ভারতীয় সেনা তাড়াবো : মালদ্বীপের নতুন নেতা

 

বাংলাদেশ ক্রনিকাল ডেস্ক : আবারো ভারতীয় সেনা সদস্যদের মালদ্বীপ থেকে বিদায় করার অঙ্গীকার করলেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ মুইজ্জু। বলেছেন, দায়িত্ব নেয়ার পরই এই কাজে হাত দেবেন তিনি।
সোমবার রাতে বিজয় উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনায় মুইজ্জু বলেন, মালদ্বীপের জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি বিদেশি সেনাদের পক্ষে দাঁড়াবেন না। জনগণ আমাদের জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা মালদ্বীপে আর কোনো বিদেশি সেনা দেখতে চায় না।
ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চীনের সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীতা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে ভারতের। মুইজ্জুর নির্বাচনে জয় এবং তার ভারতবিরোধী অবস্থান নয়াদিল্লির জন্যগুরুতর আঘাত। গত শনিবার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্য দিয়েই কার্যত নির্ধারিত হয়ে গেছে যে চীন ও ভারতের মধ্যেকোন দেশ দ্বীপরাষ্ট্রটির ওপর সবচেয়েবেশি প্রভাব ফেলতে পারবে।
মালদ্বীপকে ভারত সরকারের দেয়া দুটি সামরিক হেলিকপ্টার ও একটি ছোট বিমান রক্ষণাবেক্ষণের কাজে দেশটির একটি দ্বীপে মোতায়েন রয়েছে ৭৫ জন ভারতীয় সেনা। বিদায়ী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মুইজুর অভিযোগ, তিনি ভারতকে সীমাহীন সুবিধা দিয়েছেন এবং কোনো নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই ভারতীয় সেনাদের মালদ্বীপে অবস্থানের অনুমোদন দিয়েছেন।
মুইজুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসকে ব্যাপকভাবে চীনপন্থী হিসেবে দেখা হয়। তার নির্বাচনী প্রচারণার প্রধান বিষয় ছিল মালদ্বীপের সার্বভৌমত্ব ইস্যু। তার দাবি, ভারতীয় সেনাদের অবস্থানের কারণে দ্বীপরাষ্ট্রটির সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়েছে। দলটি কয়েক বছর ধরে ‘ইন্ডিয়া হটাও’ ক্যাম্পেইন চালিয়ে আসছিল।
মুইজ্জুর জয়ের পর মালদ্বীপে আবার চীনা বিনিয়োগ শুরু হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালে মুইজ্জুর পূর্বসূরী আবদুল্লাহ ইয়ামিনের সময়ে দেশটি চীনের বেল্ট এন্ড রোড প্রকল্পে যোগ দেয়। এ সময় মালদ্বীপের অবকাঠামো নির্মাণ খাতে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ দেয় বেইজিং।