- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৪ জুন ২০২০
ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে গ্রাহকদের চিন্তিত না হওয়ার পরাপর্শ দিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, অতিরিক্ত বিল নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কাউকে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হবে না। মিটার দেখে সবার বিল সমন্বয় করে নেয়া হবে।
বুধবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) একটি সংলাপে অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ‘কোভিড-১৯ ও বাজেট ২০২০-২০০১ পর্যালোচনা: বিদ্যুৎ খাতে বন্টনের অগ্রাধিকার এবং বিকল্প প্রস্তাবনা’ বিষয়ক অনলাইনে এই সংলাপের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রশ্ন ছিল করোনার এই সময়ে রাজধানীসহ প্রায় সারাদেশেই গ্রাহক পর্যায়ে ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল আসার খবর পাওয়া যাচ্ছে। একদিকে ইউনিট প্রতি বাড়তি বিদ্যুতের দাম অন্যদিকে এমন ভুতুড়ে বিল, গ্রাহকরা ঠিক কতটুকু বাড়তি আর্থিক চাপ সামলাতে পারবে? প্রয়োজনীয় কী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে?
জবাবে নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ‘তাদের কোনো সমস্যা নেই, চিন্তা নেই, নিজ নিজ এলাকায় তাদের বিদ্যুতের অফিস আছে, গেলেই ঠিক করে দেয়া হচ্ছে। আমাদের চার কোটি গ্রাহক। আমরা ধরে নিয়েছি এর মধ্যে চার থেকে পাঁচ লাখ গ্রাহকের সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শহর এলাকায় এবং গ্রাম এলাকায় কিছু হয়েছে। উনারা যাচ্ছেন (বিদ্যুৎ অফিস) এবং ঠিক করে নিচ্ছেন।’
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে যে, এখানে কেন বেশি হলো। আর একটা বিষয় হলো, আপনি এখন বাসায় থাকছেন। আপনার রুমে কিন্তু ফ্যান বা বিদ্যুৎ বেশি ব্যবহার হচ্ছে। এটা কিন্তু আমরা কেউ চিন্তা করিনি। আমি যদি অফিসে থাকতাম তাহলে আমার বাসায় ওই রুমটা অন্তত বিদ্যুৎ খরচ হতো না।’
‘আমাকে কয়েকজনে ফোন করেছে, তারা বলছে আমি বাসায় ছিলাম, এতে বিদ্যুৎ খরচ কম-বেশি হবে এটা আমি বুঝলাম না। আমি তখন তাদের বুঝালাম আপনি বাসায় থাকছেন এসি ছেড়ে রেখেছেন। আগে দিনের বেলায় আপনি অফিসে থাকতেন, আপনার বাসার রুমে এসি চলতো না। এটাও অনেকে চিন্তা করছে না। তবে আমি স্বীকার করি, আমাদের ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিগুলো অনেক জায়গায় অতিরিক্ত বিল করেছে। সেটা আমরা দেখছি, কোনো সমস্যা নেই। মিটারতো দেয়াই আছে, আমরা দরকার হলে আগের মাসের মিটার দেখেও (বিল) সেই জায়গাতে সমাধান দিতে পারি।’
অনুষ্ঠাটি পরিচালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সিপিডির চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান প্রমুখ।