ঢাকা
অবশেষে ভোজ্যতেলের ওপর থেকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) প্রত্যাহারের প্রজ্ঞাপনটি জারি হলো। সোমবার বিকেলে এ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রজ্ঞাপনে পরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পরিশোধিত পাম তেলের স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে সব মূসক তথা ভ্যাট প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এ সুযোগ অব্যাহত থাকবে।
এত দিন সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ব্যবসায়িক পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ ছিল। তবে আমদানি পর্যায়ে ভোজ্যতেল আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বহাল আছে। এই ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়নি।
অবশ্য উৎপাদন ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হলেই যে দাম কমবে, সেই নিশ্চয়তা নেই। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে উচ্চমূল্যে অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানি করা হলে ভোক্তা পর্যায়ে আগের মতো কম দামে ভোজ্যতেল মিলবে না। তবে উৎপাদন ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহারের ফলে বর্তমান বাজার দর থেকে কিছুটা কমার তো সুযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে এনবিআরের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংসহ যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে প্রজ্ঞাপন জারি হলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীদের অনুরোধে সয়াবিন ও পাম তেলের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয় বলে জানান তিনি।
এদিকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলার ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
এখন স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে ভোজ্যতেলের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে চিনির ওপর সম্পূরক শুল্ক আগেই কমানো হয়েছে। গত অক্টোবরে চিনি আমদানিতে ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। এই হ্রাসকৃত সম্পূরক শুল্কের মেয়াদ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়ে হয়। তারপর ২ মার্চ সেটি আরও আড়াই মাস বাড়ানো হয়। অর্থাৎ ১৫ মে পর্যন্ত সম্পূরক শুল্ক হার কমই থাকবে। ছোলার ওপর অবশ্য কখনো শুল্ক-কর ছিল না।