জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিভাগীয় (দলের সাংগঠনিক বিভাগ) পর্যায়ে সমাবেশ করছে বিএনপি। চট্টগ্রামে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে।
আগামীকালের গণসমাবেশে যোগ দিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকে ইতিমধ্যে রংপুরে পৌঁছেছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে সমাবেশস্থলের মাঠে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ, যুগ্ম মহাসচিব হারুন উর রশিদ, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমাবেশের প্রধান সমন্বয়কারী আসাদুল হাবিব (দুলু), সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, কৃষক দলের মহাসচিব শহিদুল ইসলাম (বাবুল), ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনোকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ জুয়েল, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামানসহ বিভিন্ন জেলার নেতারা।
এদিকে বিএনপির সমাবেশের আগে আজ সকাল ছয়টা থেকে কাল সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত রংপুরে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় রংপুর জেলা বাস মালিক সমিতি। তবে বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে ধর্মঘটের আগের দিন রাতে দূরের জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা রংপুরে চলে আসেন। আজ সকাল থেকে ট্রেন ও ছোট ছোট যানে দলটির নেতা-কর্মীরা রংপুরে আসতে থাকেন।
নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাস না চললেও ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সর্বাত্মক চলাচল করছে। দিনভর শহরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে রংপুরে প্রবেশপথগুলোতে কোথাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের তৎপরতাও চোখে পড়েনি।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান জানান, বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ব্যক্তিদের শহরের উত্তম এলাকার একাকী গুদাম, স্কুল ঘর এবং রবার্টসনগঞ্জ স্কুল ও মাঠে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে খিচুড়ি-সবজি রান্না করা হচ্ছে। পাশাপাশি মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে পাটের বস্তা, কম্বল ও চাদর সরবরাহ করা হয়েছে।
এদিকে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহল থাকলেও সমাবেশস্থলে তাঁদের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়নি। দূর থেকে মাঠের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে জনগণ। আর মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।