- by নিজস্ব প্রতিবেদক
স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। আজ শনিবার, ৮ জানুয়ারি, সকাল ৬টা থেকে এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে, চলবে দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞার কারণে বন্ধ রয়েছে আন্তঃজেলা ও লোকাল বাস চলাচল। এতে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
জানা যায়, বিএনপির পক্ষ থেকে গত ২২ ডিসেম্বর গণসমাবেশের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ, ইউপি, নির্বাচনের অজুহাতে পরবর্তীতে এই সমাবেশ স্থগিত করা হয়। এরপর ৮ জানুয়ারি, আজ শনিবার, গণসমাবেশ করার তারিখ ঘোষণা করে নির্ধারণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএনপি।
জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের কাছে বিএনপির পক্ষ থেকে যে সমাবেশের জন্য যে আবেদন করা হয়েছে, সেখানে সমাবেশের স্থান হিসেবে স্থানীয় ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টারের সামনে মাঠের কথা বলা হয়েছে। তবে জেলা ছাত্রলীগও একই জায়গায় একই সময়ে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়। এ উপলক্ষে আজ সকাল থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে শোডাউন দিতে দেখা যায় জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান অভিযোগ করেছেন, গণসমাবেশের আগে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জহিরুল হক খোকন এবং আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সিরাজুল ইসলামকে পুলিশ আটক করেছে।
এদিকে, ১৪৪ ধারা জারির প্রেক্ষাপটে জেলা শহরের দক্ষিণ পৈরতলার বাসস্ট্যান্ড এবং ভাদুঘরে পৌর বাস টার্মিনালে কাউন্টারগুলো বন্ধ দেখা গেছে। চলছে না কোনো বাস। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বাস কাউন্টারে গিয়েও তারা ফিরে যাচ্ছেন। তবে সিএনজি ভাড়া করে কেউ কেউ খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড়ে গিয়ে দূরপাল্লার বাস ধরছেন।
এ বিষয়ে বাস কাউন্টারের ম্যানেজাররা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আজ শনিবার ভোরে কাউন্টারগুলো খোলা হয়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই পুলিশ এসে কাউন্টারগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হানিফ মিয়া এ বিষয়ে বলেন, বাস চালানোর ক্ষেত্রে তাদের পক্ষ থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। গতকাল, শুক্রবার, শহরে ১৪৪ ধারার বিষয়ে মাইকিং করা হয়েছে, সম্ভবত সে কারণে বাস চালায়নি শ্রমিকরা।
তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ওসি এমরানুল ইসলাম বলছেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ৬০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বাস কাউন্টার বন্ধ রাখার ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।