প্রথম আলো: মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তে যে কায়দায় বিদ্রোহ বা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনের চেষ্টা করছে, তাতে একধরনের বেপরোয়া ভাব আছে। তারা তোয়াক্কা করছে না যে এটা করতে গিয়ে সীমান্ত লঙ্ঘন করছে কি না। এর মাধ্যমে কি তারা বাংলাদেশকে কোনো বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে?
এ এন এম মুনীরুজ্জামান: আন্তর্জাতিক সীমান্তে কোনো অভিযান চালাতে হলে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হয়। কারণ, এর সঙ্গে অন্য দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নটি জড়িত এবং এর প্রতি সম্মান দেখানো উচিত। কিন্তু মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে যেভাবে অভিযান চালাচ্ছে তাতে সেই সম্মানটুকু তারা খুব একটা দেখাচ্ছে না এবং আন্তর্জাতিক রীতিনীতি খুব বিবেচনায় নিচ্ছে বলে মনে হয় না। তাদের অভিযানের ধরন দেখে এটা মনে হওয়া স্বাভাবিক যে বাংলাদেশের সক্ষমতাকে তারা সম্ভবত খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না। এভাবে অভিযান চালিয়ে তারা সম্ভবত বাংলাদেশের মনোভাব যাচাই করে দেখছে। তারা হয়তো বুঝতে চাইছে, ভবিষ্যতে বড় কিছু ঘটলে বাংলাদেশ কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায় বা দেখাতে পারে।
এ এন এম মুনীরুজ্জামান: আরাকান আর্মি ইউনাইটেড লিগ অব আরাকানের সামরিক শাখা। ২০০৯ সালে কাচিন প্রদেশে তাদের কর্মকাণ্ড শুরু করে এবং সেখানকার কাচিন ইন্ডিপেনডেন্ট আর্মির কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেয়। তারপর তারা আস্তে আস্তে তাদের স্বাধীনতার আন্দোলন জোরদার করে। তারা মিয়ানমারের ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পালেতওয়া অঞ্চলে ঘাঁটি গেড়ে রাখাইন রাজ্যে অভিযান চালাতে শুরু করে। মেজর জেনারেল তুয়ান মার্ট নায়াংয়ের নেতৃত্বে এই বাহিনী সাম্প্রতিক কালে তাদের সক্ষমতা অনেক বাড়িয়েছে। এই বাহিনী রাখাইন জনগোষ্ঠীর আত্মনিয়ন্ত্রণ ও নিজের মতো করে থাকার অধিকার এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম রাখাইন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে মতবাদ প্রচার ও সেই লক্ষ্যে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। আরকান আর্মি যেহেতু সাম্প্রতিক সময়ে রাখাইন রাজ্যে সামরিক ও রাজনৈতিকভাবে তাদের অবস্থান জোরদার করেছে এবং জনগণে মধ্যে একটি অবস্থান গড়ে তুলেছে, তাই মিয়ানমারের সেনা কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করেছে।
প্রথম আলো: আরাকান আর্মি সামরিকভাবে বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তাদের পেছনে কারা রয়েছে? কোথা থেকে তারা অস্ত্রসহ সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা পাচ্ছে?
এ এন এম মুনীরুজ্জামান: এটা এখনো খুব পরিষ্কার নয় যে আরাকান আর্মি আসলে কোন দেশ বা গোষ্ঠীর কাছ থেকে সাহায্য ও সমর্থন পেয়ে আসছে।
এ এন এম মুনীরুজ্জামান: ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সু চির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলের পর সেখানকার বিচ্ছিন্নতাকামী গোষ্ঠীগুলো তাদের অভিযান ও তৎপরতা বাড়িয়েছে। তারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সফলতা পাচ্ছে। কাচিন ইনডিপেনডেন্ট আর্মি (কেআইএ) এরই মধ্যে তাতমাদার বেশ কিছু স্থাপনা দখল করতে সক্ষম হয়েছে। কারেন জনগোষ্ঠীর আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই করছে কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন। কারেন অঞ্চলে তাদের অবস্থান আগের চেয়ে জোরদার হয়েছে। সেনাবাহিনী তাদের অবস্থান হারিয়েছে। চিন ল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ) ও চিন ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (সিএনডিএফ) এ দুটি ছোট সংগঠনের সঙ্গে সেখানকার বড় সংগঠন চিন ন্যাশনাল আর্মির সমঝোতা হয়েছে সাম্প্রতিক কালে। দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী তাতমাদা হটাতে নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করেছে। একই সঙ্গে মিয়ানমারে সাধারণ জনগোষ্ঠী, যারা সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে, তারাও বিভিন্ন বিদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নতাকামী গোষ্ঠীগুলোর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সরকারবিরোধী লড়াই করছে। তবে এখন পর্যন্ত এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, যাতে ধরে নেওয়া যায় যে তাতমাদা মিয়ানমারের ওপর তাদের বড় ধরনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।
প্রথম আলো: জাতিগত সশস্ত্র বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ছাড়াও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত অং সান সু চির দলও সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছে, তারা পাল্টা জাতীয় ঐক্যের সরকারও গঠন করেছে। মিয়ানমারে বর্তমান গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখছেন?
