মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এমন সময়ে পালন করছি, যখন দেশে গণতন্ত্র নেই। কথা বলা ও সংগঠন করার স্বাধীনতা নেই। মানুষের নিরাপত্তা নেই। বিএনপি মহাসচিব এ সময় রাজবাড়ি জেলা বিএনপির কর্মী সোনিয়া আক্তারকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রতিবাদী একজন নারীকে রাত দুইটার সময় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই যে একটি অবস্থা তৈরি হয়েছে, যা দেশের মানুষ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করেছে।
আইসিটি বিভাগ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ধারা ১৫-এর ক্ষমতাবলে সম্প্রতি যে ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণা করছে, তারও কঠোর সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আগে সংবাদপত্র বিভিন্ন দপ্তরে যে চুরি হচ্ছে, সেগুলো তুলে ধরতেন। এখন তারা সেগুলোও লিখতে পারবে না।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ প্রতিটি থানায় বিএনপির নেতা ও অর্থ জোগানদাতাদের তালিকা করা নির্দেশ দিয়েছে। বিরোধী দল যাতে কোনো কাজ করতে না পারে, সে জন্য এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তাদের ওপর দমনপীড়ন করা হবে।
প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় এখন ছাত্রলীগের দখলে চলে গেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল (শুক্রবার) দেখেছেন বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যার মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ হামলা করেছে। এর আগে ছাত্রদল শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। সেখানেও তাদের অন্যায় ও মর্মান্তিকভাবে বেধড়ক পিটিয়েছে।
জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহ্বায়ক শাহ্ মো. নেছারুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম প্রমুখ।