পাকিস্তানের বিশ্বকাপ শুরু হবে ৬ জুন, ডালাসে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এরপর ৯ জুন নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মুখোমুখি হবে তারা।
সে ম্যাচ নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এক পডকাস্টে বাবর বলেছেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ যখন হয়, পুরো বিশ্বের নজর সে দিনের ওপর থাকে। অবশ্যই স্নায়ুচাপের ব্যাপার থাকবে। তবে নিজেদের দৃষ্টি ঠিক রাখতে হবে, মৌলিক বিষয়গুলো আঁকড়ে থাকতে হবে, সহজ-সরল ক্রিকেট খেলতে হবে। এ ম্যাচে চাপ থাকবেই। যত শান্ত ও নির্ভার থাকতে পারবেন, নিজের স্কিল ও পরিশ্রমের ওপর ভরসা রাখতে পারবেন, সব কিছু সহজ হয়ে আসবে।’
বাবরের মতে, ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ নিয়ে সব সময়ই আলোচনা সবচেয়ে বেশি হয়। বিশ্বের যে প্রান্তেই খেলা হোক না কেন, এ ম্যাচ নিয়ে আলোচনা হবেই বলে মনে করেন তিনি। বাবর বলেছেন, ‘খেলোয়াড়েরা ভিন্ন রকমের এক আবহ ও রোমাঞ্চ পায়। সবাই নিজেদের দেশকে সমর্থন দেবে, ফলে নজরও ওই ম্যাচের দিকে থাকবে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে এখন পর্যন্ত সাতটি ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান। তবে ২০০৭ সালে প্রথম আসরের ফাইনালসহ তারা হেরেছে ছয়টিতেই, ২০২১ সালে দুবাইয়ে গ্রুপ পর্বের ম্যাচটিই একমাত্র জেতা ম্যাচ হয়ে আছে তাদের। অবশ্য ২০২২ সালে সর্বশেষ বিশ্বকাপে মেলবোর্নের ম্যাচটি তাঁদের জেতা উচিত ছিল বলে মনে করেন বাবর।
১৬০ রানের লক্ষ্যে সে ম্যাচে ৩১ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ভারত। এরপর বিরাট কোহলির ৫৩ বলে ৮২ রানের স্মরণীয় এক ইনিংসে সে ম্যাচ পাকিস্তানের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় তারা। বাবর বলেছেন, ‘আমার মনে হয় ২০২২ সালের ভারত ম্যাচটি আমরা জিততে পারতাম, আমাদের জেতা উচিত ছিল। কিন্তু তারা সেটি ছিনিয়ে নেয়।’
ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপের এবারের ম্যাচটি ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তাও নিতে হয়েছে হুমকি আসার পর। পাকিস্তানের সামনে আছে নতুন দেশের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জও। গ্রুপ পর্বে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি ভেন্যু—নিউইয়র্ক, ডালাস ও ফ্লোরিডায় চারটি ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। এ ক্ষেত্রে এসব মাঠে আগে যাঁরা খেলেছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতার ওপরও ভরসা করছে পাকিস্তান—বাবর জানিয়েছেন এমন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গত আসরের রানার্সআপরা এবার বিশ্বকাপে নামবে বেশ টালমাটাল অবস্থায় থেকে। আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচ হারের পর ইংল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজ হেরেছে তারা বিশ্বকাপের আগে। এর বাইরে বিশ্বকাপের আগে অধিনায়ক ও কোচের পদেও এসেছে পরিবর্তন।
মাঝে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে অধিনায়কত্ব দেওয়া হলেও তাঁকে সরিয়ে আবার বাবরকে ফেরানো হয়েছে, ২০২১ ও ২০২২ সালের বিশ্বকাপে যিনি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। অধিনায়ক হিসেবে নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা বড় একটা ব্যাপার মনে করা বাবর বলছেন, তাঁর স্বপ্ন অবশ্যই ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরা, ‘ব্যাটার হিসেবে আমার অর্জন ভালোই এবং অধিনায়ক হিসেবেও কয়েকটা সিরিজ জিতেছি। কিন্তু আইসিসির ট্রফি জেতার প্রেরণাটাই আলাদা। একটা ভিন্ন পর্যায়ে যাবেন তখন, অনেক প্রশংসা পাবেন। ফলে প্রেরণা, ইচ্ছা এবং স্বপ্ন—সবই আইসিসির একটা ট্রফি উঁচিয়ে ধরা এবং এটি পাকিস্তানকে উপহার দেওয়া।’
prothom alo