এ এন এম মুনীরুজ্জামান: আমরা দেখেছি, সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল এবং অং সান সু চিসহ নির্বাচিত নেতাদের জেলে নেওয়ার পর সে দেশের জনগণ বড় ধরনের প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। শহরে শহরে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ হয়েছে। সেনাবাহিনী কঠোর হাতে সেই বিক্ষোভ দমনের পথ ধরেছে। এমন পরিস্থিতিতে তারা পিপলস ডিফেন্স ফোর্স বা পিডিএফ গড়ে তুলেছে এবং এর মাধ্যমে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। একে গৃহযুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায় বলা চলে। তবে পিডিএফের সাফল্যের মাত্রা খুব ভারী নয়। কারণ, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তারা তাদের একতা ধরে রাখতে পারেনি। একই সঙ্গে জনবল বা সমর্থক থাকলেও অস্ত্র ও সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। সব মিলিয়ে বলা যায় যে মিয়ানমারে বর্তমান যে পরিস্থিতি, তা এখনো পুরোপুরি গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়নি।
এ এন এম মুনীরুজ্জামান: সেনাশাসন মিয়ানমারের জনগণের জন্য নতুন কিছু নয়। সেখানকার জনগোষ্ঠী দীর্ঘ সময় সামরিক শাসনের অধীনে থেকেছে, এটা ঠিক। কিন্তু স্বাধীন নির্বাচনের মাধ্যমে সেখানে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সেখানে গণতন্ত্রের আলো প্রবেশ করতে শুরু করে। সেখানকার জনগণ দীর্ঘদিন পর গণতন্ত্র ও নাগরিক স্বাধীনতার স্বাদ পেতে শুরু করে। গণতান্ত্রিক শাসনের সময়ে সেখানে একটি ঘটনা খুব দ্রুত ঘটেছে, তা হলো নাগরিক সমাজের বিকাশ। সেখানে খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি নাগরিক সমাজ গড়ে ওঠে। বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ে। অল্প সময়ে গণতান্ত্রিক শাসনে এই অর্জন নজর কাড়ার মতো। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যখন আবার ক্ষমতা কেড়ে নেয়, তখন সেখানকার জনগণ তা মেনে নেয়নি। তারা আর আগের মতো সেনাশাসন মেনে নিতে রাজি হয়নি। জানমালের অনেক ক্ষতির পরও তারা সেনাশাসনকে প্রতিহত করার চেষ্টা চালিয়েছে। চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রথম আলো: মিয়ানমারের বর্তমান যে সংঘাতময় পরিস্থিতি এবং এতে দেশটি অর্থনৈতিকভাবে যে মাত্রায় বিপর্যস্ত হচ্ছে, তাতে দেশটির ভবিষ্যৎ কী? এর প্রভাব আশপাশের দেশ, বিশেষ করে বাংলাদেশের ওপর কতটুকু পড়তে পারে?
এ এন এম মুনীরুজ্জামান: মিয়ানমারের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দুর্বল ও নাজুক। তবে এখন পর্যন্ত অর্থনীতি ভেঙে পড়েনি। কোভিডের সময় দেশের অর্থনীতি যে চাপের মুখে পড়েছিল, তা তারা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। সেনাশাসন জারি হওয়ার পর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি হওয়ায় অর্থনীতি ধরে রাখা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে এটা মনে রাখতে হবে যে মিয়ানমার সম্পদশালী দেশ এবং প্রয়োজনীয় এমন অনেক সম্পদ আছে, যা দিয়ে তারা নিজেরাই চলতে পারে। নতুন যে বিধিনিষেধ মিয়ানমারের ওপর জারি হয়েছে, তা দেশটির জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগে চার দশক তারা আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে কাটিয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে টিকে থাকতে হয়, সেই অভিজ্ঞতা তাদের রয়েছে। এর ওপর ভর করে তারা বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছে। ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে আগামী বছর মিয়ানমারে প্রবৃদ্ধি হবে ৩ শতাংশ। জ্বালানি ও খাদ্য নিয়ে কিছুটা চাপে থাকলেও অর্থনৈতিকভাবে বড় ধরনের হুমকির মুখে নেই মিয়ানমার। দেশটি যেহেতু অর্থনৈতিকভাবে ভেঙে পড়েনি, তাই অর্থনৈতিক উদ্বাস্তু হওয়ার সুযোগ নেই। খুব শিগগির তেমন কিছু হবে বলে মনে হয় না।
এ এন এম মুনীরুজ্জামান: আরাকান আর্মি শক্ত অবস্থান নিয়েছে। সেখানকার অনেক এলাকার ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে এমন অঞ্চলও রয়েছে যেখানে তারা নিজেদের প্রশাসন চালাচ্ছে এবং ট্যাক্স আদায় করছে। এমন একটি পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষ থেকে এ ধরনের বক্তব্য এসেছে। এর মাধ্যমে তারা বোঝাতে চাইছে যে তারা শুধু অভ্যন্তরীণভাবেই শক্তিশালী হয়নি, এখন তারা আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা করছে। তারা দাবি করতে চাইছে যে এ অঞ্চলে তারা এমন এক শক্তি ও সংগঠন, যাদের বাদ দিয়ে কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। প্রশ্ন হচ্ছে, এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কী করবে? এর জবাব হচ্ছে এ ধরনের কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই।
প্রথম আলো: মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতিতে চীন, রাশিয়া বা ভারতের মতো দেশগুলো কী ভূমিকা পালন করছে?
