বেশ কিছুদিন ধরেই চাপে রয়েছে অর্থনীতির নানা সূচক। আগামী অর্থবছরের বাজেটে উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা, রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, সুদ পরিশোধে বাড়তি খরচ এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারে বকেয়া ভর্তুকি সামলানোর মতো বিষয়কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ পটভূমিতে নতুন বাজেট ঘাটতি কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ওপর দেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ জোর। এ ক্ষেত্রে বাজার ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব প্রশাসনে বড় রকমের সংস্কারের পাশাপাশি সরকারি খরচের ব্যাপারে আরও সাশ্রয়ী, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা না গেলে এ লক্ষ্য অর্জন কঠিন হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। আগামী বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দুই বছর ধরে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ঘরে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানাই বাজেটে সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। এ জন্য কমিয়ে আনা হবে বাজেট ঘাটতি। একই উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে ঘোষিত সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির সফল বাস্তবায়নের জন্য সরকারের রাজস্ব নীতিতেও ব্যয় সাশ্রয়ী পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। সার্বিকভাবে আগামী বাজেট হবে কিছুটা সংকোচনমূলক। একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতির প্রভাব থেকে স্বল্প আয়ের মানুষকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে বাড়ানো হবে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির পরিধি। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) আওতায় ভর্তুকি মূল্যে খাদ্যপণ্য সরবরাহ বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে বাড়ানো হবে খোলাবাজারে চাল-আটা বিক্রিসহ (ওএমএস) অন্যান্য কার্যক্রম।
সরকার ব্যয় সংকোচনের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলেও আগামী অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ফ্ল্যাট নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পেও উচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, যা এ লক্ষ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, মূল্যস্ফীতি কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ব্যাংক খাত থেকে ঋণের পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। ভোগ-চাহিদা কমানোর জন্য বেসরকারি খাতের জন্য আমদানি নিয়ন্ত্রণ ও ঋণের সুদহার বাড়ানো হলেও সরকারের ব্যয়ের ক্ষেত্রে এসব খুব বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। একই সঙ্গে সংকটময় পরিস্থিতিতে বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এভাবে যাচ্ছেতাই সরকারি ব্যয় ও বাজার ব্যবস্থার সংস্কার করা না গেলে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না।
কঠিন হবে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানো
নানামুখী সংকটে দেশের প্রায় সব শিল্প খাত। দাম বাড়ার পরও ডলার সংকট পুরোপুরি কাটেনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, শিল্পের কাঁচামাল থেকে শুরু করে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি কমছে। পাশাপাশি গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে শিল্পকারখানা। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। বাড়ছে না পণ্য রপ্তানির ক্রয়াদেশও। ফলে শিল্পকারখানার উৎপাদন কমছে। এসব কারণে বেসরকারি খাতে নতুন বিনিয়োগ ও বিদ্যমান ব্যবসা সম্প্রসারণে গতি নেই। এ পরিস্থিতিতে বেসরকারি খাতের কর্মকাণ্ড চাঙ্গা করে কর্মসংস্থান বাড়ানোই মূল চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
থেকেই যাচ্ছে রাজস্ব চ্যালেঞ্জ
নতুন বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৫ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা এনবিআরকে আদায় করতে হবে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে যা ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে কমিয়ে করা হয় ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, আগামী অর্থবছরে ৪ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার কর রাজস্ব আদায় করতে হবে। কর রাজস্বের প্রায় পুরোটাই আদায় করে এনবিআর। শুল্কছাড় ও কর অব্যাহতি কমিয়ে আনাসহ নতুন বেশ কিছু খাতে ভ্যাট ও কর বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ের প্রবৃদ্ধি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এ রাজস্ব আহরণেও চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
সুদ পরিশোধে চাপ
দেশি-বিদেশি উৎসে এখন সরকারের মোট ঋণ রয়েছে ১৮ লাখ কোটি টাকার মতো। চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামীতে ঋণ আরও বাড়ানো হচ্ছে। এতে করে সুদ পরিশোধে সরকারের খরচ বাড়ছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে শুধু সুদ পরিশোধেই সরকারের ব্যয় প্রস্তাব করা হচ্ছে ১ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৯৪ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা। তবে সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা প্রাক্কলন করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ব্যয় আরও বেশি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, আইএমএফের শর্তের কারণে ‘ক্রলিং পেগ’ চালুর পর এখন ডলারের দর দাঁড়িয়েছে ১১৭ টাকা ৯১ পয়সা। গত ৮ মে পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক দর ছিল ১১০ টাকা। সরকারের সার, জ্বালানি ও খাদ্য আমদানিতে এ আনুষ্ঠানিক দরেই ডলার দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আবার আগের ঋণ বা যে কোনো ধরনের দায় পরিশোধে আনুষ্ঠানিক দরে ডলার পায় সরকার। একবারে প্রতি ডলারে আট টাকা বেড়েছে। এতে সরকারের বিদেশি দায় পরিশোধে চাপ আরও বাড়বে।
অস্বস্তি বাড়ছে ডলারের বাজারে
