৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভরাডুবির পর জাতীয় পার্টিতে অস্থিরতা চলছে। লাঙ্গলের পরাজিত প্রার্থীরা অভিযোগ করছেন, নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরকারের কাছ থেকে টাকা পেয়েছে জাতীয় পার্টি। প্রার্থীদের সেই টাকা না দিয়ে নিজেরা ভাগ করে নিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ শীর্ষ নেতারা। তবে এসব অভিযোগ নাকচ করে সমকালকে একান্ত সাক্ষাৎকারে জি এম কাদের বলেছেন, কেউ টাকা দেয়নি। তছরুপের প্রমাণ না দিলে মানহানি মামলা করবেন। সমঝোতার ২৬ আসন ছাড়া সব জায়গায় সরকারি দল ভোট ছিনিয়ে নিয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, সাক্ষী আছে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ১১ আসন পাওয়াকে সফলতা মনে করেন জি এম কাদের। তিনি বলেছেন, যেখানে বিএনপিসহ অন্য কোনো দল টিকতেই পারছে না, সেখানে ১১ আসন পাওয়া কম কথা নয়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রাজীব আহাম্মদ
সমকাল: জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা অভিযোগ করছেন, নির্বাচনে অংশ নিয়ে বড় অঙ্কের টাকা পেয়েছেন। কিন্তু প্রার্থীদের দেননি।
জি এম কাদের: দু-তিনজন বা চারজন যারা নির্বাচন করেছিল, তারা বলছে, আর্থিক সহায়তা পায়নি। আমরা তা তছরুপ করেছি। প্রথম কথা হলো, যারা এগুলো বলছে, তাদের কাছে কি কোনো প্রমাণ আছে? আমরা বড় অঙ্কের অর্থ পেয়েছি আর তাদের দিইনি। যদি প্রমাণ না থাকে, তাহলে এ ধরনের কথা বলা ও আমার বিরুদ্ধে টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগ করা এবং তা সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা, মানহানির মামলার জন্য যথেষ্ট। এটা আমি যাচাই করে দেখছি, কী করা যায়। এ ব্যাপারে আমাকে ব্যবস্থা নিতে হবে। অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে একটা কথা বলা হচ্ছে, যেখানে আমরা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য কোনো ফান্ড পাইনি। কেউ প্রমাণ করতে পারবে না, কোনোখান থেকে ফান্ড পেয়েছি এবং নিজেরা মেরে দিয়েছি। যদি তছরুপ করে থাকি, সেটারও প্রমাণ দরকার। যদি ফান্ড পেয়ে থাকি, তারও প্রমাণ দরকার। যারা প্রমাণ ছাড়া কথা বলছে এবং প্রচার করছে, তাদের উদ্দেশ্য হলো আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা।
সমকাল: নির্বাচনে অংশ নিতে চাপ ছিল না কিনা?
জি এম কাদের: এ প্রশ্নের উত্তর দেবো না।
সমকাল: লাঙ্গলের প্রার্থীদের আরেকটি বড় অভিযোগ হচ্ছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতায় আপনার স্ত্রী শেরিফা কাদেরের জন্য ঢাকা-১৮ আসন ছাড় পেয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই আসন পাওয়ার জন্য জাপার জ্যেষ্ঠ নেতাদের আসন ছেড়ে দিয়েছেন।
জি এম কাদের: প্রথম কথা হচ্ছে, কোনো আসন সমঝোতা হয়নি। কোনো জোটে যাইনি। কোনো আসন ভাগাভাগি হয়নি। সরকারি দল যখন বলল, আপনারা নির্বাচনে আসেন, তখন আমাদের (জাপার) প্রতিনিধি সেখানে গেছেন। প্রতিদিনই তারা ব্রিফ করেছেন আমাদের। দলের অন্যদের জানিয়েছি কী কথা হচ্ছে।