এ এন এম মুনীরুজ্জামান: আপনি যে তিন দেশের কথা বললেন, এই দেশগুলোই মিয়ানমার সরকারকে সমর্থন ও মদদ জুগিয়ে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পরও এই দেশগুলোর অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এই তিন দেশের গভীর কৌশলগত স্বার্থ রয়েছে। রাখাইন রাজ্যের কিয়াকপিউতে চীনের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের আওতায় গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি হয়েছে। সেখানে তারা তেল শোধনাগার বানাচ্ছে। চীনের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য এ বন্দর ও শোধনাগার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এ বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে চীন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মালাক্কা প্রণালি বন্ধ হয়ে গেলে তা ব্যবহার না করেই নিজেদের জ্বালানির সরবরাহ লাইন চালু রাখতে পারবে। এর মাধ্যমে তেল, গ্যাস, এলএনজি সবকিছুর সরবরাহই নিশ্চিত করা যাবে। এখান থেকে চীনের ইউনান প্রদেশের সঙ্গে সরাসরি রেললাইন থাকবে। অন্যদিকে ভারত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ক্ষতিগ্রস্ত সিটওয়ে বন্দর পুনর্নির্মাণ করে ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে। এখান থেকে কালাদান মাল্টিমোডাল হাইওয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে প্রবেশ করতে পারবে। কালাদান সংযোগ হাইওয়ে ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়ার সেখানে অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। তারা সেখানে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে যাচ্ছে। রাখাইন রাজ্য কৌশলগত দিক দিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল। বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরে প্রবেশের পথ। চীনের বিআরআইয়ের ছয়টি করিডরের একটি এ রাজ্য দিয়ে যাবে। রাখাইন রাজ্য যেহেতু এ তিন দেশের জন্যই খুব আকর্ষণীয়, তাই এর কৌশলগত গুরুত্বের দিকটি বাংলাদেশকে বুঝতে হবে এবং এই দিক মাথায় রেখেই এগোতে হবে।
এ এন এম মুনীরুজ্জামান: বাংলাদেশ বন্ধু কিছু দেশের প্রতিনিধিদের ডেকে বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছে এবং সহায়তা চেয়েছে। এ থেকে খুব ফল পাওয়া যাবে না। আমরা দেখেছি যে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট যখন তৈরি হয়, তখন আমরা কূটনৈতিকভাবে দুর্বলতার পরিচয় দিয়েছি। আসিয়ান বা সার্ক কেউ আমাদের পক্ষে দাঁড়ায়নি। মিয়ানমারের ওপর যদি কোনো ধরনের চাপ সৃষ্টি করতে হয় তবে চীন, ভারত ও রাশিয়ার মাধ্যমেই তা করতে হবে। তাদের মাধ্যমেই মিয়ানমারকে এই বার্তা দিতে হবে যে বাংলাদেশ সীমান্তে তারা যা করছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। এই তিন দেশের কাছে না গিয়ে অন্য কোনো কিছু খুব কাজে দেবে না। পরিস্থিতি খুব খারাপ হলে আমাদের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যেতে হবে। সেখানে চীন ও রাশিয়ার ভেটো ক্ষমতা রয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, কোনো ধরনের সংঘাতে জড়ানো যাবে না এবং কূটনৈতিকভাবে এই সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। তবে কূটনীতির পেছনে শক্তি প্রয়োগের সক্ষমতাও থাকতে হবে এবং তা স্বচ্ছভাবে প্রকাশিত হতে হবে। জাতীয় নিরাপত্তার ওপর হুমকি দেখা দিলে জাতীয়ভাবে ঐকমত্যের প্রয়োজন পড়ে। জাতীয় ঐকমত্যের সঙ্গে সামরিক সক্ষমতা যুক্ত হলে তা ডেটরেন্ট পাওয়ার হিসেবে কাজ করে। এই দুটি পেছনে থাকলেই কূটনীতি সঠিকভাবে কাজ করে।
প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।
এ এন এম মুনীরুজ্জামান: আপনাকেও ধন্যবাদ।