ব্রুনেই থেকে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। দীর্ঘ মেয়াদে এই এলএনজি সরবরাহ করবে ব্রুনেই এনার্জি সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেডিং এসডিএন বিএইচডি। এটি ব্রুনেই সরকারের মনোনীত প্রতিষ্ঠান।
আজ বুধবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে সরকার থেকে সরকার (জি-টু-জি) পর্যায়ে এ এলএনজি আমদানি করা হবে। বৈঠকের পর অর্থ উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে তা জানানো হয়।
বাংলাদেশ ও ব্রুনেইয়ের মধ্যে এলএনজি সরবরাহ সহযোগিতার বিষয়ে ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। পরে এর মেয়াদ বাড়ানো হয়।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১০ মে থেকে পরের ১০ বছর মেয়াদে প্রতিবছর ১২ থেকে ১৮ কার্গো এলএনজি সরবরাহের প্রস্তাব করে ব্রুনেইয়ের কোম্পানিটি। তখন তাদের সঙ্গে চুক্তির বিভিন্ন শর্ত নিয়ে কারিগরি কমিটি দর-কষাকষি করে। পরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা এম ফাওজুল কবির খান এতে সম্মতি দেন।
২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন সরকার স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য আগ্রহী বিক্রেতা বা সরবরাহকারীদের তালিকা চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে মোট ২৯টি প্রতিষ্ঠান সাড়া দেয়। তাদের মধ্য থেকে প্রথম দফায় ১৭টির সঙ্গে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) অনুস্বাক্ষর করা হয়। আইনি পরীক্ষা-নিরীক্ষার (ভেটিং) পর অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পেট্রোবাংলার সঙ্গে এমএসপিএ সইয়ের অনুমোদন দেয় ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে। শেষ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অবশ্য ২৩-এ উন্নীত হয়।
এদিকে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি আজ সিঙ্গাপুরভিত্তিক ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং নিউজিল্যান্ডের টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো করে দুই কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি ৯০ লাখ ৫২ হাজার ৮০০ টাকা।
ভিন্ন এক প্রস্তাবের বিপরীতে ৫০ হাজার টন গম কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ক্রয় কমিটি। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭৫ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতি টন গমের দাম পড়বে ২৯২ দশমিক ১৪ মার্কিন ডলার। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক অ্যাস্টন অ্যাগ্রো-ইন্ডাস্ট্রিয়াল এসএ থেকে এ গম আমদানি করা হবে।
prothom alo