- সৈয়দ আবদাল আহমদ
- ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
সরকারের ইশারায় আরেকটি ব্যর্থ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ প্রকাশ করছে তারা। ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী ২০২৩ সালের নভেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে এবং ডিসেম্বরের শেষে কিংবা জানুয়ারির শুরুতে ভোটগ্রহণ অর্থাৎ নির্বাচনের তারিখ দেয়া হবে উল্লেখ করা হয়।
বিরোধীদলগুলো নির্বাচন কমিশনের এই রোডম্যাপ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এটি আরেকটি ব্যর্থ নির্বাচনের ইঙ্গিত। ব্যর্থ নির্বাচন আর এ দেশে হতে দেয়া হবে না। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপিসহ বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক গণতন্ত্রমনা রাজনৈতিক দল এ সরকারকে আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় দেখতে চায় না। নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলন চলছে। আগে নিরপেক্ষ সরকার হবে, এরপর তারাই ঠিক করবে একটি গ্রহণযোগ্য অবাধ নির্বাচন কিভাবে হবে। ব্যর্থ নির্বাচন আর হতে দেয়া হবে না।
তিনি আরো বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন হাসিনা সরকারের আজ্ঞাবাহী। এরা আগের রকীবুল কমিশন এবং নুরুল হুদা কমিশনের মতোই সরকারের আরেকটি পুতুল নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন কমিশনের ওপর আমাদের কোনো আস্থা নেই। হাসিনা সরকারই তাদের নিয়োগ দিয়েছে। তাই তারা যতই রোডম্যাপ দিক, বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। বিরোধী দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে যুগপৎ আন্দোলনের জন্য কিছু দিনের মধ্যেই রূপরেখা ঘোষণা করবে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, প্রায় সব রাজনৈতিক দল ইভিএম বাদ দিতে বলেছে। কিন্তু পুতুল ইসি ঘোষণা করেছে ১৫০ আসনে তারা ইভিএমে ভোট নেবে। ইতোমধ্যে তারা ইভিএম মেশিন কেনার জন্য কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্পও হাতে নিয়ে ফেলেছে। নির্বাচন নিয়ে সরকার যা বলছে তারই পুনরাবৃত্তি করে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আজ্ঞাবাহী এই নির্বাচন কমিশনের প্রতি বিন্দুমাত্র আস্থা নেই আমাদের। তাই নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে আমাদের আগ্রহ নেই। আর বাস্তবতা হচ্ছে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার অর্থাৎ নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কারো পক্ষেই সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোট-চুরি ও জালিয়াতির যে নমুনা দেশব্যাপী প্রত্যক্ষ করা গেছে তা আর পুনরাবৃত্তি হতে আমরা দেবো না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ও ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মতো নির্লজ্জ প্রহসন আর সহ্য করা হবে না। সরকারের বর্তমান তল্পিবাহক ইসি যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে, সেটিও আরেকটি ব্যর্থ নির্বাচন অনুষ্ঠানেরই ইঙ্গিত।
ভোটগ্রহণে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে দেশের জন্য ‘ভয়ঙ্কর অশনিসঙ্কেত’ বলে মন্তব্য করেছেন আইনজ্ঞ গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ইতোমধ্যে ‘ধ্বংসপ্রাপ্ত ও চরম প্রশ্নবিদ্ধ’। তার মধ্যে সরকারের আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন রোডম্যাপ ঘোষণা করছে, ১৫০ আসনে ইভিএমে নির্বাচন হবে বলছে। তিনি বলেন, জাতি এ দুরবস্থা থেকে পরিত্রাণ চায়। গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক জুনায়েদ সাকি বলেন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে আমরা এখন লড়াই করছি। ব্যর্থ নির্বাচন আর নয়। নির্দলীয় নিরপেক্ষা সরকারের অধীনে নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের অঙ্গীকার।