গতকাল বৃহস্পতিবার এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে এক দফা এবং নির্বাচন কমিশন যে একতরফা তফসিল ঘোষণা করেছে, তার প্রতিবাদে হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এখন ঘোষিত হরতালের কর্মসূচি আরও কার্যকরীভাবে পালন করা এবং সামনের দিনে এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করাই বিএনপির লক্ষ্য। দলটির নীতিনির্ধারকেরা নির্বাচন পর্যন্ত এ আন্দোলন টেনে নিতে চান; যা বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর জন্য অনেকটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, একদিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রচারণায় মাঠে নেমে পড়েছে। অন্যদিকে সরকারি দলের সহযোগী হয়ে পুলিশ মাঠে তৎপর রয়েছে বিরোধী দলকে দমনে। এমতাবস্থায় বিরোধীরা রাস্তায় নামলেই ত্রিমুখী সংঘাতের সৃষ্টি হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিকে একটি ‘যুদ্ধাবস্থার’ সঙ্গে তুলনা করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয়তাবাদী যুবদলের একজন শীর্ষ নেতা। তিনি সারা দেশে অবরোধের কর্মসূচিগুলোতে পুলিশের ভূমিকার উল্লেখ করে প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ বিরোধী দলকে দমনে রাতে বাসাবাড়িতে হানা দিচ্ছে, দিনের বেলায় বন্দুক নিয়ে রাস্তায় দাঁড়াচ্ছে। এ যেন যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।