ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতুর নামে বাস্তবে বাংলাদেশের ভুমি দখল করেছে ভারত। তারা ত্রিপুরার সাব্রুম দিয়ে ফেনী নদীর উপরে ব্রিজ করেছে নিজেদের টাকায়, এপাড়ে রামগড় অবধি! ২ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে অন্তত অর্ধেকটা বাংলাদেশের জমিতে। তারা বাংলাদেশের জমির উপরে ব্রিজ বানিয়ে দখলে রাখবে কোন অধিকার বলে?
প্রকৃতপক্ষে হাসিনাকে সাথে নিয়ে মোদি ঐ ব্রিজ উদ্বোধন করে নাই। কেবল আগে বানানো হাসিনার একটা ভিডিও মেসেজ বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোতে দেখিয়েছে মাত্র, যাতে হাসিনা বলেছে, বাংলাদেশের পোর্ট ভারতের জন্য ওপেন করে দিতে নির্দেশ দিয়েছি (দেখুন হিন্দু পত্রিকা)। আসলে ব্রিজিটি উদ্বোধন করেছে মোদি একাই। এটা ভারত সরকারের একক প্রোগ্রাম। ঢাকার মিডিয়া যৌথভাবে উদ্বোধনের কথা প্রচার করে এদেশের জনগণকে ধাপ্পা দিয়েছে মাত্র। আসলে এই প্রোগ্রামের জন্য মোদি হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা দেয়নি, বরং তাকে পূরববঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী হিসাবেই ট্রিট করেছে মাত্র। এই ব্রীজ যদি সত্যিকার অর্থে দুই দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন হতো, তবে বিষয়টা দু’দেশ সমানভাবে উদ্বোধন করতো। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে একতরফা। ভারত টাকা দিয়ে ব্রীজ করে নিয়েছে বাংলাদেশের ভূমির মধ্যে ১ কিলোমিটার, উদ্বোধনও করেছে তারাই। হাসিনার ভূমিকা এখানে নেহায়েত লেন্দুপ দরজির মতন।
বাংলাদেশের মানুষ আজ প্রতিবাদ করেনি, কিন্তু ভবিষ্যতে যে করবে না, সে নিশ্চয়তা কে দিবে।