ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায় থেকে মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদ

 আমার দেশ
১ মার্চ ২০২৩

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ

নিজস্ব প্রতিনিধি

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ ভারত থেকে দেশে ফিরতে বাধা নেই। ভারতের একটি আদালত দেশটির সরকারের দায়ের করা আপিল খারিজ করার পর তাঁর দেশে ফেরার বাধা দূর হয়েছে।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকা উত্তরা থেকে ধরে নিয়ে গুম করা হয়েছিল বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদকে। ৬৩ দিন গুম করে ভারতের শিলংয়ে তাঁকে ছেড়ে দিয়ে আটক দেখায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা দিয়ে আটক রাখা হয়েছিল এতদিন।

২০১৮ সালের ২৬শে অক্টোবর শিলংয়ের নিম্ন আদালত এক রায়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস দেয়। ভারত সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং জজ আদালতের আপিল বিভাগ নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখেছে। এতে বিএনপি’র এই নেতা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ থেকে চুড়ান্ত মুক্তি লাভ করেছেন। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের দায়ের করা আপিল নিষ্পত্তি হতে দীর্ঘ ৪ বছর লেগেছে।

ভারত থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, তিনি দেশে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন। ভারত সরকার তাকে যখনই দেশে পাঠিয়ে দেবেন বা ব্যবস্থা নেবেন তখনই তিনি দেশে ফিরবেন।

২০১৫ সালের ১০ই মার্চ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে বাড়ি থেকে তুলি নিয়ে গুম করেছিল। তখন ফ্যাসিবাদী সরকার বিরোধী আন্দোলন ছিল তুঙ্গে। বিএনপি’র মুখপাত্র রিজভী আহমদকে গ্রেফতারের পর সালাউদ্দিন আহমদ দলটির মুখপাত্র হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এই অবস্থায় শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকার তাঁকে আটক এবং গুম করে। ৬৩ দিন গুম করে রাখার পর ১১ই মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ সালাহউদ্দিনকে রাস্তা থেকে আটক করে। আটকের পর সেখানকার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে। এর পরদিন তাকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরবর্তীতে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে আনা হয় বিএনপি’র এ নেতার বিরুদ্ধে। ভারতের ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ। একই বছরের ২২শে জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।

১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে আসেন। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে এমপি নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন।

ভারতে আটকের সময় সালাহউদ্দিন আহমেদ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতে আটক অবস্থায় বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন।