ভালো লাগা থেকেই শাহজাহান ওমর আ.লীগে এসেছেন: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ করতে ভালো লাগা থেকেই শাহজাহান ওমর দলে এসেছেন। এটা দলের কৌশলগত সিদ্ধান্ত।’ ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি নেতা শাহজাহান ওমরকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে এ কথা বলেন তিনি। শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘নির্বাচনের ট্রেন চলছে। যত বাঁধাই আসুক, গন্তব্যে না পৌঁছা পর্যন্ত কারও কথায় বা বাধায় এই ট্রেন কোথাও থামবে না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে ৩০টি নিবন্ধিত দলের অংশ নেয়া বড় সাফল্য। বিএনপি দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের ১৫ জন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৩০ জন সাবেক এমপি অংশ নিচ্ছেন।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশে সহিংসতা, সন্ত্রাস করছে। সে বিষয়ে টিআইবি কিংবা সুজনের (সুশাসনের জন্য নাগরিক) মুখে কোনো কথা নেই। অথচ তারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলে। বিএনপি নামে একটি দল আন্দোলনের চক্রান্ত করছে। চ্যালেঞ্জ করছি, তাদের একটা হরতাল-অবরোধ কিংবা কোনো আন্দোলনই সফল হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। তবে সন্ত্রাস তারা করতে পেরেছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে বহুদিন পর জনগণের অংশগ্রহণে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ সারাদেশে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চোখে পড়ার মতো উৎসব। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বিরাজমান। সুন্দর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। সেজন্য আপসহীন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। জনগণের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর নির্বাচনই মূল বিষয়। সেখানে দু-একটি রাজনৈতিক দল অংশ নেবে বা না নেবে- সেটা নিয়ে ভাবনা নেই।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘ইউরোপ, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকাসহ অনেক দেশেই বিরোধীদলের অনুপস্থিতিতে নির্বাচন হয়। সেসব নির্বাচনকে কেউ তো অবৈধ মনে করে না। কারণ যে ভোটে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়, সেখানে কিছু দল না এলেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না কিংবা অবৈধ হবে- এমন তো কথা নেই।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি সুবিধা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সম্পর্কের মাঝে টানাপোড়েন বন্ধুত্বেরই অংশ। আমাদের ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দরকার। আবার তাদের আমাদেরকেও দরকার।’

শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতাসহ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এসব বিষয়ে দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রেখে সমন্বয় করা হবে। ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও ঢালাওভাবে নির্বাচন করতে পারবেন- বিষয়টা এমন নয়। সময়মতোই আওয়ামী লীগের ইশতেহার দেওয়া হবে। এটা প্রায় চূড়ান্ত, সুবিধাজনক সময়ে ঘোষণা করা হবে।’

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য সাখাওয়াত হোসেন শফিক প্রমুখ।