ঈদের লম্বা ছুটির মতো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও (ডিপিএল) ছিল ছুটি। সোমবার ছুটি শেষে মাঠে গড়ায় ডিপিএলের দশম রাউন্ডের ম্যাচ। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আবাহনী লিমিটেড এবং প্রাইম ব্যাংকের ওই ম্যাচেই ঘটেছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আম্পায়ারের সঙ্গে বাদানুবাদ করেছেন সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমসহ প্রাইম ব্যাংকের অন্যরা। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনও।
প্রথমে এনামুল হক বিজয়ের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার আসাদুর রহমান। এরপর নাঈমের ব্যক্তিগত ৬৯ রানে লেগ বিফোরের জোরালো আবেদন করে প্রাইম ব্যাংক। সেই আবেদনও প্রত্যাখ্যান করেন একই আম্পায়ার। দলটির পার্ট টাইম অফ স্পিনার মোহাম্মদ মিঠুনের করা বল স্টাম্প লাইনে পড়ে উইকেট বরাবর পায়ে লাগে নাঈমের। যা খালি চোখে আউটই মনে হয়েছে। যা নিয়ে মাঠে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তামিম-মুশফিকরা। প্রতিবাদস্বরূপ তামিম সহ খেলোয়াড়রা জড়ো হয়ে আম্পায়ারের মুখোমুখি হন। জানা গেছে, সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে তামিম আম্পায়ারদের বলেছেন, ‘আপনারাই খেলেন।’
শুধু তামিম কিংবা মুশফিক নন ডাগ আউটে নেমে আসা থার্ড আম্পায়ারের সঙ্গেও কথা কাটাকাটি হয়েছে প্রাইম ব্যাংকের কোচ সালাউদ্দিনের। থার্ড আম্পায়ার খেলা চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ নিয়ে সালাউদ্দিন-তামিমদের কাছে এসেছিলেন। কিছুক্ষণ বন্ধ থাকার পর পুনরায় শুরু হয় ম্যাচ। নাঈম-শান্তর সেঞ্চুরির পাল্টা দেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু জিততে পারেননি তারা।
প্রায় প্রতি মৌসুমেই প্রতিপক্ষ দলগুলোর একটি কমন অনুযোগ থাকে, আবাহনীর ম্যাচ হলেই নাকি সেখানে অনভিজ্ঞ আম্পায়ার নিয়োগ দেওয়া হয়। গতকাল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের কণ্ঠেও ছিল তেমনই একটি অনুযোগ। আবাহনী-প্রাইম ব্যাংকের এই ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন আসাদুর রহমান ও সাজেদুল ইসলাম। এই ম্যাচে অনভিজ্ঞ আম্পায়ার নিয়োগ দেওয়াকে সঠিক মনে হয়নি প্রাইম ব্যাংকের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ম্যাচে অনভিজ্ঞ আম্পায়ার কেন নিয়োগ দেওয়া হবে, যারা কিনা চাপ নিতে পারেন না! দেশে আন্তর্জাতিক ও মানসম্পন্ন আম্পায়ার থাকার পরও কেন নতুনদের রাখতে হবে? যে কেউ ভিডিও দেখলে বুঝতে পারবে দুটি এলবিডব্লিউ দেওয়া হয়নি।’
ঢাকা লিগে আম্পায়ারদের কাজে লাগিয়ে সূক্ষ্ম সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ বেশ পুরোনো। ২০২১ সালে এ নিয়ে তুলকালাম বেধেছিল মাঠে। আবাহনীর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে এলবিডব্লিউ না দেওয়ার প্রতিবাদে লাথি দিয়ে স্টাম্প ভেঙেছিলেন মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। মাঠের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হলেও সাকিবের প্রতিবাদ ক্রিকেট বিশ্বকে অনিয়মের বার্তা পৌঁছে দিয়েছিল বলে মনে করা হয়। সে ঘটনার পর ঢাকা লিগের ম্যাচ ইউটিউবে লাইভ করার পাশাপাশি মাঠে ক্যামেরা বাড়ানো হলেও কারচুপি বন্ধ হয়নি বলে মনে করেন ক্রিকেট-সংশ্লিষ্টরা।
samakal