জাতীয় পার্টি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছিল। তাদের (সরকারি দল) তখন বলেছি, আপনারা যেভাবে চাইছেন, সেভাবে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমাদের দরকার ছিল দলীয়করণ যেন না হয়। সরকারি দল বিপুল অর্থ ও পেশিশক্তি নিয়ে মাঠে নামবে, যা রোধ করার শক্তি আমাদের নেই। তারা জোর করে ভোট দখল করে ফেলবে। এটা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি।
তখন তারা (আওয়ামী লীগ) একটি ফর্মুলা দিল। তারা অনেক জায়গা থেকে তাদের প্রার্থী উঠিয়ে নেবে। নৌকার প্রার্থী থাকবে না। একই সঙ্গে বলল, তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবে। তারা কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থী নয়। তাদের আওয়ামী লীগের পদপদবি সবই থাকবে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীও তাদের সঙ্গে থাকবে, শুধু নৌকা প্রতীক থাকবে না। এভাবে প্রস্তাব দিয়ে বলেছিল, ‘বাকিটা আমরা দেখব। যেসব আসন আপনারা (জাপা) চাইছেন, এর বাইরেও যদি লাঙ্গলের প্রার্থী থাকে, তাদের জন্য স্পেশাল কেয়ার নেব। সেখানে যেন পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন না হয়।’
এটা ছিল সমঝোতা। এর ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের কাছে ৫০-৬০টি আসনের কথা বলেছিলাম। তাদের বলেছিলাম, ‘এগুলো থেকে নৌকার প্রার্থী সরিয়ে নেন, তাহলে আমরা লড়াই করে জিতে আসব।’ এরপর আওয়ামী লীগ যে ২৬ আসন ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছিল, তা ৫০-৬০টির যে কয়টি ভালো মনে করেছে তা দিয়েছে। তাদের যেগুলো পছন্দ হয়েছে, সেগুলোই দিয়েছে।
আমরা আরও কিছু বেশি আসন চেয়েছিলাম। তখন বলা হলো, তালিকা দিন। আমি ১০-১৫টি আসনের তালিকা দিয়েছিলাম। যাঁরা যাঁরা এখন অভিযোগ করছেন, তাদের আসনও ছিল তালিকায়। তারা তা জানতেন। সরকারি দল থেকে তখন আমাকে বলা হলো, ‘এগুলো বিবেচনা করা হবে।’ প্রথম তারা জানাল, আমার স্ত্রীর জন্য ঢাকা-১৮ আসন দিয়ে দিয়েছে।
তখন আমি বারবার বলেছি, বাকিগুলোর কী হবে। তখন তারা বলেছে, ‘যেখান থেকে সিদ্ধান্ত হবে, সেখানে কথা হচ্ছে। এটা হয়ে যাবে। আপনি চিন্তা করবেন না।’ যারা এগুলো বলেছিল, তারা আমার সামনেই বসা ছিল। কিন্তু তারপর যখন বিকেলে (১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে) তালিকা বের হলো, তখন দেখা গেল আমার স্ত্রীর আসন আছে, কিন্তু লালমনিরহাট-৩ আসন নেই। আমি এই আসনের বর্তমান এমপি। সেই আসন থেকে নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহারের কথা ছিল। কিন্তু লালমনিরহাট-৩ বাদ দিয়ে আমার স্ত্রীর আসন ঢুকিয়ে দেওয়া হলো তালিকায়। ততক্ষণে সময়ও শেষ।
বলা হলো, জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেসব আসন দেওয়া হয়েছে, এর অনেকগুলো জাতীয় পার্টি চায়নি। এগুলো তারা নিজের ইচ্ছায় দিয়েছে। কাজেই আমাদের কোনো ফেভার করা হয়নি। আমার সামনেই জাপার ছাড় না পাওয়া প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, ‘আপনাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হবে। আপনাদের কোনো ডিস্টার্ব করা হবে না।’
সমকাল: এই প্রতিশ্রুতি আওয়ামী লীগের নেতারা, নাকি অন্য কেউ দিয়েছিলেন?
