- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৩ মার্চ ২০২১
দেশের কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত আর্থিক, প্রশাসনিক ও একাডেমিক দুর্নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্যরা। তারা বলেছেন, ভিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত সুখকর নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে এগুলো পরিহার করে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
এতে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর ও অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য দেন সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান। অনুষ্ঠানে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনসহ বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক আলমগীর বলেন, কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক, প্রশাসনিক ও একাডেমিক অস্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে এগুলো পরিহার করে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদেরকে উপাচার্যের বা কর্তৃপক্ষের লিখিত নির্দেশনা মোতাবেক দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানান। কোথাও উপাচার্যের মৌখিক নির্দেশে বেতন বন্ধসহ নানারকম অভিযোগ শোনা যায়। উপাচার্যের শুধু মৌখিক নির্দেশে আর্থিক, প্রশাসনিক ও একাডেমিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ঠিক নয়।
অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, ভিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত সুখকর নয়। কারণ শিক্ষকরা সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি। ভবিষ্যতে সম্মানিত ভিসিদের বিরুদ্ধে যেন তদন্ত করতে না হয় সেদিকে দৃষ্টি রেখে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, ভবিষ্যতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মূল্যায়ন ও কর্মদক্ষতার ওপর ভিত্তি করে বাজেট বরাদ্দ হবে। আন্দোলন-সংগ্রাম করে বাজেট বাড়ানো যাবে না। সামগ্রিক মূল্যায়ন করে বিশ্ববিদ্যালয়কে বাজেট দেওয়া হবে। তিনি সবাইকে সতর্কতা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ করেন।
ইউজিসি এপিএ’র সদস্য-সচিব গোলাম দস্তগীরের সঞ্চালনায় কর্মশালায় ২৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকাল পয়েন্টরা অংশ নেন।
সূত্র : ইউএনবি