- অনলাইন প্রতিবেদক
- ০৬ আগস্ট ২০২২, ২০:৩৯
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট ও ভয়াবহ দুঃশাসনে দেশ এখন দেউলিয়াত্বের পথে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, সরকারের তথাকথিত উন্নয়নের মিথ্যা ও কল্পকাহিনীর ফিরিস্তি শুনতে শুনতে মানুষ এখন ক্লান্ত ও বিরক্ত। এমনিতে দ্রব্যমূল্যের বেসামাল ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশাহারা, তার ওপর শুক্রবার মধ্যরাত থেকে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার অধিকারটুকুও হারাতে বসেছে।
শনিবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গতরাতে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ। জ্বালানি তেল যথা কেরোসিন, ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেনের এই দাম বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিদ্যুৎ, কৃষি ও শিল্প উৎপাদনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। খাদ্যপণ্যসহ শাকসবজির দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাবে। এমনিতেই গত কয়েক মাস ধরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হু হু করে বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিবহন এবং গণপরিবহনের ভাড়ায় নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে। তাতে মূলত নিম্ন আয়ের মানুষ চরম সংকটের মধ্যে পড়বে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের নীতিই হচ্ছে অসাধু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মানুষকে শোষণ করে তাদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া। অথচ স্বল্প আয়ের মানুষই জনগণের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ।
জনগণের প্রতি অনির্বাচিত ভোটারবিহীন সরকারের কোনো দায় থাকে না। আওয়ামী স্বৈরশাহী দেশ থেকে গণতন্ত্রশূন্য করেছে যাতে তাদেরকে কোনো জবাবদিহি করতে না হয়।
তিনি বলেন, বেপরোয়াভাবে নিজেদের লুটপাটের স্বার্থে জনগণের ওপর স্টিম রোলার চালাতে তারা দ্বিধা করছে না।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় এবং জনগণ এই জুলুমবাজ সরকারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বলেই জনগণের প্রতি প্রতিশোধ নিতেই সরকার একের পর এক জ্বালানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্য জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে। যদিও বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে।
তাই অবিলম্বে রাজপথে নেমে এসে সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলাই এখন গণতন্ত্রকামী মানুষের একমাত্র কর্তব্য বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, এই জালিম সরকারের কবল থেকে দেশ ও জনগণকে এখনই মুক্ত করতে না পারলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। সুতরাং স্বৈরাচারের পতন ছাড়া জনগণের কোনো নিস্তার নেই।