জি এম কাদের: আওয়ামী লীগের নেতারাই দিয়েছিলেন। তবে অন্য কেউ আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের জানিয়েছিলেন। ওখান থেকে বলা হয়েছে, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা এখন এই কথা বলেছেন। এখনই এটা হয়ে যাবে। সর্বোচ্চ জায়গা থেকে এটা ফাইনাল করা হবে।’ আমাদের পরের দিনও (১৮ ডিসেম্বর) বলা হলো, ‘এসব আসন থেকে নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহার করা না হলেও এগুলো স্পেশালভাবে দেখা হচ্ছে। চিন্তা করবেন না।’
কিন্তু তার পর যা হলো, নির্বাচনের দিন দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে লালমনিরহাট-৩ আসনের সব ক’টি ভোটকেন্দ্র দখল করে নিল। এর তিন-চার দিন আগে থেকে জাপার প্রার্থীকে মেরে আহত করা হলো। সব অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু ডিসি-এসপিরা কোনো সহযোগিতা করেননি। নির্বাচনের দিন জাতীয় পার্টির এজেন্ট বের করে দিয়ে জোর করে সিল মেরেছে। যেখানে এজেন্টরা ধরতে গেছে, সেখানে পুলিশ বাধা দিয়েছে। জাতীয় পার্টির এজেন্টদের বেঁধে রেখেছে। এগুলোর সব প্রমাণ আছে।
ঢাকা-১৮ আসনে এসে যা শুনলাম, ৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি। একজন আমাকে বলল, ‘ভোট দিতে গিয়েছিলাম। গিয়ে শুনি ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়েছিলাম, একজন এসে ভোট দিয়েছে। ২টার পর সব কেন্দ্র দখল করে তারা সিল মেরেছে।’
জাতীয় পার্টির যে প্রার্থীরা অভিযোগ করছেন, তারা কিন্তু এগুলোর সব জানেন। যেসব আসনে আমাদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে, এর বেশির ভাগ জায়গায় জোর করে নেওয়া হয়েছে। কিছু জায়গায় সুষ্ঠু ভোটও হয়েছে। তবে ২৬ আসনের বাইরে সব জায়গায় ১০০ শতাংশ জোর করে নেওয়া হয়েছে।
সমকাল: তাহলে কি নির্বাচনের ফলাফল বর্জন করছেন?
জি এম কাদের: নির্বাচনে অংশ নিয়েছি, ফল বর্জন করার প্রশ্ন আসছে কেন? ২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনে কয়টি আসন পেয়েছিল? ছয়টি আসন পাওয়ার পর বিএনপির প্রার্থীরা কি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে? টাকা দেয়নি, টেলিফোন ধরেনি, এ কথা বলেছে কেউ?
সমকাল: বিএনপি তো ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছিল।
জি এম কাদের: প্রথম দিন থেকেই তো বলছি, সরকারের নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন হয়েছে। যেমন আমার রংপুর-৩ আসনে শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। আওয়ামী লীগের লোকজন আমার বিরুদ্ধে যে প্রার্থী ছিল, তাঁকে ভোট দিয়েছেন। অনেক জায়গায় আগে থেকেই ঠিক করা ছিল কে পাস করবে। তা বুঝতে পেরেছিলাম। জাতীয় পার্টির যারা প্রার্থী ছিলেন, তারা তথ্যপ্রমাণসহ জানিয়েছেন।
অনেক জায়গায় ফ্রি স্টাইল নির্বাচন হয়েছে। যার টাকা-পয়সা পেশিশক্তি আছে, আসন ছিনিয়ে নিয়েছে। তবে সরকার যেখানে চেয়েছে, সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। তাই ফলাফল সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করিনি। বিএনপি ফলাফল বর্জন করলেও সংসদে ছিল। আমরা ফলাফল গ্রহণের কথা বলিনি।
আমার স্ত্রী আসন ছাড় পেয়েছে বলেই নির্বাচলের ফলাফল মেনে নিয়েছি, না হলে মেনে নিতাম না– এমন নয়। অনেক সিদ্ধান্ত ছিল, যা বিস্তারিত বলতে চাইছি না।
তারাই জোর করে বলেছিল, নির্বাচনে থাকতে হবে। নির্বাচনে থাকতে আমার আপত্তি ছিল না। আমি যখন বললাম… তখন তারা বলল, এভাবে (আসন সমঝোতা) করেন। আমার তরফ থেকে কাউকে ফেভার করার সুযোগও ছিল না। কারণ সবকিছু আওয়ামী লীগ করেছে। তারা এমন করেছে, যখন আর সময় ছিল না। তাই জেনেশুনে সব মেনে নিয়েছে।
সমকাল: বললেন ‘তারাই নির্বাচনে থাকতে জোর করেছিল।’ এই ‘তারা’ কারা?
