ভূমধ্যসাগরে ৭ বাংলাদেশী মৃত্যুর ঘটনায় আটক ‘পাচারকারী’

  • নয়া দিগন্ত অনলাইন
  •  ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২১:২০

প্রতীকী ছবি – ছবি : ডয়চে ভেলে

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে সাগরে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় সাত বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়৷ সেই ঘটনায় সন্দেহভাজন এক পাচারকারীকে ইতালির সিসিলি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷

গ্রেফতার ব্যক্তি মিসরের নাগরিক বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ৷

গত ২৫ জানুয়ারি নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইটালির লাম্পেদুসায় পৌঁছাতে গিয়ে প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে হাইপোথারমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সাত বাংলাদেশী অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা যান৷

মর্মান্তিক এই ঘটনায় জড়িত মানবপাচার চক্রের হোতাদের সন্ধানে তদন্ত শুরু করে ইটালির পুলিশ৷

এরই ধারাবাহিকতায় ১৯ ফেব্রুয়ারি ৩৮ বছর বয়সি মিসরীয় নাগরিককে মানবপাচারে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করেছে ইটালির সিসিলি দ্বীপের পুলিশ৷

গ্রেফতার ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি লিবিয়া থেকে ১৬ মিটার দীর্ঘ একটি নৌকায় ২৮৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ইতালিতে পাচারের চেষ্টা করছিলেন৷

যেসব নৌকায় করে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা যাত্রা করছিলেন সেগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো৷ আর সেই সময় সাগরের তাপমাত্রা ছিল শূণ্য ডিগ্রির কাছাকাছি৷

এমন পরিস্থিতিতে ‘অভিবাসীদের পাচার করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার প্ররোচনার দায়ে’ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে বলে জানায় পুলিশ৷

মূলত, এই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন পাচারকারীকে গ্রেফতার করে ইতালির পুলিশ৷

পুলিশ জানায়, ‘এই ব্যক্তি ইতিপূর্বে ২০১১ সালে একজন মানবপাচারকারী হিসাবে সিসিলির আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল৷’

প্রচণ্ড ঠাণ্ডা, প্রতিকূল আবহাওয়াসহ নানা ধরনের ঝুঁকি সত্ত্বেও ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা বাড়ছেই৷

জানা গেছে, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১০,৫৭০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী সমুদ্রপথে ইউরোপে প্রবেশ করেছেন৷ ঝুঁকিপূর্ণ এ যাত্রায় কমপক্ষে ২২৯ জন মারা গেছেন৷

সূত্র : ডয়চে ভেলে