- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৩ জুলাই ২০২৩, ২৩:৪৭
অ্যাশেজে সমতা ফেরাতে মাঠের ক্রিকেটে যা করার প্রয়োজন ছিল, তার কিছু করতেই কমতি রাখেনি ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট হাতে বড় সংগ্রহের পর বল হাতেও প্রভাব ধরে রাখে তারা। তবে বাধা হয়ে দাঁড়ালো প্রকৃতি। টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে ভেসে গেলো অ্যাশেজ জয়ের স্বপ্ন।
অথচ জয়ের পথেই ছিল ইংল্যান্ড। প্রথন ইনিংসে ৫৯২ রান তুলে ভালো ভিত গেঁথে নিয়েছিল তারা। এর আগে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩১৭ রানেই থামায় ইংল্যান্ড পেয়েছিল ২৭৫ রানের লিড। সেই লিড ভাঙতে ২১৪ রানেই ৫ উইকেট হারায় অজিরা। ফলে জয়ের স্বপ্নে বিভোর হয়ে উঠে স্বাগতিকরা।
তবে শেষ পর্যন্তু এই স্বপ্ন ভেসে গেলো বৃষ্টির পানিতে। হাসি ফুটালো অস্ট্রেলিয়ার মুখেই। ধুঁকতে ধুঁকতেও বেঁচে গেল প্যাট কামিন্সের দল। প্রথম দুই টেস্টে জয় আর ওল্ড টাফোর্ডের ড্র নিয়ে সিরিজেও এগিয়ে গেল সফরকারীরা। সিরিজের চার ম্যাচ শেষে এগিয়ে রইলো ২-১ ব্যবধানে।
চতুর্থ দিনেরও দুই সেশন চলে যায় বৃষ্টির পেটে। খেলা হয় মাত্র ৩০ ওভার। ৫ উইকেটে ২১৪ রান নিয়ে দিন শেষ করে অস্ট্রেলিয়া। তাই শেষ দিন খেলা হওয়ার কথা ছিল ৯৮ ওভার। যেখানে জয় পেতে অস্ট্রেলিয়ার ৫ উইকেট তুলে নিতে হতো ইংল্যান্ডকে। তবে তার হলো, এদিন একটি বলও গড়ায়নি মাঠে।
পঞ্চম ও শেষ দিনেও বৃষ্টি মাথায় করেই মাঠে এসেছিল দুই দল। বৃষ্টি যতই বেড়েছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের মুখের হাসি যেন ততই চওড়া হয়। বিপরীতে পুরোটা সময় জুড়ে হতাশায় পুড়েছেন বেন স্টোকসরা। বৃষ্টি না থামায় শেষ পর্যন্ত দুই অধিনায়কের সম্মতিতে ম্যাচ ড্র ঘোষণা করতে বাধ্য হন আম্পায়াররা।
এবারের অ্যাশেজে প্রথম দুই ম্যাচে জিতে বেশ দাপুটে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে নিজেদের খুঁজে পায় ইংল্যান্ড। সফলতার মুখ দেখে তাদের বাজবল তত্ত্ব। ২-১ ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে থাকলেও সিরিজে ফেরার সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিল ইংল্যান্ড। অবশ্য এই জন্য আজকের ম্যাচে জেতা প্রয়োজন ছিল তাদের।
ম্যানচেস্টারে জয় শুধু সিরিজে সমতা ফেরাতে নয়, প্রয়োজন ছিল সিরিজ জিততেও। তবে তা আর হচ্ছে না। এই টেস্টে ড্র করায় অ্যাশেজ জয়ের আর কোনো সম্ভাবনাই নেই ইংল্যান্ডের। তবে পরাজয় এড়াতে শেষ টেস্টে যেকোনো মূল্যে জয় চাই তাদের। বিপরীতে ড্র করলেও অ্যাশেজ যাবে অস্ট্রেলিয়ায়।