5 September 2020
ভারত – পাকিস্তান থেকে প্রায় অনেকাংশেই এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষুদ্রতম দেশ বাংলাদেশ। দীর্ঘদিন পাকিস্তানের শাষনে থেকে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। কিন্তু, ভারত – পাকিস্তান উভয়েই ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। যার তুলনায় বাংলাদেশ প্রায় ২৪ বছর পরে স্বাধীন হয়েও আজ তাদের থেকে বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে রয়েছে।
শিশু মৃত্যুহার রোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অবাক করার মতো উন্নতি করেছে।একটা সময় ছিলো যখন দেশে চিকিৎসার অভাবে কিংবা জনসচেতনতার অভাবে শিশু মৃত্যুহার ছিলো অত্যাধিক।আর এখন তা ভারত- পাকিস্তানের থেকে এগিয়ে।
ভারতে প্রতি ১০০০ জনে ৩০, পাকিস্তানে ৫৮ ও বাংলাদেশে ২২ জন শিশু মৃত্যুহার।
তবে শিক্ষার হারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের থেকে পিছিয়ে।তাদের শিক্ষার হার ৭৪.৪, বাংলাদেশ ৭৩.৯ এবং পাকিস্তানের ৫৯.১৩ শতাংশ।
শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শীর্ষে।যেখানে বাংলাদেশের রেটিং ৪.১, ভারতের রেটিং ৫.৭ এবং সর্বশেষ পাকিস্তানের রেটিং ৯.৭।
আমরা ৩ প্রতিবেশী দেশই জনবহুল দেশ।এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অধিক জনবহুল। তারপরেও জন্মনিয়ন্ত্রন হারে বাংলাদেশ শীর্ষে।যেখানে বাংলাদেশের সূচক (২.০),ভারতের (২.২) এবং সর্বশেষ পাকিস্তানের (৩.৫)।
গড় আয়ুর ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ শীর্ষে।বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২.৩, ভারতের ৬৯.৪ এবং পাকিস্তানের ৬৭.১ বছর।
গ্রস সেভিংস জিডিপির ক্ষেত্রে শীর্ষ দেশটির নাম বাংলাদেশ ৩৩.৩%। এরপর আছে ভারত ৩১.১% এবং সবার শেষে পাকিস্তান ১৯.৩%।
দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা নাগরিকের এক্ষেত্রে তিন দেশের পরিস্থিতিতে খুব একটা বড় পার্থক্য নেই। দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা নাগরিক ভারতে ২১.৯%, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে সমান ২৪.৩%।
তিনটি দেশের মধ্যে এখনো কেউই শতভাগ বিদ্যুতায়ন করতে পারে নি।তবে এক্ষেত্রে ভারত এগিয়ে।তাদের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগের সূচক ৯৫.২ শতাংশ,বাংলাদেশ ৮৫.২ শতাংশ ও পাকিস্তান ৭১.১ শতাংশ। তবে দেশে এখন যেহেতু কয়েকটা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ চলমান।সেগুলো উৎপাদনে আসলে এই হার আরও বাড়বে।তাছাড়া দেশের বিভিন্ন চরাঞ্চল বিদ্যুৎ এর আওতায় আনা হচ্ছে।
আরও কিছু শর্টকাটে বলা যাকঃ
* জিডিপি গ্রোথের দিক থেকে এই তিন দেশের মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে।
* জাতিসংঘের শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের সুনাম বিশ্বব্যাপী।
* বিশ্বে গার্মেন্টস পন্য রপ্তানির দিক থেকে ভারত পাকিস্তান থেকে এগিয়ে বাংলাদেশ।
* বিশ্বে সবজি উৎপাদনে চতুর্থ, ধান ও মাছ উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে বাংলাদেশ।