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের প্রতি দেশবাসীর একেবারেই আস্থা নেই। একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউই এ কমিশনের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে মনে করেন না। ইভিএম নিয়ে তারা বিতর্কিত কাজ করেছেন। ইভিএম হচ্ছে শান্তিপূর্ণ কারচুপির মেশিন। আর ইসি এই ইভিএম মেশিন দিয়েই ১৫০ আসনে ভোট করতে চাইছে। ইভিএম-এ কিভাবে কারচুপি করা যায় সব প্রমাণ দেয়া হয়েছে। সুজনের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার এ নিয়ে বিস্তারিত পেপার তৈরি করে দিয়েছেন ইসিকে। গ্রামের সাধারণ ভোটাররাও বলেছেন, ইভিএমে ভোট হয় না, কারচুপি হয়। সরকার যেই বলে দিয়েছে তারা ইভিএম চায়, সাথে সাথে ইসি সব প্রমাণ ফেলে দিয়ে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন একটি সাজানো ছকেই নির্বাচন করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যাতে বর্তমান ক্ষমতাসীনদেরই আবার জয়ী করা যায়। আন্তর্জাতিক বিশ্ব এবার আর তা হতে দেবে না। তারা বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থা যে একেবারেই ভেঙে পড়েছে তা বলছেন। তাই তারা বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনটি যাতে গ্রহণযোগ্য এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সেটাই তাদের ‘প্রাইম ফ্যাক্টর’ বলছেন। সবাইকে নিয়ে নির্বাচনটা যাতে ইনক্লুসিভ এবং সঠিক হয় সেটিই তাদের অগ্রাধিকার। তেমনি দেশের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল এবং মানুষেরও একই দাবি। ভোটারদের সাথে বারবার প্রতারণা চলতে পারে না।
শুধু রাজনৈতিক দল এবং নেতারাই নন, নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকেও দাবি তোলা হয়েছে যে, ব্যর্থ নির্বাচন আর নয়। রাজনীতির বিশ্লেষক ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশনকে যতই ক্ষমতা দেয়া হোক না কেন, তার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। প্রশাসন নিরপেক্ষ না থাকলে কখনোই সুষ্ঠু ভোট হতে পারে না। কারণ সবকিছুতেই রাজনৈতিক ছত্রছায়া থাকে। পুলিশ থেকে শুরু করে রিটার্নিং অফিসার। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের আস্থা ফেরাতে পারেনি। সেখানে তারা কিভাবে নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়? ইভিএমে কি আস্থা ফিরে এসেছে? পুলিশ প্রশাসন আর কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে কি আস্থা এসেছে? তফসিল ঘোষণার পর দলীয় নেতাকর্মী ও এজেন্টদের হয়রানি বন্ধ করার কোনো পদক্ষেপ কি ইসি নিতে পেরেছে? তাহলে নির্বাচন নিয়ে এত মাতামাতি কেন? আরেকটি ব্যর্থ নির্বাচনের জন্য? বিবিসির কাছে এসব প্রশ্ন তোলেন তিনি।
নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও ফেমার প্রেসিডেন্ট মুনিরা খানও একই প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, কমিশনের রোডম্যাপে বিরাট গলদ রয়েছে। কারণ তাদের রোডম্যাপে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নতুন বা মৌলিক কোনো বিষয় যুক্ত করা হয়নি। ইভিএমে ভোটগ্রহণেই ইসি জোর দিয়েছে। অথচ এই ইভিএম নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ক্ষমতাসীনরা ছাড়া কেউই ইভিএম চায় না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেখানে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে পরপর দুটো সাধারণ নির্বাচন এবং স্থানীয় সংস্থার নির্বাচনগুলোর স্বচ্ছতা দারুণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ, এমন বাস্তবতায় নির্বাচন কমিশনের এই রোডম্যাপের আদৌ কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেভাবে দেখছে
২০১৪ ও ২০১৮ সালে পরপর দুটি জাতীয় নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ বিতর্কিত এবং চরম প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার প্রেক্ষাপটে আগামী জাতীয় নির্বাচন কেমন হবে সেটি এখন আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের চলমান বাস্তবতায় নির্বাচনীব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। ভোটাররা ভোট দিতে না পেরে এবং বারবার প্রতারিত হয়ে এখন তারা ভোটের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তারা এখন ভোটবিমুখ। তাই দেখা গেছে শুধু জাতীয় নির্বাচনই নয়, সিটি নির্বাচন, মেয়র নির্বাচন, উপজেলা ও পৌর নির্বাচন এমনকি ইউপি নির্বাচনেও ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা যাচ্ছে