মণিপুর সংকট কী বার্তা দিলো?

মঙ্গলবার আগস্ট ২২, ২০২৩ ০৩:৫৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: মঙ্গলবার আগস্ট ২২, ২০২৩ ০৩:৫৯ অপরাহ্ন
মণিপুর

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে দুই নারীকে যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে গত ২১ জুলাই নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদ। ছবি: রয়টার্স

ভারতের মণিপুর রাজ্যের সমস্যার কথা এশিয়া ছাড়িয়ে ইউরোপ-আমেরিকা পর্যন্ত পৌঁছেছে। সেটা আর নিরীহ সমস্যা নেই। কিন্তু অনেকেই এটা দেখে আশ্চর্য হয়েছেন, দেশটির প্রধানমন্ত্রী মণিপুর সহিংসতার বিষয়ে মতামত দিতে কেন প্রায় ৮০ দিন সময় নিয়েছেন। এর উত্তর কিছুটা অনুমান করা যায়।

৫৪৩ আসনের ভারতীয় লোকসভায় মণিপুরের আসন মাত্র ২টি। উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর (সিকিমসহ ৮টি) সব মিলিয়ে লোকসভায় আসন মাত্র ২৫টি। অর্থাৎ লোকসভায় ৫ ভাগ শক্তিও তাদের নেই। অথচ এসব রাজ্যে কয়েক ডজন জাতিগোষ্ঠীর বাস। প্রশ্ন হলো, এত কম রাজনৈতিক শক্তি নিয়ে এসব জাতিগোষ্ঠী কীভাবে তাদের সমস্যা সমাধানে জাতীয় পর্যায়ের নীতি-নির্ধারকদের বাধ্য করতে পারে?

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অনেক ‘অদৃশ্য মণিপুর’

সমস্যাটি কেবল উত্তর-পূর্ব ভারতের নয়। কেবল ভারতেরও নয়। দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়েই কম বেশি একই অবস্থা।

মণিপুরের পাশের জনপদ চিন স্টেটের কথাই ধরুন, মিয়ানমারের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের ৬৬৪ (৪৪০+২২৪) আসনে চিন প্রদেশের জন্য আছে মাত্র (৯+১২) ২১টি আসন। প্রায় একইরকম অবস্থা সেখানকার বিভিন্ন প্রদেশের কাচিন, কারেন ও রাখাইনদেরও। দেশটির সামরিক-বেসামরিক কর্তৃত্ব সংখ্যাগুরু বামারদের হাতেই ছিল এবং আছে। জাতিগত বৈচিত্র্যভরা কোনো দেশে এক জাতির একচেটিয়া আধিপত্য চলতে থাকলে তার ফল কী দাঁড়ায় তার করুণ নজির এখনকার মিয়ানমার।

বাংলাদেশের পার্লামেন্টেও বাঙালি নয় এমন নৃগোষ্ঠীসমূহের উপস্থিতি অতি অল্প। সরাসরি নির্বাচনের ৩০০ আসনে সচরাচর ৩-৪ জনের মতো। সংরক্ষিত ৫০ নারী আসনে ১-২ জন। জাতীয় রাজনীতিতে এখানকার সংখ্যালঘু জাতিগুলো যে প্রভাব বিস্তারের জায়গায় নেই সেটা বলাই বাহুল্য।

শ্রীলঙ্কায় তামিলদের অবস্থাও কমবেশি একইরকম। প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির শ্রীলঙ্কায় একজন তামিলের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়া সহজে মেনে নিতে সিংহলিরা এখনো প্রস্তুত নয়। ২২৫ আসনের পার্লামেন্টে টিএনএর (তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স) সদস্য মাত্র ১০ জন। শ্রীলঙ্কার ৯টি প্রদেশের কেবল উত্তরেরটিতে তামিলরা স্থানীয় সরকার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে। একই ধরনের উদাহরণ আশপাশের দেশগুলোতেও বিস্তর।

পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের যে ২৬৬টি আসনে সরাসরি ভোট হয় তাতে বেলুচিস্তানের জন্য আছে মাত্র ১৬টি আসন। অথচ পাঞ্জাবের জন্য আছে ১৪১ আসন। এরকম আসন বিন্যাসের যুক্তি হলো জনসংখ্যার হিসাব। কিন্তু এর তাৎক্ষণিক ফল হলো নীতি-নির্ধারণী বিতর্কে ও ভোটাভুটিতে জাতিগত সংখ্যালঘুদের দুর্বল থাকা। দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও বেলুচ কণ্ঠস্বর এভাবে পদ্ধতিগতভাবে দুর্বল থেকে গেল। এরকম সমাজে বিচ্ছিন্নতাবোধের জন্ম হওয়া হয়তো স্বাভাবিক। বরং অস্বাভাবিক হলো তাদের বেদনা লুকিয়ে রাখা বা বলপ্রয়োগে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা।

এ অঞ্চলের ছোট্ট ভুটানকে সবাই সুখী মানুষদের দেশ হিসেবে জানেন। সেরকমই প্রচার রয়েছে। কিন্তু সেখানেও জাতিগত সংখ্যালঘু নেপালিভাষীদের বড় এক অংশ বহুকাল তাড়া খেয়ে স্বদেশ ছাড়া হয়ে শরণার্থী।

প্রশ্ন হলো, ভুটানের এই নেপালি, শ্রীলঙ্কার ওই তামিল, পাকিস্তানের বেলুচ কিংবা ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের জাতিগত সংখ্যালঘুরা আর কতদিন তাদের সমস্যাগুলো সমাধানের অপেক্ষায় থাকবে?

প্রশ্নটি এভাবেও করা যায়, এসব দেশের ‘মূল জনগোষ্ঠী’গুলো যখন ছোটদের সমস্যার টেকসই কোনো সমাধান দিতে পারছে না, তখন এই ‘ছোট’রা কী করবে? দেশের ভেতর বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থায় কাঠামোগতভাবে তারা কথা শুনতে বাধ্য করার অবস্থায় নেই। আবার আঞ্চলিক এমন কোনো কাঠামোও নেই, যেখানে সব ছোট ছোট নৃগোষ্ঠী এক জায়গায় এসে একসঙ্গে নিজেদের কথা বলতে পারে। সেরকম হলে হয়ত তারা আরেকটু নিজেদের দৃশ্যগোচর করতে পারত।

‘পরিচয়বাদ’ যেন এক অন্ধকার গহ্বর

অনেকেই এটা বলছেন, মনিপুরের কুকিদের জন্য ভারত সরকার কী করতে পারে? আসলে প্রশ্ন হওয়া দরকার- আদৌ কিছু করতে পারে কি না?

উত্তর ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ দুটোই।

মণিপুর সরকার ও নয়াদিল্লি সরকার অবশ্যই কুকিদের নিরাপত্তা বাড়াতে পারে। নিশ্চয়ই তারা সেটা চেষ্টা করবেন। গত প্রায় ৩ মাস যে সেটা করা যায়নি এর পেছনে মণিপুরের মৈইতৈইদের অসহযোগিতা একটা কারণ। উত্তর-পূর্ব ভারতের আকার-আয়তন-গঠনও আরেক কারণ।

কুকিরা মণিপুর ভেঙে আলাদা রাজ্য চাইছে এখন। ভারত সরকারের এই দাবি মানায় ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা আছে। প্রথমত, কুকিরা মণিপুরের চারদিকের পাহাড়ি এলাকায় থাকে। আর রাজ্যটির রাজধানী ইম্পলে থাকে মৈইতৈইরা বেশি। এরকম একটা জটিল ভূগোলকে উভয়ের সন্তোষমতো বিভক্ত করা যাবে কীভাবে?

