ভারতীয় পোশাক দেখাতে চাইলে রেগে যাচ্ছেন ক্রেতারা

ভারতীয় পোশাক দেখাতে চাইলে রেগে যাচ্ছেন ক্রেতারা

ছড়িয়ে পড়ছে ভারতীয় পণ্য বয়কট প্রচারাভিযান। রাজধানী তো বটেই, এখন মফস্বলেও দেখা যাচ্ছে এর প্রভাব। বাজারে ভারতীয় পণ্য কেনার আগ্রহে ভাটা পড়েছে ক্রেতাদের। এমনই এক অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আর রাজী।

এ নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দিয়েছেন এই শিক্ষক। যেখানে তিনি নাটোরের একটি দোকানের অভিজ্ঞাত শেয়ার করেছেন। তার মতে, সেখানে বেশি বিক্রি হচ্ছে দেশি কাপড়।

অনেক ক্রেতা নাকি ভারতীয় পোশাক দেখলে রেগেও যাচ্ছেন। অথচ, নারীদের এই বুটিক শপে আগে চাহিদার শীর্ষে ছিল ভারতীয় পোশাক।

আর রাজী তার পোস্টে লিখেছেন, ‘নাটোরে এলাম গতকাল। এখানে পোশাকের ছোট্ট একটা দোকান আছে আমাদের, বুটিক শপের মতো। খুবই চালু এই দোকানে মূলত মেয়েদের পোশাক বিক্রি হয়।

‘এই কিছু দিন আগ পর্যন্ত সবচে বেশি বিক্রি হতো ভারতীয় পোষাক। এবার ঈদ উপলক্ষ্যে সবচে বেশি বিক্রি হয়েছে দেশি কাপড়, তারপর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পাকিস্তানি ড্রেস। ভারতীয় কাপড়ের বিক্রি নাই বললেই চলে। ভারতীয় ড্রেস দেখাতে চাইলেও কিছু ক্রেতা রীতি মতো রেগে যাচ্ছেন।’

ওই পোস্টে আর রাজী বলেন, ‘আমার ছোটভাই “পণ” অন্তত পঁচিশ বছর ধরে এই পোশাক বিক্রির সাথে অত্যন্ত নিবিড়ভাবে সংশ্লিষ্ট। তার মাথাতেও এখন পাকিস্তান গিয়েই পোশাক নিয়ে আসার চিন্তা!’

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক বিবেচনা থেকে মানুষ ক্রয়সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি-না এ নিয়ে নানান তত্ত্ব আছে বিদ্যা-দুনিয়ায়। বাংলাদেশ সুস্পষ্টভাবেই বলছে, রাজনৈতিক বিবেচনা থেকে মানুষ ক্ষতি স্বীকার করেও অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। খুবই বিস্ময়কর এই বাংলাদেশ!’

bangla outlook