অর্থ পাচার, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ না নিয়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডলারের বাজার বাগে আনার চেষ্টা করলেও তাতে কাজ হচ্ছে না। একদিকে বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ দ্রুত কমছে, অন্যদিকে আগে নেওয়া বিদেশি ঋণ ও বিনিয়োগ ফেরত নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। বিদেশিদের অনেকে এখন বিনিয়োগ ফেরত নিয়ে ইউএস ট্রেজারি বিল ও বন্ডে খাটাচ্ছেন। এতে করে চাপে পড়েছে আর্থিক হিসাব। গত মার্চ পর্যন্ত আর্থিক হিসাবে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরে একই সময়ে যা ছিল মাত্র ২ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার। এর আগে সব সময় আর্থিক হিসাবে উদ্বৃত্ত ছিল। এতে করে আমদানি নিয়ন্ত্রণের পরও ধারাবাহিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। ২০২১ সালের আগস্টে ৪৮ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করা রিজার্ভ এখন ১৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। আর আড়াই বছর আগের ৮৫ টাকার ডলার এখন আমদানিকারকদের ১১৮ থেকে ১২৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
বরাদ্দ বাড়ছে ভর্তুকি ও প্রণোদনায়
আইএমএফের শর্ত হচ্ছে, সঠিক বাজেট ব্যবস্থাপনার স্বার্থে, বিশেষ করে জ্বালানি ও বিদ্যুতে ভর্তুকি কমিয়ে আনতে হবে। একই সঙ্গে ভর্তুকি কমানোর টাকায় সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি সম্প্রসারণের পরামর্শ বহুজাতিক দাতা সংস্থাটির। ইতোমধ্যে সরকারও ভর্তুকি তুলে দিতে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে পর্যায়ক্রমিক সূত্রভিত্তিক মূল্য সমন্বয়ের ব্যবস্থা নিয়েছে। এদিকে চলতি অর্থবছরে কয়েক দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাশাপাশি আগামী অর্থবছরে চারবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এখন প্রতি মাসে সরকারকে বিদ্যুতে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হলে আগামী অর্থবছরের শেষের দিকে এ ভর্তুকি প্রতি মাসে দুই থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকায় নেমে আসবে। একইভাবে আগামী তিন অর্থবছরের মধ্যে এ খাতে ভর্তুকি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তবু আগামী অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি ও প্রণোদনায় বরাদ্দ প্রায় ১০ হাজার কোটি বাড়িয়ে ১ লাখ ২০ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা রাখা হতে পারে। এর মধ্যে শুধু বিদ্যুৎ খাতের জন্যই বরাদ্দ থাকছে ৪০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বেশি। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন অর্থবছরে বিদ্যুতে এ টাকা প্রয়োজন হবে না। তবে চলতি অর্থবছরের বকেয়া পরিশোধে এ খাতে বাড়তি বরাদ্দ রাখতে হচ্ছে।
কেমন হচ্ছে বাজেট আকার
৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ের ফর্দ সাজিয়ে নতুন বাজেট চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এটি চলতি বাজেটের চেয়ে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরগুলোতে সাধারণত পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে বাজেট দেওয়া হয়েছে। নতুন অর্থবছরে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে এনবিআরকে আদায় করতে হবে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৫০ হাজার কোটি টাকা বেশি। ঘাটতি মেটাতে পৌনে তিন লাখ কোটি টাকা দেশি-বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
এর বড় অংশই, অর্থাৎ দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি নেওয়া হবে ব্যাংক থেকে। পাশাপাশি সোয়া লাখ কোটি টাকার ওপরে (১ হাজার ১৭০ কোটি মার্কিন ডলার) বিদেশি ঋণ নেওয়া হবে। বাকি অর্থ অন্য উৎস থেকে ঋণ নিয়ে মেটানো হবে। তবে এবারই সঞ্চয়পত্রের পুরোনো বিনিয়োগ ম্যাচিউরড হওয়ায় সরকার যে পরিমাণ ঋণ ফেরত দেবে, তার চেয়ে ৫০ কোটি টাকার কম সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিকল্পনা করছে সরকার। অর্থাৎ, আগামী অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঋণাত্মক ৫০ কোটি টাকা প্রাক্কলন করা হচ্ছে।
যা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর সমকালকে বলেন, বর্তমান কর প্রশাসন দিয়ে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যায়নি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে একটি আধুনিক কর প্রশাসন প্রয়োজন। এর জন্য কর-নীতি ও কর প্রশাসনের পৃথককরণ প্রয়োজন। একই সঙ্গে রাজস্ব আহরণ প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় করাসহ এ খাতে বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু এসব বিষয়ে তেমন উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে আরেক বড় চ্যালেঞ্জ ব্যাংক খাতের সংস্কার। এ খাতের সংস্কারে ব্যর্থতা শুধু বেসরকারি খাতই নয়, সরকারের বাজেট বাস্তবায়নেও বিরূপ প্রভাব ফেলবে। ব্যাংক খাত বাজেটকে প্রতিফলিত করে। কারণ এটি সরকারি ঋণ ও বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের সুদ, সেই সঙ্গে রাজস্ব আহরণকে প্রভাবিত করে। তা ছাড়া আগামী বাজেটে ব্যাংক খাত থেকে সরকার যে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করছে, সেটিও যৌক্তিক নয়। কারণ, বর্তমানে এ খাতে তারল্য সংকট চলছে। এ অবস্থায় ব্যাংক খাত থেকে দেড় লাখ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হলে বেসরকারি খাতে অর্থায়নে সংকট দেখা দিতে পারে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ব্যয় সংকোচন করার কথা বলা হলেও বাস্তবে এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না; বরং সরকার ঋণ নিয়ে গাড়ি কেনাসহ নানা বিলাসী কার্যক্রমে খরচ করছে। আবার বন্ড ছেড়ে বিদ্যুৎ ও সারের ভর্তুকি পরিশোধ করা হচ্ছে। কোনো কোনো সময় রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পেয়ে থাকেন। তাদের জন্য সময়, ব্যয় ও বরাদ্দ বাড়ানো হয়।
তিনি আরও বলেন, সরকারি ব্যয়ে প্রকৃত কৃচ্ছ্রনীতি এবং বাজার ব্যবস্থাপনায় সংস্কার করা না হলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে না। সংকুচিত মুদ্রানীতির সঙ্গে রাজস্ব নীতির সমন্বয় আরও বাড়াতে হবে।
samakal