দ্বিতীয়ত, কুকিদের এলাকাগুলোর ওপর পাশের নাগাল্যান্ডের নাগাদেরও দাবি আছে। নাগারা চাইছে ‘নাগালিম’ নামে তাদের কল্পিত রাজ্যটিতে মণিপুরের কুকি এলাকাগুলোও যুক্ত করে দেওয়া হোক। তাদের মতে, সেগুলো প্রাচীন নাগা এলাকা। কথাটা একদম মিথ্যাও নয়। মণিপুরে কুকিদের চেয়ে নাগাদের সংখ্যাই বেশি। কুকি আর নাগাদের মিল এটুকুই যে, উভয়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। হয়ত সে কারণেই হিন্দু মৈইতৈইদের সঙ্গে কুকিদের সংঘাতে এখন নাগাদের সহানুভূতি শেষোক্তদের দিকে। কিন্তু অতীতে কুকি ও নাগারাও সশস্ত্র সংঘাতে আহত-নিহত হয়েছে অনেক। তার মানে দাঁড়াচ্ছে মণিপুর ভেঙে দুটি রাজ্য করে একটি মৈইতৈই এবং আরেকটি কুকিদের দিয়ে দিলেই চলতি সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। সেটা ভেঙে দুভাগ করে দেওয়াও সহজ নয়। তবে আজ হোক, কাল হোক এটাই ঘটবে। কুকি ও মৈইতৈইরা শত শত বছর কাছাকাছি থেকেও মানসিকভাবে এখন এত বৈরি যে, কোনোভাবেই আর তাদের বেশিদিন এক রাজ্যে, এক প্রশাসনে রাখা যাবে না। ফলে মণিপুরের চেহারা পাল্টাবে।

অতীতে এভাবে ভারতে বহু নতুন রাজ্য হয়েছে। তাতে কিন্তু প্রত্যাশিত জাতিগত মিলমিশ কায়েম হয়নি। যেমন, আসামের খাসিয়া, জয়ন্তিয়া ও গারো পাহাড়ি এলাকাগুলো নিয়ে একদা মেঘালয় হয়েছিল। বাংলাদেশ লাগোয়া এই রাজ্যে খাসিয়ারা প্রায় ৫০ ভাগ। বাকিদের মধ্যে গারো ও জয়ন্তিয়ারা প্রধান ট্রাইভাল গোষ্ঠী। এর মধ্যে গারোরা এখন মেঘালয়ের ভেতর পৃথক রাজ্য চাইছে। সেটা না হওয়া পর্যন্ত কোনো কোনো গারো সংগঠন তুরাকে রাজ্যের শীতকালীন রাজধানী ঘোষণার দাবি তুলেছে। এই দাবির পটভূমি হলো এখনকার রাজধানী শিলং মূলত খাসিদের এলাকা। এদিকে, তুরাকে ৬ মাসের জন্য শীতকালীন রাজধানী করার জন্য গারোদের দাবি দেখে জয়ন্তিয়ারা বলছে তাদের প্রধান শহর জোওয়াইকে তাহলে বছরের কয়েক মাসের জন্য বসন্তকালীন রাজধানী করতে হবে। এভাবে দাবির ধারাবাহিকতা থেকে স্পষ্ট- ৫ দশক আগে আসাম ভেঙে নতুন রাজ্য হলেও মেঘালয়ে জাতিগত স্বস্তি আসেনি।

এসবই হলো পরিচয়ের রাজনীতির অন্ধকার গহ্বর। কেবল এগোনো যায়, কিন্তু আলো আসে না। কিন্তু ‘পরিচয়ের রাজনীতি’ আমাদের চারদিকের এক রূঢ় বাস্তবতা। এর মুখোমুখি হতেই হবে সবাইকে।

এই সংকটটি তৈরি হয়েছে মূলত উপনিবেশিক শাসনামলে। ব্রিটিশরা ছোট ছোট নৃগোষ্ঠীর জায়গাগুলো দখল করে অনেক ক্ষেত্রে এগুলোর আনুগত্য নিয়েছে- ‘প্রিন্সলি স্টেট’ বানিয়ে রেখেছিল- সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যে হাত দেয়নি। কিন্তু ১৯০ বছর পর যাওয়ার সময় বড় সর্বনাশ করে গেছে তাদের। ভবিষ্যৎ পরিণতি না ভেবেই বিশাল দক্ষিণ এশিয়ার সব জাতিগত সংখ্যালঘুদের সঁপে দিয়ে গেছে ‘সংখ্যাগুরু’দের হাতে। এতেও সমস্যা হতো না- যদি পরাধীনতামুক্ত মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এমন এক রাষ্ট্র গড়ত, যেখানে সংখ্যালঘুদের সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা ও স্বাতন্ত্র্যের নিশ্চয়তা থাকত। সেটা কমই হয়েছে।

