রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বৈশ্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির হার বাড়ার পাশাপাশি খাদ্য খাতে এ হার বাড়তে থাকে। খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমাতে বিভিন্ন দেশ নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়ায় অনেক দেশে তা কমতে শুরু করেছে। তবে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে। অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়া শ্রীলংকায় এ হার কমে এখন উলটো মূল্য সংযোজন হয়েছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা হয়েছে। এতে কৃষি উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়। খাদ্যের সরবরাহও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এসব কারণে দেশে খাদ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া ভারত চালসহ নানা পণ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায়ও বাংলাদেশে পণ্যের দাম বাড়ছে। এতে মূল্যস্ফীতির হার এখনো ঊর্ধ্বমুখী। অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হওয়া শ্রীলংকায় খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমে গেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ হার সর্বোচ্চ ৮৫.৮ শতাংশে উঠেছিল। এখন তা কমেছে। মূল্যস্ফীতি না হয়ে উলটো রিফ্লেশন বা মূল্য সংযোজন হচ্ছে। গত জুলাইয়ে মূল্য সংযোজন হয়েছে ৪.৮ শতাংশ। ভারতে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ছিল ৮.৪ শতাংশ।
গত জুনে তা বেড়ে সর্বোচ্চ ১০.৮ শতাংশে উঠেছিল। গত জুলাইয়ে তা কমে ৯.৯ শতাংশ হয়েছে। নেপালে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ছিল ৮.২ শতাংশ। এখন তা কমে ৭.৪ শতাংশ হয়েছে। ভুটানে গত ডিসেম্বরে ছিল দেড় শতাংশ। এখন তা বেড়ে ৫.৩ শতাংশ হয়েছে। ভারত বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি বন্ধ করায় ভুটানে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
মালদ্বীপে গত মার্চে সর্বোচ্চ ৮ শতাংশে উঠেছিল। এখন কমে সাড়ে ৪ শতাংশ হয়েছে। পাকিস্তানে মে মাসে সর্বোচ্চ ৪৮.৭ শতাংশে উঠেছিল। এখন তা কমে ৩৮.৫ শতাংশে নেমেছে। চীনে ছিল ৮.৮ শতাংশ। এখন তা রিফ্লেশন হয়েছে ১.৭ শতাংশ। থাইল্যান্ডে ৯.৮ থেকে কমে ০.৭ শতাংশ। জাপানে ৫.১ থেকে বেড়ে ১০.১ শতাংশ হয়েছে। যুদ্ধে জড়িয়ে রাশিয়ার মূল্যস্ফীতির হার কমছে। রাশিয়ায় গত সেপ্টেম্বরে ছিল ১৪.২ শতাংশ। এখন তা কমে ৩.৬ শতাংশ হয়েছে। যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েও ইউক্রেনে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমছে। গত বছরের অক্টোবরে ৩৬.১ শতাংশ উঠেছিল। এখন তা কমে ১২.৮ শতাংশে নেমেছে।