- ২৪ ডেস্ক
সম্প্রতি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি কয়েকটি পণ্য আমদানির ওপর ভারতীয় নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশের প্লাস্টিক শিল্প সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) সভাপতি শামীম আহমেদ। মঙ্গলবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের লোগো
শামীম আহমেদ উল্লেখ করেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ‘সেভেন সিস্টার্স’ রাজ্যগুলো বাংলাদেশি প্লাস্টিক পণ্যের একটি প্রধান রপ্তানি বাজার ছিল, যেখানে পরিবহন খরচও ছিল তুলনামূলকভাবে কম।
তিনি বলেন, ‘আমদানি সীমিত করার ভারতের আকস্মিক সিদ্ধান্ত আমাদের প্লাস্টিক শিল্পকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’
বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে শুরু হতে যাওয়া দুই দিনের প্লাস্টিক খেলনা প্রদর্শনীর প্রাক্কালে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রদর্শনীটি বিপিজিএমইএ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস’ প্রকল্প যৌথভাবে আয়োজন করছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১৭ মে) ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক ও পিভিসি পণ্যসহ কমপক্ষে সাতটি বাংলাদেশি পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করে। এর প্রায় এক মাস আগে বাংলাদেশ একই পথে ভারতীয় সুতা আমদানি নিষিদ্ধ করেছিল, যার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মতে, এই সাতটি পণ্য এখন থেকে কেবল কলকাতা এবং মুম্বাইয়ের নাভা শেভা সমুদ্রবন্দর দিয়েই ভারতে প্রবেশ করতে পারবে।
এ প্রসঙ্গে বিপিজিএমইএ সভাপতি জানান, কলকাতা বা মুম্বাই সমুদ্রবন্দর থেকে সেভেন সিস্টার্স অঞ্চলে পণ্য পরিবহনের জন্য ভারতের অভ্যন্তরীণ রুট ব্যবহার করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ওই অঞ্চলে সরাসরি রপ্তানি অনেক বেশি লাভজনক ছিল। কিন্তু এখন যদি আমাদের পরোক্ষ রুট ব্যবহার করতে বাধ্য করা হয়, তাহলে রপ্তানি আর লাভজনক নাও থাকতে পারে।’ এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের সামগ্রিক রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।