‘মণিপুর’ সবার গভীর, গোপন এক অসুখের নামমাত্র

১৯৪৭ সালের পর এ অঞ্চলের স্বাধীন ভূখণ্ডগুলোর সংখ্যাগুরু এলিটরা ক্ষমতা পেয়েই সবসময় চেষ্টা করেছে বিকেন্দ্রীকরণের বদলে কেন্দ্রীভূত রাষ্ট্র কায়েম করতে। দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের হাতে নানা প্রক্রিয়ায় তুলে দেওয়া হতে থাকে এসব অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ। এটা নির্বিঘ্ন করতে গিয়ে ‘ক্ষুদ্র’ জাতির এলাকাগুলোতে এক ক্ষুদ্রকে আরেক ক্ষুদ্রের বিরুদ্ধে লাগিয়ে রাখার কৌশল নেওয়া হয়। প্রায় সর্বত্র সংখ্যালঘু জাতিগুলোর ভেতর থেকে অনুগত একদল রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী তৈরি করা হয় সংখ্যাগুরুর স্বার্থ দেখার জন্য। সাংস্কৃতিক হেজিমনি তৈরি করতে সেসব এলাকায় দুটি বাড়তি কর্মসূচি নেওয়া হয়। প্রথমত, পর্যটনের বিস্তার ঘটানো; দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনকে কাজকর্ম বাড়াতে উৎসাহ যোগানো। আপাতদৃষ্টিতে খুবই নিরীহ হলেও এই দুই কর্মসূচি দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংখ্যালঘু জনপদগুলোর আদি-শান্তি নষ্ট করতে ভালোই অবদান রেখেছে। এরকম প্রায় সব এলাকা কম বেশি বহিরাগত এক সাংস্কৃতিক হেজিমনির শিকার এখন। এরকম নানাবিধ পথে এসব অদৃশ্য হস্তক্ষেপগুলো ঘটেছে গত ৭০-৮০ বছরে। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে গড়ে উঠেছে বিধ্বংসী এক পরিচয়বাদী রাজনীতি। যা চরিত্রের দিক থেকে ঘৃণাবাদী ও রক্ষণশীল। কিন্তু এর ভেতর দিয়ে প্রত্যেক জাতিগত ‘সংখ্যালঘু’ তার বঞ্চনার মুক্তি ঘটবে বলে মনে করে।

মণিপুরে সেটাই দেখছি আমরা। এটাকে দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটা প্রতীকী ঘটনা হিসেবে দেখলে তা থেকে শিক্ষণীয় অনেক কিছু পাওয়া সম্ভব। মৈইতৈই-সমতল আর কুকি-পাহাড় শত শত বছর শান্তিতে পাশাপাশি ছিল। আর এখন তারা পরস্পরের নারীদের উলঙ্গ করে প্রদর্শনীর আয়োজন করার মতো বর্বর আচরণও করছে। এটা দেখে কেবল নয়াদিল্লির নিন্দা করে গেলে আমরা এগুতে পারব না। বরং ভাবা দরকার, কীভাবে জাতিগত সংখ্যালঘুদের জনপদগুলো এই জায়গায় এল এবং কীভাবে তা থেকে বের হওয়া সম্ভব?

এর উত্তর হলো, বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ভরকেন্দ্রে থাকা শহুরে সংখ্যাগুরুরাই এই প্রতিক্রিয়াশীল অবস্থা তৈরি করেছে। এটা হঠাৎ সৃষ্ট সমস্যা নয়। এটা কায়েম হয়েছে নানা অপকৌশলে দশকের পর দশক চেষ্টায়। এ থেকে মুক্তির পথ রাষ্ট্র কাঠামোর আমূল সংস্কার। প্রশাসনের আমূল বিকেন্দ্রীকরণ। সংখ্যালঘুদের সঙ্গে সংলাপ। উপনিবেশিক আমল থেকে ক্ষমতা ও সংস্কৃতির যেসব ভরকেন্দ্র তৈরি হয়ে আছে সেগুলোর একচেটিয়াত্বের অবসান। তার জন্য দক্ষিণ এশিয়া বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আদৌ প্রস্তুত নয়। এক দেশ কেবল অপর দেশের ‘মণিপুর’ দেখে গোপন সুখ উপভোগ করে। কিন্তু কেউই বুঝতে পারছে না- এটা তাদের সবার গভীর-গোপন-অসুখ।

আলতাফ পারভেজ: ইতিহাস বিষয়ে গবেষক

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)