদীর বাবা সিরাজুল ইসলাম খান রাজু আদমদীঘি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। তিনি আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি। সিরাজুল ইসলামকে ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হলেও পরে আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর ছেলে খান মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ মেহেদী এমপি নির্বাচিত হন। সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় নেতাকর্মীর সিদ্ধান্তে প্রার্থী হয়েছেন। ছেলে এমপি হলেও তার এখানে কোনো ভূমিকা নেই। খান মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, এমপি হিসেবে তিনি কারও পক্ষে ভোট চাইতে পারেন না। তাই তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। তিনি আরও বলেন, যোগ্যতা থাকলে এক পরিবারের একাধিক জনপ্রতিনিধি এবং দলের পদ-পদবিতে থাকতে পারেন– এতে দোষের কী আছে?

নির্দেশ মানছেন না এমপির ভাই ও বিএনপি নেতা
ময়মনসিংহ থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, সদর উপজেলায় মাঠ ছাড়েননি কোতোয়ালি কৃষক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হোসাইন নূর মোহাম্মদ। তিনি জানিয়েছেন, দলে তাঁর কোনো পদ নেই। এ ছাড়া ভোটে রয়ে গেছেন নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আসাদুজ্জামান নয়ন।

বকশীগঞ্জ আসনের এমপি নূর মোহাম্মদের ভাই নজরুল ইসলাম সাত্তার এবং বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সভাপতি আবদুল রউফ তালুকদারও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। ইসলামপুরে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আ. ছালাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মশিউর রহমান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। শেরপুরে নকলা উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. রাব্বেনুর চৌধুরী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলেও রয়ে গেছেন জেলা বিএনপির সদস্য মোকশেদুল হক।

রংপুর বিভাগে বিএনপি-জামায়াতের ছয় প্রার্থী
রংপুর অফিস জানায়, বিভাগে পাঁচ উপজেলায় বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থী রয়ে গেছেন। দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় রয়েছেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা রেজওয়ানুল ইসলাম রিজু ও শতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা ডা. কুতুবউদ্দিন। কাহারোল উপজেলাতে লড়াইয়ে রয়েছেন সুন্দরপুর ইউনিয়ন বিএনপির পারভেজ আহমেদ। নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে রয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ আরফান সরকার। পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ময়দানদিঘী ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি হাবীব আল আমীন ফেরদৌস ও দেবীগঞ্জে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিমুল ইসলাম বুলবুল। তারা বলেন, ‘দলীয় প্রতীক না থাকায় স্বতন্ত্র হিসাবে নির্বাচন করছেন। দল বহিষ্কার করলে করবে।’

রূপগঞ্জে সরে গেলেন এমপিপুত্র
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, গতকাল শেষ দিনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর ছেলে গোলাম মূর্তজা পাপ্পা। এ ছাড়া চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাবিবুল কাদির তমাল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম মূর্তজা জানিয়েছেন, দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা মেনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এদিকে উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

কুমিল্লায় এমপির ভাই ও সেনবাগে এমপির ছেলে সরেননি 
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, ফটিকছড়িতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক জাহেদুল্লাহ কোরাইশী, বান্দরবানের লামায় চেয়ারম্যান পদে লামা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি জাকের হোসেন মজুমদার, নাইক্ষ্যংছড়িতে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি নেতা তোফাইল আহামদ ভোটে রয়েছেন। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন। সেনবাগে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোর্শেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম দীপু মাঠে আছেন। কুমিল্লা সদর উপজেলায় একক প্রার্থী থাকায় চেয়ারম্যান পদে অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম টুটুল এবং দুই ভাইস চেয়ারম্যান বিনা ভোটে জয়ী হচ্ছেন। সদর দক্ষিণ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দলীয় নির্দেশ অমান্য করে ভোটের মাঠে রয়েছেন কুমিল্লা-১০ আসনের এমপি ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ভাই তিনবারের উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার।

সিলেটে লড়ছেন বিএনপির ৮ প্রার্থী
সিলেট ব্যুরো জানান, দ্বিতীয় ধাপে ১১ উপজেলায় বিএনপির আটজন ভোটের মাঠে রয়েছেন। এর মধ্যে মঙ্গলবার উচ্চ আদালতের নির্দেশে গোয়াইনঘাটে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ (বহিষ্কৃত) শাহ আলম স্বপন। জৈন্তাপুরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পলিনা রহমান।
সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জ বিএনপির চার প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন– জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি নুরুল হক আফিন্দি, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ, তাহিরপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম এবং ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান চৌধুরী সেফু ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপি নেতা ডা. আব্দুল আলী মিয়া।

‘নেতাকর্মীর চাপের মুখে প্রার্থী’
বরিশাল ব্যুরো জানায়, ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনে আওয়ামী লীগের এমপি আলী আজম মুকুলের খালু বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম ও ভগ্নিপতি মো. জাফর উল্যাহ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। ভোলার বোরহানউদ্দিন ও বরগুনা সদরে বিএনপির দুই প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনড়। বরগুনা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম বলেছেন, স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের চাপের মুখে প্রার্থী হয়েছেন। দলের যে কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন। একই রকম বক্তব্য দিয়েছেন বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

আরও ৪ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি
দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় আরও চার নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। তারা হলেন– ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা বিএনপির সহসভাপতি সাবিরা বেগম, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাজিরুল ইসলাম আজহার, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুল মজিদ ও যুবদলের সদস্য সাইফুর রহমান। এ চার নেতাই প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। এ নিয়ে গত কয়েক দিনে একই কারণে মোট ৮১ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি।

সমকাল