সরকারকে আগামী নির্বাচনে আবারও ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকতে হবে, তাই গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল হক হত্যা মামলার রিমান্ড শুনানির সময় আজ শুক্রবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আমীর খসরু এ অভিযোগ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে আমীর খসরুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ আজ দুপুরের পর তাঁকে আদালতে হাজির করে।
বিএনপির নেতা আমীর খসরু বলেন, বিএনপির তো সহিংসতা করার কোনো দরকার নেই। কারণ, বিএনপির সমাবেশে লাখ লাখ লোক জড়ো হয়। নদী সাঁতরে, সরকারের মামলা–হামলাসহ সব বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে বিএনপির সমাবেশে মানুষ জড়ো হয়।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছাড়াও দলটির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনকে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার দুপুরের পর তাঁদের ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। পরে তাঁদের রাখা হয় আদালতের হাজতখানায়। বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে তাঁদের হাজতখানা থেকে আদালত কক্ষে আনা হয়। আমীর খসরু মাহমুদ ও জহির উদ্দিনকে রিমান্ডে নেওয়ার পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন আইনজীবীরা। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বিএনপির ৫০ লাখ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়ার অভিযোগ তুলে আমীর খসরু আদালতকে বলেন, ‘মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে এই অবৈধ অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতা দখলের জন্যই বানোয়াট মামলা দিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমরা কেন সহিংসতা করতে যাব? আমাদের তো সহিংসতার দরকার নেই। আমরা মহাসমাবেশ ডাকলে লাখ লাখ লোক জড়ো হয়। দুঃখের বিষয় যে সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাননীয় আদালত, জনগণ এই সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে। তাঁদের ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এই মামলা দেওয়া হয়েছে। ২০ থেকে ৩০ লাখ লোক সমাবেশে জড়ো হয়। অনেক ঘটনা ঘটেছে। সেসব নিয়ে সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দুবেলা খেতে পারছে না। ব্যাংক লুট হয়ে যাচ্ছে। দেশ থেকে টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে।’
শুনানি শেষে আমীর খসরুকে ছয় দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত। বিএনপির আরেক নেতা জহির উদ্দিন স্বপনেরও ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
প্রথম আলো