জি এম কাদের: এটা এখন বলতে পারব না। এগুলো নিয়ে কথা বলব না। তবে এমন একটা পরিবেশ ছিল, জাতীয় পার্টির নেতারাও নির্বাচনের পক্ষে ছিলেন। নইলে দলের অস্তিত্ব সংকট দেখা দিতে পারে। অনেক সমস্যা হতে পারে। দলের রাজনীতি ও দল টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছিল বেস্ট চয়েজ। অন্যকিছু আমাদের জন্য খারাপ হতে পারে।
সমকাল: জাপার ১৪ নভেম্বরের যৌথ সভায় সব নেতা তো এক সুরে নির্বাচন বর্জনের মত দিয়েছিলেন।
জি এম কাদের: দলের চেয়ারম্যানকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, দেখেশুনে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি দেখেশুনে বুঝলাম, নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে, নির্বাচন ঠেকানো যাচ্ছে না। জাতীয় পার্টির যেসব নেতা এখন চিৎকার করছেন, তারাও নির্বাচনের পক্ষে ছিলেন।
সমকাল: উন্নত গণতন্ত্রে দল হারলে নেতৃত্ব দায় নেয়।
জি এম কাদের: ছয় আসন পাওয়ার পর বিএনপির নেতৃত্ব কি দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করেছিল?
সমকাল: বিএনপি তো ২০১৮ সালের নির্বাচনকেই প্রত্যাখ্যান করেছিল।
জি এম কাদের: আমরাও তো নির্বাচন মেনে নিইনি (অ্যাকসেপ্ট করিনি)। শর্তযুক্ত মেনে নিয়েছি। আর দায়দায়িত্ব আমার একার নয়। জাতীয় পার্টি ১১ আসন পেয়েছে, ভরাডুবি হয়নি। বিএনপি ৬ আসন পেয়েও তো বলেনি, ভরাডুবি হয়েছে। তারা বলেছে, ‘নির্বাচন ভালো হয়নি। ফলে আরও অনেক বেশি আসন পেতাম।’ সত্যি অনেক ভালো করার কথা তাদের ছিল। আমাদেরও অনেক ভালো করার কথা ছিল। কিন্তু জোর করে হারিয়ে দিয়েছে। এগুলোর প্রমাণ আছে। বিভিন্ন জায়গায় কীভাবে ভোটকেন্দ্র দখল করা হয়েছে, কীভাবে ব্যালটে জোর করে সিল মারা হয়েছে, কীভাবে ভোটারশূন্য কেন্দ্রে ঢুকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা পোলিং অফিসাররা পর্যন্ত সিল মেরেছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলার পরও অ্যাকশনে যাননি। পুলিশকে বলার পর যারা বাধা দিতে গিয়েছে, তাদের মারধর করা হয়েছে। এগুলোর সাক্ষী আছে আমার কাছে।
তাহলে জাতীয় পার্টির ভরাডুবি হবে কেন? যেখানে সারাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ পাস করেনি। কল্যাণ পার্টি একটা আসন পেয়েছে, তাও সরকারি আনুগত্যে। সরকারি দলের বাইরে যদি একটা আসনও পাই, ১০টা আসনও পাই, তাহলে তো আমরাই আছি। আর কেউ তো নেই। জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টির কেউ নিজের প্রতীকে জিততে পারেননি। যে পরিস্থিতিতে ১১ আসন পেয়েছি, তাকে ভরাডুবি বলবেন কেন?
সমকাল: স্বতন্ত্র এমপি হয়েছেন ৬২ জন। জাপার মাত্র ১১ এমপি। প্রধান বিরোধী দল হতে পারবেন?
জি এম কাদের: স্বতন্ত্ররা কোনো দল নয়। বিরোধী দলের নেতা হওয়ার জন্য লালায়িত নই। বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করে যাব।