মসজিদে পুলিশের ওপর শার্টপ্যান্ট পরা কিছু ছেলে্র হামলার ভিডিও দেখেছি। তাদের রক্ষার জন্য আলেম, ওলেমা, মুসল্লি ও মাদ্রাসার ছাত্রদের প্রাণপণ চেষ্টা দেখেছি, মাইকে মসজিদ আল্লার ঘর এখানে হামলা করতে নিষেধ করবার আহ্বান বারবার শুনেছি। ক্ষুব্ধ জনতার মধ্য থেকে ‘দরজা ভাঙ্গা হচ্ছে পুলিশ পেটানো হবে’ এই চিৎকারও শুনেছি। আলেম ওলেমা ও মাদ্রাসার ছাত্ররা দরজা ভেঙে ফেলা প্রাণপণ ঠেকাবার চেষ্টা করছেন দেখেছি। সর্বশেষ দেখছি বিবিসির প্রতিবেদন। সনাতন ধর্মাবলম্বিদের মন্দির ভাঙা হয়েছে, অনেকের বাড়িঘর ভাঙা হয়েছে, একজন মারধোরের অভিযোগও করেছেন।
আমি বার বার বলেছি এবং বারবার বলে যাব, বাংলাদেশে অমুসলিম, বিশেষত সনাতন ধর্মাবলম্বিদের ওপর যে কোন প্রকার হামলা মূলত উপমহাদেশে নরেন্দ্র মোদীর হিন্দুত্ববাদকে শক্তিশালী করে এবং বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের তৎপরতা ও অন্তর্ঘাতমূলক কাজকে প্রশস্ত করে। বাংলাদেশের সীমান্ত একদিকে ভারত আর অপরদিকে মায়ানমার দ্বারা পরিবেষ্টিত। স্বাধীনতা, জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন সরাসরি সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবার সঙ্গে জড়িত। কারণ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রতিবেশী দেশের জনগণকে প্রভাবিত করে, প্রতিক্রিয়া ঘটে। যা বাংলাদেশের ্নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারছে কারণ ক্ষমতাসীন সরকার মনে করে দেশের অভ্যন্তরে অন্তর্ঘাতি শক্তিকে প্রশ্রয় না দিয়ে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। হিন্দুত্ববাদী শক্তির সমর্থন নিয়েই ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে।
এটা অবিশ্বাস্য মনে হয় যে বারবার কোন না কোন হিন্দু ছেলের আইডি হ্যাক হয় এবং ধর্মীয় উত্তেজনা তৈরি করা হয়। প্যাটার্ন তো একই রকম। এটাও অবিশ্বাস্য মনে হয় এই ধরনের হ্যাকিং সরকার প্রতিরোধ বা বন্ধ করতে সক্ষম নয়। আসলেই। কেন পারে না?
ক্ষমতাসীনদের প্রশ্রয়ে এইসকল ঘটনা ঘটছে কি? ঘটছে না বোঝার উপায় হচ্ছে ভোলায় যারা মন্দির ও বাড়িঘর ভেঙ্গেছে তারা প্রশাসনের অপরিচিত নয়। হতে পারে না। তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন।
অথবা প্রমাণ করুন বিবিসির প্রতিবেদন ভূয়া।