না। এখন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার হিড়িক। এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। দেশে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও ‘জবাবদিহিতা’ নেই। এ অবস্থায় আগামী জাতীয় নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে সেটি এখন গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও ফেমার প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান ইতোমধ্যে বিবিসিকে বলেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা পেতে বড় নিয়ামক হবে যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন। এরই মধ্যে বাংলাদেশকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের উইলসন সেন্টারের উপপরিচালক মাইকেল কুগলম্যান এ প্রসঙ্গে বিবিসির প্রশ্নের জবাবে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে গণতন্ত্র এখন বড় অগ্রাধিকার। বাংলাদেশে র্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মধ্য দিয়ে একটা ইঙ্গিত আছে যে, ২০২৩ সালের নির্বাচনে কী ঘটবে সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গভীর পর্যবেক্ষণ করবে। সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক কিভাবে এগিয়ে নেবে সে ক্ষেত্রে এর প্রভাব থাকবে। তিনি আরো বলেন, ‘আমি মনে করি আগামী নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হতেই হবে। র্যাবকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দেয়াটা বাইডেন প্রশাসনের একটি শক্তিশালী সঙ্কেত।’ তার মতে, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুটি বাইডেন প্রশাসন কঠোরভাবেই গণতন্ত্র ও মানবাধিকার লেন্সেই দেখছে। গুরুত্বপূর্ণ হলো যুক্তরাষ্ট্র শুধুমাত্র ভারতের দৃষ্টিভঙ্গিতে এবার বাংলাদেশকে দেখবে না।’
যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা
যুগপৎ আন্দোলনে যাচ্ছে বিরোধী দলগুলো। ‘ব্যর্থ নির্বাচন আর না’- এ স্লোগান নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে দলগুলো। দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির স্থায়ী কমিটি সম্প্রতি ‘সিদ্ধান্ত নেয় যে, সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ সরকারের বিকল্প নেই। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকারকে হটিয়ে নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ সরকার আদায়ের লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি স্থায়ী কমিটি। এ সিদ্ধান্তের পর সব বিরোধী দলের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দলটি। প্রতিদিনই কোনো না কোনো দলের সাথে বিএনপির আলোচনা চলছে। যেমন বাম দলগুলো, তেমনি ডানপন্থি দলগুলো। বড় দল, ছোট দল সবই। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইতোমধ্যে বলেছেন, বিএনপির দরজা সবার জন্য খোলা। আমরা সব বিরোধী দলের সাথেই আলোচনা করছি এবং আলোচনা ফলপ্রসূ হচ্ছে। একটি গ্রহণযোগ্য ইনক্লুসিভ ইলেকশনের ব্যাপারে সবাই একমত। জানা গেছে, একসময় আওয়ামী লীগের শরিক জাতীয় পার্টিও যুগপৎ আন্দোলনে আসছে। ঐক্যবদ্ধ বিরোধী মোর্চা গঠন হচ্ছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছেন, আওয়ামী লীগের সাথে তারা আর জোটে নেই। আগামী সপ্তাহেই বিরোধী দলগুলো যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা ঘোষণা করতে পারে।
বিবিসিকে এ কি বললেন প্রধানমন্ত্রী!
বাংলাদেশে নির্বাচনীব্যবস্থা যেখানে একেবারেই ভেঙে পড়েছে, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ব্যর্থ নির্বাচন যাতে আর নয় হয়, বিনা ভোটের প্রহসন কিংবা নৈশভোটের প্রহসন যাতে জাতিকে আর দেখতে না হয় সে ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও আন্তর্জাতিক বিশ্ব যখন একাট্টা হয়েছে, তখন লন্ডনে বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের সময়েই নাকি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়। বিরোধী দলগুলো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ বক্তব্যকে হাস্যকর হিসেবে উল্লেখ করেছে।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় প্রেস ক্লাব
Email: [email protected]